ধ্বনিদলভিত্তিক লিপি
From Wikipedia, the free encyclopedia
ধ্বনিদলীয় লিপি হলো এক ধরনের লিখন পদ্ধতি বা বর্ণমালা। সাধারণ বর্ণমালার সাথে এর পার্থক্য হলো সাধারণ যেকোনো ভাষার বর্ণমালাগুলো সচরাচর কিছু সীমিত সংখ্যক অক্ষর দ্বারা গঠিত হয়, যেমন: ইংরেজি বর্ণমালা (২৬টি অক্ষর), আরবি বর্ণমালা (২৯টি অক্ষর), বাংলা বর্ণমালা (স্বরবর্ণ ও ব্যঞ্জনবর্ণ মিলিয়ে ৫০টি অক্ষর), স্প্যানিশ বর্ণমালা (২৭টি অক্ষর) ইত্যাদি। সাধারণ সীমিত বর্ণমালাভিত্তিক ভাষাগুলোতে শব্দ গঠন করার জন্য স্বরবর্ণ (Vowels) ও ব্যঞ্জনবর্ণকে (Consonants) পাশাপাশি বসিয়ে কিংবা একত্রে সংযুক্ত করে লেখা হয়। সেই তুলনায় ধ্বনিদলীয় লিপি ভিত্তিক ভাষাগুলো গঠিত হয় বিপুলসংখ্যক খণ্ড খণ্ড ধ্বনি বা শব্দাংশের (Syllables) সমষ্টি দিয়ে।
এই নিবন্ধটিতে একজন বিশেষজ্ঞের মনোযোগ প্রয়োজন। প্রদত্ত সমস্যা হল: নিবন্ধের নাম নিয়েই পরিভাষাগত সমস্যা অমীমাংসিত।। |
কোনো একটি ভাষার ধ্বনিদলীয় লিপি (ইংরেজি শব্দ: Syllabary) হলো এমন কিছু লেখ্য প্রতীকের সমষ্টি, যেগুলোর প্রতিটি বর্ণই ঐ ভাষার ধ্বনিদল বা স্বরতন্ত্রের প্রতিনিধিত্ব করে। এই ধ্বনিদলগুলোকে পাশাপাশি সাজিয়েই মূলত উক্ত ভাষার শব্দগুলোকে গঠন করা হয়।
ধ্বনিদলীয় লিপিতে একেকটি বর্ণমালা বা প্রতীককে ধ্বনিদল অক্ষর বলা হয়। সাধারণত একটি ধ্বনিদল অক্ষরে একটি ব্যঞ্জনধ্বনি ও একটি স্বরধ্বনি যুক্ত অবস্থায় থাকে এবং স্বরধ্বনিটি ব্যঞ্জনধ্বনিটিকে অনুসরণ করে। অর্থাৎ এটি একটি "ব্যঞ্জন+স্বর" জাতীয় অক্ষর। তবে অনেক ধ্বনিদলীয় লিপিতেই আরও অনেক জটিল প্রকৃতির ধ্বনির সমষ্টি দেখতে পাওয়া যায়। যেমন: ব্যঞ্জন+স্বর+ব্যঞ্জন, ব্যঞ্জন+স্বর+সুর কিংবা শব্দশেষের নাসিক্যব্যঞ্জন ইত্যাদি নানারকম জটিল ধ্বনিসমষ্টি দেখতে পাওয়া যায়।