প্রাসের গতি
From Wikipedia, the free encyclopedia
কোনো একটি বস্তুকে অনুভূমিকের সাথে তির্যকভাবে উপরের দিকে নিক্ষেপ করা হলে তাকে প্রাস বলে। আর এই ধরনের গতিকে প্রাসের গতি বলে। প্রাসের গতিপথ একটি প্যারাবোলা বা পরাবৃত্ত। এ ধরনের গতি দ্বিমাত্রিক গতি। বাতাসের বাধা উপেক্ষা করলে প্রাসের গতি কেবলমাত্র অভিকর্ষ বলের ক্রিয়ায় হয়। প্রাস সর্বোচ্চ উচ্চতায় পৌঁছালে এর বেগ সর্বনিম্ন হয়। আবার সর্বাধিক উচ্চতায় প্রাসের গতি একমাত্রিক হয়। প্রাস প্রক্ষেপণ বিন্দু হতে অনুভূমিক দিকে সর্বাধিক যে দূরত্ব অতিক্রম করে তাকে প্রাসের পাল্লা (Range) বলে।
প্রাসের গতিপথে অনুভুমিকের সাথে বস্তুর সরণ হয় এর কারণে। প্রাসের গতিতে বস্তুর বেগের আনুভূমিক উপাংশ বা অক্ষের উপাংশ স্থির থাকে (বাতাসের বেগ উপেক্ষা করা হয়েছে) । কিন্তু বেগের অক্ষের উপাংশ সর্বদা পরিবর্তনশীল । প্রথমে তা কমতে থাকে মানে মন্দন ঘটে । যখন অক্ষের বেগ 0 হয় তখন বস্তুটি সর্বোচ্চ উচ্চতায় পৌছে গেছে।
এই মন্দনের কারণ বস্তুটি অভিকর্ষজ ত্বরণের বিরুদ্ধে গতিশীল। তাই ঋণাত্মক g এর কারণে মন্দন ঘটে । সর্বোচ্চ উচ্চতায় যাওয়ার পর অভিকর্ষজ ত্বরণ কাজ করে, তাই অক্ষের উপাংশের মানের বেগ বৃদ্ধি পায় । ভূমি স্পর্শ করার আগ মুহূর্ত পর্যন্ত ত্বরণ ঘটে।
কোনো বস্তুর বিচরণকাল বা উড্ডয়নকাল বা কতোক্ষণ হাওয়াতে ভাসবে তা আদিবেগের অক্ষের উপাংশের () উপর নির্ভরশীল।
কোনো বস্তুকে একটি নির্দিষ্ট বেগে সর্বোচ্চ পাল্লা পেতে হলে কোণে নিক্ষেপ করতে হবে।