শীর্ষ প্রশ্ন
সময়রেখা
চ্যাট
প্রসঙ্গ
বিবেক রাজদান
ভারতীয় ক্রিকেটার উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
Remove ads
বিবেক রাজদান (হিন্দি: विवेक राज़दान; জন্ম: ২৫ আগস্ট, ১৯৬৯) দিল্লি এলাকায় জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেট কোচ ও ধারাভাষ্যকার এবং সাবেক ভারতীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার। ভারত ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৮০-এর দশকের শেষার্ধ্বে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্যে ভারতের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।[১][২][৩]
;ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ভারতীয় ক্রিকেটে দিল্লি ও তামিলনাড়ু দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতি ফাস্ট-মিডিয়াম বোলার হিসেবে খেলতেন। এছাড়াও, ডানহাতে নিচেরসারিতে ব্যাটিং করতেন তিনি।
Remove ads
প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট
দিল্লির সেন্ট কলাম্বাস স্কুলে অধ্যয়ন করেন। এরপর, দিল্লির সরদার প্যাটেল বিদ্যালয় থেকে ১৯৮৭ সালে দ্বাদশ শ্রেণীতে উত্তীর্ণ হন।[৪][৫]
১৯৮৯-৯০ মৌসুম থেকে ১৯৯৩-৯৪ মৌসুম পর্যন্ত বিবেক রাজদানের প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল। রঞ্জী ট্রফিতে তামিলনাড়ুর প্রতিনিধিত্ব করেন। ২০ বছর বয়সী বিবেক রাজদানকে এমআরএফ পেস ফাউন্ডেশনে চিহ্নিত করা হয়। দিলীপ ট্রফি ও ইরানি ট্রফিতে একটি করে মোট দুইটি প্রথম-শ্রেণীর খেলায় অংশগ্রহণের পরপরই তাকে পাকিস্তান সফরের জন্যে মনোনীত করা হয়েছিল।
Remove ads
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট
সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে দুইটিমাত্র টেস্ট ও তিনটিমাত্র একদিনের আন্তর্জাতিকে অংশগ্রহণ করেছেন বিবেক রাজদান। সবগুলো টেস্টই পাকিস্তানের বিপক্ষে খেলেছিলেন তিনি। ২৩ নভেম্বর, ১৯৮৯ তারিখে ফয়সলাবাদে স্বাগতিক পাকিস্তান দলের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। এরপর, ৯ ডিসেম্বর, ১৯৮৯ তারিখে শিয়ালকোটে একই দলের বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্টে অংশ নেন তিনি।
খুবই সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্যে টেস্ট ক্রিকেটে অংশ নিতে পেরেছেন। সংক্ষিপ্ত টেস্ট খেলোয়াড়ী জীবনে ১৯৮৯ সালে পাকিস্তান গমন করেন। ফয়সলাবাদে সিরিজের দ্বিতীয় ও নিজস্ব প্রথম টেস্টে দৃশ্যতঃ ব্যর্থতার পরিচয় দিলেও পরের টেস্টে নিজেকে মেলে ধরতে সচেষ্ট হন। স্বাগতিক পাকিস্তান দলের বিপক্ষে মাত্র দুই ইনিংসে বোলিং করার সুযোগ লাভ করেছিলেন। তন্মধ্যে, শিয়ালকোটের দ্বিতীয় ও চূড়ান্ত টেস্টে পাঁচ-উইকেট পেয়েছিলেন তিনি। ৫/৭৯ পান ও ভারতকে ৭৪ রানে এগিয়ে নেন। শুরুতে তিনি বেশ ভালোমানের বোলিং করলেও পরবর্তীকালে এ ধারা বজায় রাখতে পারেননি।
দল নির্বাচকমণ্ডলী কর্তৃক উপেক্ষিত হলে রাজদানের টেস্টে অংশগ্রহণ শেষ হয়ে যায়। তবে, এর পরপরই নিউজিল্যান্ড গমনার্থে তাকে দলে রাখা হয়। এ সফরে তিনি কোন টেস্ট খেলার সুযোগ পাননি। পুরো সফরে কেবলমাত্র একটি প্রথম-শ্রেণীর খেলায় তাকে রাখা হয়। ১৯৯০-৯১ মৌসুমে স্বদেশে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তৃতীয় ও সর্বশেষ ওডিআইয়ে অংশ নেন।
Remove ads
অবসর
১৯৯১-৯২ মৌসুমে রঞ্জী ট্রফির শিরোপা বিজয়ী দিল্লি দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন। দুইটি শতরানের ইনিংস খেলেন। সার্ভিসেসের বিপক্ষে মাত্র ৯৬ বলে ও বাংলার বিপক্ষে কোয়ার্টার ফাইনালে শতরান করেন। পাশাপাশি চূড়ান্ত খেলায় সাবেক দল তামিলনাড়ুর বিপক্ষে ৯৩ রানের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলেন। ব্যাট হাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখাসহ ২৫.৮২ গড়ে ২৩ উইকেট পেয়েছিলেন।
কিন্তু তারপরই খেলায় ছন্দ হারিয়ে ফেলেন। দুই মৌসুম বাদেই প্রথম-শ্রেণীর খেলা থেকে নিজেকে গুটিয়ে নেন। ক্রিকেট খেলা থেকে অবসর গ্রহণের পরও ক্রিকেটের সাথে যুক্ত ছিলেন ও টেলিভিশনে ধারাভাষ্যকারের ভূমিকায় অবতীর্ণ হন। দিল্লিভিত্তিক ক্রিকেট কোচ ও ধারাভাষ্যকারের দায়িত্ব পালন করছেন।
তথ্যসূত্র
আরও দেখুন
বহিঃসংযোগ
Wikiwand - on
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Remove ads