Loading AI tools
উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
ফিলিস্তিনি জাতীয় কর্তৃপক্ষ বা পিএ অথবা পিএনএ ( আরবি: السلطة الوطنية الفلسطينية ; as-Sulṭa al-Waṭanīya al-Filasṭīnīya) হল ফাতাহ-নিয়ন্ত্রিত একটি সরকারী সংস্থা, [4][5] যা পশ্চিম তীরের ওপর আংশিক বেসামরিক নিয়ন্ত্রণ আছে।[6] ১৯৯৩–১৯৯৫ অসলো চুক্তির ফলস্বরূপ এই সংস্থাটি গঠিত হয়। এটি আনুষ্ঠানিকভাবে ফিলিস্তিন রাষ্ট্র নামেও পরিচিত। [5] ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ ২০০৬ সালে সংঘটিত ফিলিস্তিনি নির্বাচনের আগে গাজা উপত্যকা নিয়ন্ত্রণ করতো এবং ফাতাহ ও হামাসের মধ্যে পরবর্তী দ্বন্দ্বে এটি হামাসের কাছে গাজার নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছিল।
ফিলিস্তিনি জাতীয় কর্তৃপক্ষ السلطة الفلسطينية الوطنية as-Sulṭa al-Waṭanīya al-Filasṭīnīya | |
---|---|
ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ পশ্চিম তীরের ১৬৭ টি ছিটমহল ও গাজা উপত্যকায় আংশিক বেসামরিক নিয়ন্ত্রণ প্রয়োগ করে। [1] | |
প্রশাসনিক কেন্দ্র | রামাল্লাহ ৩১°৫৪′ উত্তর ৩৫°১২′ পূর্ব |
বৃহত্তম নগরী | গাজা ৩১°৩১′ উত্তর ৩৪°২৭′ পূর্ব |
সরকারি ভাষা | আরবি |
জাতীয়তাসূচক বিশেষণ | ফিলিস্তিনি |
ধরন | অস্থায়ী স্ব-সরকার সংস্থা |
সরকার | অর্ধ-রাষ্ট্রপতি শাসিত[2] |
মাহমুদ আব্বাস | |
মুহাম্মদ মোস্তফা | |
আইন-সভা | লেজিসলেটিভ কাউন্সিল |
বেসামরিক ক্ষমতার আংশিক প্রতিনিধি দল ইসরায়েল প্রশাসন থেকে | |
১৩ সেপ্টেম্বর, ১৯৯৩ | |
১৯৯৪ | |
১৯৯৫ | |
২০০৭ | |
• ফিলিস্তিন রাষ্ট্র জাতিসংঘের একটি অ-সদস্য রাষ্ট্রে পরিণত হয় | ২৯ নভেম্বর, ২০১২ |
মুদ্রা |
|
সময় অঞ্চল | ইউটিসি+২ (ইইটি) |
ইউটিসি+৩ (ইইএসটি) | |
তারিখ বিন্যাস | দিন/মাস/বছর |
কলিং কোড | +৯৭০ |
আইএসও ৩১৬৬ কোড | PS |
ইন্টারনেট টিএলডি | .ps |
সংস্থাটি গাজা ভূখণ্ড দাবি করে চলেছে; যদিও হামাস কার্যত নিয়ন্ত্রণ অনুশীলন করে। জানুয়ারি, ২০১৩ সাল থেকে, ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ সরকারী নথিতে "ফিলিস্তিন রাষ্ট্র" নাম ব্যবহার করছে, যদিও জাতিসংঘ ফিলিস্তিন মুক্তি সংস্থাকে ফিলিস্তিনি জনগণের প্রতিনিধি হিসাবে স্বীকৃতি দিয়ে চলেছে। [7]
ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ ১৯৯৪ সালে ফিলিস্তিন মুক্তিসংস্থা এবং ইসরায়েল সরকারের মধ্যে গাজা-জেরিকো চুক্তি অনুসারে গঠিত হয়েছিল এবং তা একটি পাঁচ বছরের অন্তর্বর্তী সংস্থা হওয়ার উদ্দেশ্যে ছিল এবং এর চূড়ান্ত অবস্থা সম্পর্কে উভয় পক্ষের মধ্যে আরও আলোচনা হওয়ার কথা ছিল।
অসলো চুক্তি অনুসারে ফিলিস্তিনি জাতীয় কর্তৃপক্ষকে ফিলিস্তিনি শহুরে এলাকায় নিরাপত্তা-সম্পর্কিত এবং বেসামরিক উভয় সমস্যার জন্য একচেটিয়া নিয়ন্ত্রণক হিসেবে মনোনীত করা হয়েছিল এবং তা এরিয়া এ(A) নামে পরিচিত হয়। এছাড়া গ্রামীণ ফিলিস্তিনি এলাকা জুড়ে শুধুমাত্র বেসামরিক নিয়ন্ত্রণ ("এরিয়া বি" ) এর হাতে থাকবে এবং ইসরায়েলি বসতি, জর্ডান উপত্যকা ও ফিলিস্তিনিদের মধ্যে বাইপাস রাস্তাসহ বাকি অঞ্চল ইসরায়েলি নিয়ন্ত্রণে থাকবে (এরিয়া সি)।
পূর্ব জেরুজালেম এই চুক্তি থেকে বাদ পড়ে যায়। বেশ কয়েকবার ইসরায়েলীয় সরকারের সাথে আলোচনার ফলে কর্তৃপক্ষ আরো কিছু এলাকার সামান্য নিয়ন্ত্রণ লাভ করে। কিন্তু দ্বিতীয় ইন্তিফাদার সময়ে ইসরায়েল প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) যখন বেশ কয়েকটি কৌশলগত অবস্থান পুনরুদ্ধার করে, তখন কয়েকটি এলাকার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে যায়। ২০০৫ সালে দ্বিতীয় ইন্তিফাদার পর ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় নিজের বসতিগুলি থেকে একতরফাভাবে সেনা প্রত্যাহার করে নেয়। যার ফলে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের নিয়ন্ত্রণ সমগ্র অঞ্চলে প্রসারিত হয়। [8] তখন ইস্রায়েল ক্রসিং পয়েন্ট, আকাশসীমা ও গাজা উপকূলে জল নিয়ন্ত্রণ অব্যাহত রাখে। [9]
২০০৬ সালের ২৫ জানুয়ারী, ফিলিস্তিনের আইনসভা নির্বাচনে হামাস বিজয়ী হয় এবং ইসমাইল হানিয়াকে কর্তৃপক্ষের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মনোনীত করা হয়েছিল এবং একটি জাতীয় ঐক্য ফিলিস্তিনি সরকার গঠন করা হয়। তবে হামাস ও ফাতাহর মধ্যে একটি সহিংস সংঘর্ষে কার্যকরভাবে জাতীয় ঐক্য সরকারের পতন ঘটে; বিশেষ করে গাজা উপত্যকায়।
২০০৭ সালের ১৪ জুন গাজা উপত্যকা হামাসের হাতে আসার পর এ কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মাহমুদ আব্বাস হামাসের নেতৃত্বাধীন ঐক্য সরকারকে বরখাস্ত করেন। হানিয়াহকে বরখাস্ত করে সালাম ফায়াদকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেন। তার এই পদক্ষেপটি হামাস দ্বারা স্বীকৃত হয়নি এবং এভাবে দুটি পৃথক প্রশাসন–পশ্চিম তীরে ফাতাহ নেতৃত্বাধীন ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ ও গাজা উপত্যকায় তার প্রতিদ্বন্দ্বী হামাস সরকার–গঠিত হয়। এরপর ফিলিস্তিনি সরকার দুটিকে একত্র করার জন্য পুনর্মিলন প্রক্রিয়া কয়েক বছর যাবত চলার পর কিছু অগ্রগতি অর্জিত হলেও পুনরায় একত্রীকরণ করতে ব্যর্থ হয়েছে।
ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে আর্থিক সহায়তা পেয়েছে এবং সংসদ নির্বাচনে হামাসের বিজয়ের ফলে ২০০৬ সালের ৭ ই এপ্রিলে সমস্ত প্রত্যক্ষ সাহায্য স্থগিত করা হয়েছিল। [10] [11] এর কিছুদিন পরেই, সাহায্য প্রদান আবার শুরু হয়; কিন্তু সাহায্য সরাসরি পশ্চিম তীরে মাহমুদ আব্বাসের অফিসে পাঠানো হয়। [12]
২০০৯ সালের ৯ই জানুয়ারীতে যখন রাষ্ট্রপতি হিসাবে মাহমুদ আব্বাসের মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা ছিল এবং নির্বাচনের আহ্বান করা হয়েছিল, তখন হামাস সমর্থক ও গাজা উপত্যকায় অনেকেই তার রাষ্ট্রপতির স্বীকৃতি প্রত্যাহার করে নেয় এবং তার পরিবর্তে ফিলিস্তিনের স্পিকার আজিজ দুইককে বিবেচনা করা হয়। দেশের আইন পরিষদ নতুন নির্বাচন না অনুষ্ঠিত হওয়া পর্যন্ত ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করবেন বলে গৃহীত হয়। [13]
ফিলিস্তিন রাষ্ট্রটি ১৩৮টি জাতি দ্বারা স্বীকৃত। নভেম্বর, ২০১২ থেকে জাতিসংঘ ফিলিস্তিনকে জাতিসংঘের অ-সদস্য পর্যবেক্ষক রাষ্ট্র হিসাবে স্বীকৃতি দেওয়ার পক্ষে ভোট দিয়েছে। [14] [15] [16] ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ হল একটি কর্তৃত্ববাদী শাসন, যা ১৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে নির্বাচন করেনি। এছাড়া এটি মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্যও সমালোচিত হয়েছে। যার মধ্যে আছে সাংবাদিক, মানবাধিকার কর্মীদের বিরুদ্ধে দমন-পীড়ন ও এর ভিন্নমতালম্বীদের দমন। [17]
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.