আমা (১৯৬৪-এর চলচ্চিত্র)
১৯৬৪ সালের নেপালি চলচ্চিত্র / From Wikipedia, the free encyclopedia
আমা (নেপালি: आमा, অনুবাদ 'মা') হিরা সিং খত্রি'র প্রথম নির্মিত, ১৯৬৪ সালের নেপালি চলচ্চিত্র। চলচ্চিত্রটির কাহিনি লিখেন দূর্গা শ্রেষ্ঠ ও চৈত্য দেবী। চলচ্চিত্রটি নেপাল সরকারের তথ্য বিভাগের (প্রাক্তন রাজকীয় নেপাল চলচ্চিত্র কর্পোরেশন) ব্যানারে নেপালের তৎকালীন রাজা মহেন্দ্র বীর বিক্রম শাহ দেব কর্তৃক প্রযোজিত হয়েছিল। চলচ্চিত্রটির মূখ্য ভূমিকায় শিব শংকর ও ভুবন চন্দ থাপা ছাড়াও পার্শ্ব চরিত্র সমূহে বসুন্ধরা ভুষাল, হিরা সিং খত্রি এবং হরি প্রসাদ রিমল প্রমুখ অভিনয় করেছেন।আমা-তে সেনাবাহিনীর চাকরি ফেরত এক যুবকের কাহিনি চিত্রায়িত হয়েছে।
আমা | |
---|---|
মূল শিরোনাম | आमा |
পরিচালক | হিরা সিং খত্রি |
চিত্রনাট্যকার | দূর্গা শ্রেষ্ঠ চৈত্য দেবী |
শ্রেষ্ঠাংশে | শিব শংকর ভুবন চন্দ থাপা হরি প্রসাদ রিমল বসুন্ধরা ভূশল |
সুরকার | ভি বালসারা নাতি কাজি |
প্রযোজনা কোম্পানি | তথ্য বিভাগ, নেপাল সরকার |
মুক্তি |
|
দেশ | নেপাল |
ভাষা | নেপালি |
রাজা মহেন্দ্র হিরালাল খত্রিকেআমা পরিচালনার জন্য অনুরোধ করেছিলেন। মূলত ভারতের কলকাতায় চলচ্চিত্রটির গৃহমধ্যস্থ দৃশ্য ধারণ ও নির্মাণ পরবর্তী সম্পাদনা হয়েছিল। আমা নেপালে প্রযোজিত প্রথম নেপালি চলচ্চিত্র হিসেবে ১৯৬৪ সালের ৭ অক্টোবর মুক্তি পায়।
চলচ্চিত্রটি নেপালে মুক্তি পাওয়ার পর, দেশটিতে খুব দ্রুত জনপ্রিয় হয়। আমা ছায়াছবির সফল নির্মাণের পর নির্মাতা হিরা সিং খত্রি নেপাল সরকারের প্রযোজনায় হিজো আজা ভোলি (১৯৬৭) ও পরিবর্তন (১৯৭১) নামের আরো দুইটি চলচ্চিত্র নির্মাণ করেছিলেন। ছায়াচিত্র দুইটি নেপালের জনগণকে দেশপ্রেমের বার্তা দেয়ার জন্য নির্মিত হয়েছিল। আমা নেপালি চলচ্চিত্রের ইতিহাসের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ চলচ্চিত্র হিসাবে বিবেচিত।