Loading AI tools
উত্তরপ্রদেশ রাজ্যের একটি জেলা উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
ঝাঁসি জেলা উত্তর ভারতের উত্তরপ্রদেশ রাজ্যের একটি জেলা। ঝাঁসি শহরটি জেলা সদর দপ্তর। জেলাটির উত্তরে জালৌন জেলা, পূর্বে হামিরপুর জেলা এবং মাহোবা জেলা, দক্ষিণে মধ্যপ্রদেশ রাজ্যের টিকমগড় জেলা, দক্ষিণ-পশ্চিম ললিতপুর জেলা এবং পূর্বে মধ্যপ্রদেশের দাতিয়া এবং ভিন্দ জেলা রয়েছে। ললিতপুর একটি সংকীর্ণ রাস্তা দিয়ে ঝাঁসির সঙ্গে যুক্ত। এখানকার জনসংখ্যা ১৯,৯৮,৬০৩ (২০১১ আদমশুমারি)। ললিতপুর জেলা, যেটি দক্ষিণে পার্বত্য অঞ্চলে বিস্তৃত, ১৮৯১ সালে ঝাঁসি জেলাতে যুক্ত হয়েছিল, এবং ১৯৭৪ সালে আবার তাকে একটি পৃথক জেলা তৈরি করা হয়।
ঝাঁসি জেলা | |
---|---|
উত্তর প্রদেশের জেলা | |
উত্তর প্রদেশে ঝাঁসি জেলার অবস্থান | |
দেশ | ভারত |
রাজ্য | উত্তরপ্রদেশ |
বিভাগ | ঝাঁসি |
সদর দপ্তর | ঝাঁসি |
তহশিল | ১. ঝাঁসি, ২.মৌরানিপুর, ৩.মথ, ৪.তেহরলি, ৫.গড়ৌথা |
সরকার | |
• লোকসভা কেন্দ্র | ঝাঁসি |
আয়তন | |
• মোট | ৫,০২৪ বর্গকিমি (১,৯৪০ বর্গমাইল) |
জনসংখ্যা (২০১১) | |
• মোট | ১৯,৯৮,৬০৩ |
• জনঘনত্ব | ৪০০/বর্গকিমি (১,০০০/বর্গমাইল) |
• পৌর এলাকা | ৫,৪৯,৩৯১ |
জনসংখ্যার উপাত্ত | |
• যৌন অনুপাত | ৮৯০ |
সময় অঞ্চল | আইএসটি (ইউটিসি+০৫:৩০) |
ওয়েবসাইট | http://jhansi.nic.in/ |
১৮৬১ সালে স্বাধীন ঝাঁসিকে গোয়ালিয়র রাজ্যের সাথে সংযুক্ত করা হয়েছিল এবং জেলার রাজধানী ঝাঁসি নওয়াবাদ (ঝাঁসি পুনরায় প্রতিষ্ঠিত) নামক "সেনানিবাস" (সামরিক শিবির)বিহীন একটি গ্রামে স্থানান্তরিত করা হয়। ঝাঁসি (পুরানো শহর) গোয়ালিয়র রাজ্যের একটি "সুবা"র (প্রদেশ) রাজধানী হয়ে ওঠে, তবে ১৮৮৬ সালে গোয়ালিয়র দুর্গ এবং নিকটস্থ মোরার সেনানিবাসের বিনিময়ে আগ্রা ও আউধের সংযুক্ত প্রদেশের জেলা হিসাবে ব্রিটিশ শাসনের অধীনে ফিরে আসে।[1] (এটি গোয়ালিয়ের মহারাজাকে দেওয়া হয়েছিল, তবে আঞ্চলিক অদলবদলের ফলে ১৮৮৬ সালে ব্রিটিশদের অধীনে আসে।) ১৯০১ সালে ঝাঁসির জনসংখ্যা ছিল প্রায় ৫৫,০০০ এবং ১৮৯১ সালে ঝাঁসি জেলার জনসংখ্যা ছিল প্রায় ৪০৭,০০০।[1]
বেশ কয়েকটি রেললাইন জেলাতে পরিষেবা দেয়। ঝাঁসি জেলার দক্ষিণে বুন্দেলখণ্ড পার্বত্য অঞ্চল অবস্থিত, যা বিন্ধ্য পর্বতমালা থেকে ঢালু হয়ে এসেছে। জেলাটি বুন্দেলখণ্ডের সমতল ভূমি নিয়ে গঠিত, মার নামে পরিচিত গভীর কালো মাটি এর বিশেষত্ব, এবং এই মাটিতে খুব ভালো তুলা চাষ হয়। তিনটি প্রধান নদী, পহুজ, বেতোয়া এবং ধাসান এই জেলার মধ্যে দিয়ে বয়ে গেছে।
ঝাঁসি জেলার প্রধান শহর হ'ল ঝাঁসি। অন্যান্য শহরগুলি হল - মৌরানীপুর, গারৌথা, মথ, বাবিনা, চিরগাঁও, সমথর গুড়সরাই এরিক ইত্যাদি।
বছর | জন. | ব.প্র. ±% |
---|---|---|
১৯০১ | ৪,২৬,৮৭৫ | — |
১৯১১ | ৪,৬৮,৩২৭ | +০.৯৩% |
১৯২১ | ৪,২১,৮২৮ | −১.০৪% |
১৯৩১ | ৪,৭৭,৫৪৪ | +১.২৫% |
১৯৪১ | ৫,৩৫,৮৭৮ | +১.১৬% |
১৯৫১ | ৫,৬৫,৯৩৩ | +০.৫৫% |
১৯৬১ | ৭,১৪,৪৮৪ | +২.৩৬% |
১৯৭১ | ৮,৭০,১৩৮ | +১.৯৯% |
১৯৮১ | ১১,৩৭,০৩১ | +২.৭১% |
১৯৯১ | ১৪,২৯,৬৯৮ | +২.৩২% |
২০০১ | ১৭,৪৪,৯৩১ | +২.০১% |
২০১১ | ১৯,৯৮,৬০৩ | +১.৩৭% |
সূত্র:[2] |
ঝাঁসি জেলায় ধর্ম | ||||
---|---|---|---|---|
ধর্ম | শতাংশ | |||
হিন্দু | ৯৮.২১% | |||
অন্যান্য | ১.৭৯% |
ভারতের জনগণনা অনুসারে ঝাঁসি জেলার জনসংখ্যা ১,৯৯৮,৬০৩,[3] স্লোভেনিয়া[4] বা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউ মেক্সিকোর জনসংখ্যার প্রায় সমান।[5] জনসংখ্যার ভিত্তিতে ভারতে এর স্থান ২৩১তম (মোট ৬৪০ জেলার মধ্যে)।[3] জেলার জনসংখ্যার ঘনত্ব ৩৯৮ জন প্রতি বর্গকিলোমিটার (১,০৩০ জন/বর্গমাইল)।[3] এর জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ২০০১ - ২০১১ এর দশকে ১৪.৫৪% ছিল।[3] ঝাঁসির প্রতি ১০০০ জন পুরুষের জন্য ৮৯০ জন মহিলা রয়েছে (যৌন অনুপাত),[3] এবং সাক্ষরতার হার ৬৯.৬৮%।[3]
২০১১ সালের ভারতের আদমশুমারি অনুযায়ী, জেলার জনসংখ্যার ৯৮.৭৬% লোক প্রধানত হিন্দিতে এবং ০.৫০% উর্দুতে কথা বলে।[6]
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.