হুয়ান মাতা
স্প্যানিশ ফুটবলার / From Wikipedia, the free encyclopedia
হুয়ান মানুয়েল মাতা গার্সিয়া (স্পেনীয়: Juan Mata, স্পেনীয় উচ্চারণ: [xwam ˈmata]; জন্ম: ২৮ এপ্রিল ১৯৮৮; হুয়ান মাতা নামে সুপরিচিত) হলেন একজন স্পেনীয় পেশাদার ফুটবল খেলোয়াড়। তিনি বর্তমানে ইংল্যান্ডের পেশাদার ফুটবল লিগের শীর্ষ স্তর প্রিমিয়ার লিগের ক্লাব ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড এবং স্পেন জাতীয় দলের হয়ে মধ্যমাঠের খেলোয়াড় হিসেবে খেলেন। তিনি মূলত আক্রমণাত্মক মধ্যমাঠের খেলোয়াড় হিসেবে খেললেও মাঝেমধ্যে ডান পার্শ্বীয় আক্রমণভাগের খেলোয়াড় এবং বাম পার্শ্বীয় আক্রমণভাগের খেলোয়াড় হিসেবে খেলেন।
![]() ২০১২ সালে স্পেনের মাতা | |||
ব্যক্তিগত তথ্য | |||
---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | হুয়ান মানুয়েল মাতা গার্সিয়া | ||
জন্ম | (1988-04-28) ২৮ এপ্রিল ১৯৮৮ (বয়স ৩৬) | ||
জন্ম স্থান | বুর্গোস, স্পেন | ||
উচ্চতা | ১.৭০ মিটার (৫ ফুট ৭ ইঞ্চি) | ||
মাঠে অবস্থান | মধ্যমাঠের খেলোয়াড় | ||
ক্লাবের তথ্য | |||
বর্তমান দল | ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড | ||
জার্সি নম্বর | ৮ | ||
যুব পর্যায় | |||
১৯৯৮–২০০৩ | রেয়াল ওভিয়েদো | ||
২০০৩–২০০৬ | রিয়াল মাদ্রিদ | ||
জ্যেষ্ঠ পর্যায়* | |||
বছর | দল | ম্যাচ | (গোল) |
২০০৬–২০০৭ | রিয়াল মাদ্রিদ কাস্তিয়া | ৩৯ | (১০) |
২০০৭–২০১১ | ভালেনসিয়া | ১২৯ | (৩৩) |
২০১১–২০১৪ | চেলসি | ৮২ | (১৮) |
২০১৪– | ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড | ১৮৯ | (৩৪) |
জাতীয় দল‡ | |||
২০০৪ | স্পেন অনূর্ধ্ব-১৬ | ৩ | (২) |
২০০৪ | স্পেন অনূর্ধ্ব-১৭ | ২ | (১) |
২০০৬–২০০৭ | স্পেন অনূর্ধ্ব-১৯ | ১৩ | (১২) |
২০০৭ | স্পেন অনূর্ধ্ব-২০ | ৫ | (৪) |
২০০৭–২০১১ | স্পেন অনূর্ধ্ব-২১ | ১৯ | (৫) |
২০১২ | স্পেন অনূর্ধ্ব-২৩ | ৪ | (০) |
২০০৯– | স্পেন | ৪১ | (১০) |
* কেবল ঘরোয়া লিগে ক্লাবের হয়ে ম্যাচ ও গোলসংখ্যা গণনা করা হয়েছে এবং ১৪:৩৭, ২৮ আগস্ট ২০২১ (ইউটিসি) তারিখ অনুযায়ী সকল তথ্য সঠিক। ‡ জাতীয় দলের হয়ে ম্যাচ ও গোলসংখ্যা ১৪:৩৭, ২৮ আগস্ট ২০২১ (ইউটিসি) তারিখ অনুযায়ী সঠিক। |
১৯৯৮–৯৯ মৌসুমে, মাত্র ১০ বছর বয়সে, স্পেনীয় ফুটবল ক্লাব রেয়াল ওভিয়েদোর যুব পর্যায়ের হয়ে খেলার মাধ্যমে মাতা ফুটবল জগতে প্রবেশ করেছেন এবং পরবর্তীকালে রিয়াল মাদ্রিদের যুব দলের হয়ে খেলার মাধ্যমে তিনি ফুটবল খেলায় বিকশিত হয়েছেন। ২০০৬–০৭ মৌসুমে, স্পেনীয় ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদ কাস্তিয়ার হয়ে খেলার মাধ্যমে তিনি তার জ্যেষ্ঠ পর্যায়ের খেলোয়াড়ি জীবন শুরু করেছেন, যেখানে তিনি মাত্র এক মৌসুম অতিবাহিত করেছেন। অতঃপর ২০০৭–০৮ মৌসুমে তিনি বিনামূল্যে ভালেনসিয়ায় যোগদান করেছেন, এই দলের হয়ে তিনি ২০০৭–০৮ কোপা দেল রেই-এর শিরোপা জয়লাভ করেছেন। ভালেনসিয়ার হয়ে প্রথম মৌসুমেই তিনি ক্লাবের সেরা যুব খেলোয়াড় নির্বাচিত হয়েছেন। ভালেনসিয়ায় ৪ মৌসুম অতিবাহিত করার পর প্রায় ২৭ মিলিয়ন ইউরোর বিনিময়ে ইংরেজ ক্লাব চেলসির সাথে চুক্তি স্বাক্ষর করেছেন, যেখানে তিনি সকল প্রতিযোগিতায় ১৩৫ ম্যাচে ৩৩টি গোল করেছেন। ২০১৩–১৪ মৌসুমে, তিনি প্রায় ৪৫ মিলিয়ন ইউরোর বিনিময়ে চেলসি হতে আরেক ইংরেজ ক্লাব ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে যোগদান করেছেন।
২০০৪ সালে, মাতা স্পেন অনূর্ধ্ব-১৬ দলের হয়ে স্পেনের বয়সভিত্তিক পর্যায়ে অভিষেক করেছিলেন। প্রায় ৪ বছর যাবত স্পেনের বয়সভিত্তিক দলের হয়ে খেলার পর, তিনি ২০০৯ সালে স্পেনের হয়ে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অভিষেক করেছেন; স্পেনের জার্সি গায়ে তিনি এপর্যন্ত ৪১ ম্যাচে ১০টি গোল করেছেন। তিনি স্পেনের হয়ে এপর্যন্ত ২টি ফিফা বিশ্বকাপ (২০১০ এবং ২০১৪), উয়েফা ইউরো ২০১২ এবং ২টি ফিফা কনফেডারেশন্স কাপে (২০০৯ এবং ২০১৩) অংশগ্রহণ করেছেন, যার মধ্যে ২০১০ এবং ২০১২ সালে ভিসেন্তে দেল বোস্কের অধীনে ফিফা বিশ্বকাপ এবং উয়েফা ইউরোপীয় চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জয়লাভ করেছেন।
ব্যক্তিগতভাবে, মাতা বেশ কিছু পুরস্কার জয়লাভ করেছেন, যার মধ্যে ২০১১ উয়েফা ইউরোপীয় অনূর্ধ্ব-২১ চ্যাম্পিয়নশিপের সেরা খেলোয়াড় এবং টানা দুই মৌসুম চেলসির বর্ষসেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার অন্যতম।[1][2] দলগতভাবে, মাতা এপর্যন্ত ১২টি শিরোপা জয়লাভ করেছেন, যার মধ্যে ১টি ভালেনসিয়ার হয়ে, ৩টি চেলসির হয়ে, ৪টি ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের হয়ে এবং ৪টি স্পেনের হয়ে জয়লাভ করেছেন।