শীর্ষ প্রশ্ন
সময়রেখা
চ্যাট
প্রসঙ্গ

কুমার ইন্দ্রজিৎসিংজী

ভারতীয় ক্রিকেটার উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ

কুমার ইন্দ্রজিৎসিংজী
Remove ads

কুমার শ্রী ইন্দ্রজিৎসিংজী মাধবসিংজী (উচ্চারণ; গুজরাতি: કુમાર ઈન્દ્રજીતસિંહજી; জন্ম: ১৫ জুন, ১৯৩৭ - মৃত্যু: ১২ মার্চ, ২০১১) তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের গুজরাতের জামনগর এলাকায় জন্মগ্রহণকারী আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ছিলেন। ভারত ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৬৪ থেকে ১৯৬৯ সময়কালে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্যে ভারতের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।

দ্রুত তথ্য ব্যক্তিগত তথ্য, পূর্ণ নাম ...

ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ভারতীয় ক্রিকেটে দিল্লি ও সৌরাষ্ট্র দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। দলে তিনি মূলতঃ উইকেট-রক্ষক হিসেবে খেলতেন। এছাড়াও, ডানহাতে ব্যাটিংয়ে পারদর্শী ছিলেন কে. এস. ইন্দ্রজিৎসিংজী নামে পরিচিত কুমার ইন্দ্রজিৎসিংজী

Remove ads

প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট

রাজকোটের রাজকুমার কলেজ ও দিল্লির সেন্ট স্টিফেন্স কলেজে পড়াশুনো করেছিলেন।

১৯৫৪-৫৫ মৌসুম থেকে ১৯৭২-৭৩ মৌসুম পর্যন্ত কুমার ইন্দ্রজিৎসিংজী’র প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল। এ পর্যায়ে দিল্লি ও সৌরাষ্ট্রের পক্ষে খেলেছিলেন তিনি। প্রতিযোগিতাধর্মী উইকেট-রক্ষক ও দক্ষ ডানহাতি ব্যাটসম্যান হিসেবে কুমার ইন্দ্রজিৎসিংজী’র বেশ সুনাম ছিল। কখনোবা তিনি ব্যাটিং উদ্বোধন কিংবা মাঝারিসারিতে ব্যাটিং করতে নামতেন। দূর্ভাগ্যবশতঃ খেলোয়াড়ী জীবনের স্বর্ণালী সময়ে ফারুক ইঞ্জিনিয়ারবুধি কুন্দরনের পিছনে তাকে অবস্থান করতে হয়েছিল। কেবলমাত্র তাদের কেউ আঘাতপ্রাপ্ত কিংবা অনুপস্থিতির কারণেই জাতীয় দলে তিনি আহুত হতেন।

রঞ্জী ট্রফি প্রতিযোগিতায় উইকেট-রক্ষকদের অন্যতম হিসেবে কট কিংবা স্ট্যাম্পিং করে ১০০টি আউটের কৃতিত্ব অর্জন করেছিলেন। তন্মধ্যে, ১৯৬০-৬১ মৌসুমে এ প্রতিযোগিতায় ২৩টি আউট করে নতুন রেকর্ড গড়েন। প্রায় ২০ বছর প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে দূর্দণ্ড প্রতাপে খেলেন। ২৬.৭৬ গড়ে পাঁচ সেঞ্চুরি সহযোগে ৩,৬৯৪ রান তুলেন। ২১০টি আউটের মধ্যে ১৩৩টি ক্যাচ গ্লাভসবন্দী করেছিলেন তিনি।

Remove ads

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট

সারাংশ
প্রসঙ্গ

সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে চারটিমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণ করেছেন কুমার ইন্দ্রজিৎসিংজী। ২ অক্টোবর, ১৯৬৪ তারিখে চেন্নাইয়ে সফরকারী অস্ট্রেলিয়া দলের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। ১৫ অক্টোবর, ১৯৬৯ তারিখে হায়দ্রাবাদে সফরকারী নিউজিল্যান্ড দলের বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্টে অংশ নেন তিনি।

অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে দূর্দান্ত সূচনা করেছিলেন। ব্যাটসম্যান কিংবা উইকেট-রক্ষক হিসেবে মাঝারিমানের সফলতা লাভ করলেও স্মরণীয় মুহূর্ত উদ্‌যাপন করেছিলেন তিনি। নবম উইকেট জুটিতে চান্দু বোর্দের সাথে ৩২ রানের নিরবচ্ছিন্ন জুটি গড়ে ভারতকে বোম্বে টেস্টে দুই উইকেটের নাটকীয় জয় এনে দেন। তাসত্ত্বেও, এ সাফল্যের পর তাকে দলে রাখা হয়নি। এভাবেই তার আন্তর্জাতিক খেলোয়াড়ী জীবন শেষ হয়ে যায়। এরপর আর তাকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে খেলতে দেখা যায়নি।

ভারতীয় ঘরোয়া ক্রিকেটে পরিচ্ছন্ন উইকেট-রক্ষক হিসেবে সুনাম অর্জন করলেও জাতীয় পর্যায়ে এ ধারা অব্যাহত রাখতে পারেননি। জাতীয় দলে অন্তর্ভূক্তির প্রশ্নে প্রায়শঃই তাকে ফারুক ইঞ্জিনিয়ার ও বুধি কুন্দরনের সাথে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অবতীর্ণ হতে হতো। মাত্র চার টেস্টে অংশগ্রহণের সুযোগ লাভ করেছিলেন। তন্মধ্যে, ১৯৬৪-৬৫ মৌসুমে সফরকারী অস্ট্রেলিয়া দলের বিপক্ষে তিন টেস্টের সিরিজের সবকটি[]১৯৬৯-৭০ মৌসুমে সফরকারী নিউজিল্যান্ড দলের বিপক্ষে সিরিজের তৃতীয় টেস্টে আর একটি খেলায় অংশ নিয়েছিলেন।[] এ পর্যায়ে অবশ্য নিয়মিত উইকেট-রক্ষক ফারুক ইঞ্জিনিয়ার আঘাতপ্রাপ্ত ছিলেন।

Remove ads

ব্যক্তিগত জীবন

তার পিতামহ মোহনসিংজী ভারতের পক্ষে অংশগ্রহণকারী রণজিতসিংজীর ভাই ও দিলীপসিংজীর’ কাকা ছিলেন। সূর্যবীর সিং ও হনুমন্ত সিং তার কাকাতো ভাই ছিলেন।

১২ মার্চ, ২০১১ তারিখে ৭৩ বছর বয়সে মুম্বই এলাকায় কুমার ইন্দ্রজিৎসিংজী’র দেহাবসান ঘটে।

তথ্যসূত্র

আরও দেখুন

বহিঃসংযোগ

Loading related searches...

Wikiwand - on

Seamless Wikipedia browsing. On steroids.

Remove ads