Loading AI tools
উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
দ্য রোলিং স্টোনস একটি ইংরেজি রক সঙ্গীতের দল, যা ১৯৬২ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় লন্ডনে। ব্যান্ডটির প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্যরা হলেন মিক জ্যাগার (গায়ক), কিথ রিচার্ডস (লিড গিটারিস্ট), ব্রায়ান জোনস (রিদম গিটারিস্ট), বিল ওয়াইম্যান (বেজ গিটারিস্ট), ইয়ান স্টুয়ার্ট (পিয়ানিস্ট) এবং চার্লি ওয়াটস (ড্রামার)। ১৯৬৩ সালে ইয়ান কে ব্যান্ড এর মূল লাইনআপ থেকে বাদ দেওয়া হয় এবং চুক্তির মাধ্যমে তাকে ব্যান্ডের বিভিন্ন অ্যালবামে পিয়ানো বাজাতে দেওয়া হয়, তার মৃত্যু অবধি ১৯৮৫ সাল পর্যন্ত। ব্যান্ডের মূল গীতিকার জ্যাগার-রিচার্ডস সভাপতিত্ব করা শুরু করেন, যখন অ্যান্ড্রু লুগ ওল্ডহ্যাম ব্যান্ডের পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। ব্রায়ান জোনস তার মৃত্যুর প্রায় এক মাস আগে ব্যান্ড থেকে বেরিয়ে যান এবং তার জায়গায় মিক টেইলর আসেন। টেইলর ও ১৯৭৪ সালে ব্যান্ড ত্যাগ করেন এবং তার জায়গায় আসে রনি উড যিনি এখনও ব্যান্ডের রিদম গিটারিস্ট হিসেবে কাজ করছেন। ১৯৯৩ সালে ওয়াইম্যান ব্যান্ড ছেড়ে চলে যাওয়ার পর থেকে ড্যরিল জোনস ব্যান্ডটির সফরের সময় বেজ গিটারিস্ট হিসেবে বাজায়।
দ্য রোলিং স্টোনস | |
---|---|
প্রাথমিক তথ্য | |
উদ্ভব | লন্ডন, ইংল্যান্ড |
ধরন |
|
কার্যকাল | ১৯৬২-বর্তমান |
লেবেল |
|
সদস্য |
|
প্রাক্তন সদস্য |
|
ওয়েবসাইট | rollingstones |
দ্য রোলিং স্টোনস ব্রিটিশ ইনভেশনের অন্যান্য ব্যান্ড দ্য বিটলস এবং দ্য হু এর মতোই যুক্তরাষ্ট্রে তুমুল জনপ্রিয় ছিল এবং ১৯৬০ এর দশকের অপসাংস্কৃতিক আন্দোলনে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। ব্লুজ এবং '৫০ এর দশকের রক এ্যন্ড রোল সঙ্গীতের থেকেই তাদের ব্যান্ডের মৌলিক শব্দের উদ্ভব ঘটে। প্রথম দিকে গান কভার দিয়ে শুরু করলেও, ১৯৬৫-৬৬ সালে "আই ক্যান্ট (গেট নো স্যাটিসফেকশন)" এবং "পেইন্ট ইট ব্ল্যাক" এর মতো গান দিয়ে তারা তুমুল জনপ্রিয়তা লাভ করে পুরো বিশ্বজুড়ে। তাদের ১৯৬৬ সালের স্টুডিও অ্যালবাম আফটারম্যাথ কে তাদের রেকর্ডগুলোর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ধরা হয়[1]। বেশ কয়েক বছর ধরে সাইকেডেলিক রক সঙ্গীত গান করার পরে তারা আবারও ব্লুজ রক গান করায় মনোনিবেশ করে, বেগার্স ব্যাংকুয়েট (১৯৬৮), লেট ইট ব্লিড (১৯৬৯), স্টিকি ফিংগার্স (১৯৭১), এবং এক্সাইল ওন মেইন স্ট্রিট (১৯৭২) অ্যালবামগুলো দিয়ে। এই সময়টিতেই তাদের কে "পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ রক এ্যান্ড রোল ব্যান্ড" হিসেবে স্টেজে আমন্ত্রণ জানানো হয়[2][3]।
১৯৭০ থেকে ৮০ দশক পর্যন্ত ব্যান্ডটি বেশ কয়েকটি বাণিজ্যিকভাবে সফল অ্যালবাম প্রকাশ করে, যার মধ্যে সাম গার্লস (১৯৭৮) এবং ট্যাটু ইউ (১৯৮০) ছিলো অন্যতম সবচেয়ে বেশি সফল। ১৯৮০ এর দশকে তারা মাত্র দুটো অ্যালবাম প্রকাশ যার মধ্যে তাদের শৈল্পিক দক্ষতা প্রকাশ পায়, এবং তারা গোটা দশকে একবারও সফর করেনি। দশকের শেষে তাদের ভাগ্য বদলে যায়, যখন তারা স্টিল হুইলস (১৯৮৯) অ্যালবামটি প্রকাশ করে এবং "স্টিল হুইলস/আরবান জঙ্গল সফর" টি করে। ১৯৯০ এর দশক থেকে দ্য রোলিং স্টোনস নতুন অ্যালবাম প্রকাশে মনোনিবেশ না করে, পুরো বিশ্বে সফর করায় মনোনিবেশ করে। ২০০৭ সালের মধ্যে ব্যান্ডটি সর্বকালের শীর্ষ পাঁচটি সর্বোচ্চ-উপার্জনকারী সফর করে: "ভুডু লাউঞ্জ" (১৯৯৪-১৯৯৫), "ব্রিজেস টু ব্যাবিলন" (১৯৯৭-১৯৯৮), "লিকস ট্যুর" (২০০২-২০০৩) এবং "এ বিগার ব্যাং" (২০০৫-২০০৭)[4]।
দ্য রোলিং স্টোনস কে ১৯৮৯ সালে রক অ্যান্ড রোল হল অব ফেমে এবং ২০০৪ সালে ইউকে মিউজিক হল অব ফেমে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। রোলিং স্টোন ম্যাগাজিন তাদের "সর্বকালের ১০০ শ্রেষ্ঠ শিল্পী" দের তালিকায় রোলিং স্টোনস কে চার নম্বর স্থানে জায়গা দেয়[5]। ২০০৮ সালে বিলবোর্ড হট-১০০ তাদের "সর্বকালের শ্রেষ্ঠ ১০ শিল্পী" এর তালিকায় দ্য রোলিং স্টোনস কে ১০ম স্থানে জায়গা দেয়। পুরো বিশ্বে তারা প্রায় ২০০ মিলিয়ন রেকর্ড বিক্রি করেছে। এই পর্যন্ত তারা ৩০টি স্টুডিও অ্যালবাম, ২৩টি লাইভ অ্যালবাম এবং বেশ কেয়েকটি সংকলিত অ্যালবাম প্রকাশ করেছে।
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.