জিডিপি (মনোনীত) অনুযায়ী রাষ্ট্রসমূহের তালিকা
উইকিমিডিয়ার তালিকা নিবন্ধ / From Wikipedia, the free encyclopedia
স্থূল অভ্যন্তরীণ উৎপাদন (জিডিপি) হলো কোন নির্দিষ্ট অর্থবছরে একটি রাষ্ট্রের সমস্ত চূড়ান্ত পণ্য এবং পরিষেবার বাজার মূল্য।[1] দেশগুলিকে আর্থিক ও পরিসংখ্যান সংস্থা হতে প্রাপ্ত মনোনীত জিডিপির অনুমান অনুসারে ক্রমান্বয়িত করা হয়েছে, যা বাজার বা সরকারী আধিকারিক বিনিময় হারে গণনা করা হয়। মনোনীত জিডিপি বিভিন্ন দেশে জীবনযাত্রার ব্যয়কে বিবেচনা করে না এবং দেশের মুদ্রার বিনিময় হারের ওঠানামার উপর ভিত্তি করে ফলাফল এক বছর থেকে অন্য বছরে ব্যাপকভাবে পরিবর্তিত হতে পারে। এই ধরনের ওঠানামা কোন দেশের এক বছরের ক্রমকে পরের বছরে বদলে দিতে পারে, যদিও প্রায়শই এর ফলে দেশটির জনসংখ্যার জীবনযাত্রার মানে কোনও পার্থক্য দেখা যায় না বললেই চলে।[2]
কারিগরি সমস্যার কারণে গ্রাফ এই মূহুর্তে অস্থায়ীভাবে অনুপলব্ধ রয়েছে। |
>$২০ ট্রিলিয়ন
$১০–$২০ ট্রিলিয়ন
$৫–$১০ ট্রিলিয়ন $১–$৫ ট্রিলিয়ন |
$৭৫০ বিলিয়ন–$১ ট্রিলিয়ন
$৫০০–$৭৫০ বিলিয়ন
$২৫০–$৫০০ বিলিয়ন $১০০–$২৫০ বিলিয়ন |
$৫০–$১০০ বিলিয়ন
$২৫–$৫০ বিলিয়ন
$৫–$২৫ বিলিয়ন <$৫ বিলিয়ন |
বিভিন্ন দেশে জীবনযাত্রার ব্যয়ের ক্ষেত্রে পার্থক্য সামঞ্জস্য করতে প্রায়শই ক্রয়ক্ষমতা সমতার (পিপিপি) ভিত্তিতেও জাতীয় সম্পদের তুলনা করা হয়। পিপিপি মূলত বিনিময় হারের সমস্যাটি দূর করে তবে এর নিজস্ব ত্রুটি রয়েছে; এটি আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে অর্থনৈতিক আয়ের মানকে প্রতিফলিত করে না, দেশগুলির মধ্যে পণ্য ও পরিষেবার মানের পার্থক্যকে বিবেচনা করে না এবং এটির জন্য মনোনীত জিডিপির চেয়েও বেশি অনুমানের প্রয়োজন।[3] সামগ্রিকভাবে, পিপিপি মাথাপিছুর পরিসংখ্যান মনোনীত জিডিপির মাথাপিছু পরিসংখ্যানের তুলনায় কম ছড়ানো অবস্থায় রয়েছে।[4]
যদিও সময়ের সাথে সাথে জাতীয় অর্থনীতির ক্রমে যথেষ্ট পরিবর্তন আসলেও যুক্তরাষ্ট্র স্নিগ্ধ যুগের (১৮৭০-এর দশক থেকে ১৯০০) পর থেকে শীর্ষ অবস্থান বজায় রেখেছে। এটি এমন এক সময়কাল যখন যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতির দ্রুত প্রসার ঘটেছে, এবং সামগ্রিক উৎপাদনের দিক দিয়ে ব্রিটিশ সাম্রাজ্য এবং চিং রাজবংশকে ছাড়িয়ে গেছে।[5][6] নিয়ন্ত্রিত বেসরকারীকরণ এবং নিয়ন্ত্রণহীনতার মাধ্যমে চীনের বাজার ভিত্তিক অর্থনীতিতে রূপান্তরিত হওয়ার পর থেকে,[7][8] দেশটির ক্রম ১৯৭৮ সালে নবম স্থান থেকে ২০১৬ সালে দ্বিতীয় অবস্থানে উত্থিত হয়েছে। অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ত্বরান্বিত হয়েছে এবং ১৯৮০ সালে বৈশ্বিক মনোনীত জিডিপির অংশীদার হার ২% থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ২০১৬ সালে ১৫% হয়েছে।[6][9] ১৯৯০ এর দশকের গোড়ার দিকে অর্থনৈতিক উদারীকরণ বাস্তবায়নের পর থেকে অন্যদের মধ্যে ভারতও অর্থনৈতিক অগ্রগতি অর্জন করেছে।[10]
প্রথম তালিকায় আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক আউটলুক দ্বারা সংকলিত প্রাক্কলন অন্তর্ভুক্ত রয়েছে, দ্বিতীয় তালিকায় বিশ্ব ব্যাংকের উপাত্ত দেখানো হয়েছে এবং তৃতীয় তালিকায় জাতিসংঘের পরিসংখ্যান বিভাগ কর্তৃক সংকলিত তথ্য অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। গত বছরের আইএমএফের সুনির্দিষ্ট ডেটা এবং চলতি বছরের জন্য অনুমানগুলি বছরে দুবার এপ্রিল এবং অক্টোবরে প্রকাশিত হয়। অ-সার্বভৌম সত্তা (বিশ্ব, মহাদেশ এবং কিছু অধীনস্থ ভূখণ্ড) এবং সীমিত আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি সমেত রাষ্ট্রসমূহ (যেমন কসোভো, ফিলিস্তিন এবং তাইওয়ান) সেই তালিকায় অন্তর্ভুক্ত রয়েছে যার উৎসে এগুলো সম্পর্কিত উপাত্ত রয়েছে।