![cover image](https://wikiwandv2-19431.kxcdn.com/_next/image?url=https://upload.wikimedia.org/wikipedia/commons/thumb/9/9d/Mangal_Shobhajatra_in_Dhaka.jpg/640px-Mangal_Shobhajatra_in_Dhaka.jpg&w=640&q=50)
পহেলা বৈশাখ
বঙ্গাব্দের প্রথম দিন যা নববর্ষ হিসেবে পালিত হয় / From Wikipedia, the free encyclopedia
পহেলা বৈশাখ বা পয়লা বৈশাখ (বাংলা পঞ্জিকার প্রথম মাস বৈশাখের ১ তারিখ) বঙ্গাব্দের প্রথম দিন, তথা বাংলা নববর্ষ। দিনটি সকল বাঙালি জাতির ঐতিহ্যবাহী বর্ষবরণের দিন। দিনটি বাংলাদেশ এবং ভারতের পশ্চিমবঙ্গে নববর্ষ হিসেবে বিশেষ উৎসবের সাথে পালিত হয়। ত্রিপুরায় বসবাসরত বাঙালিরাও এই উৎসবে অংশ নিয়ে থাকে। পহেলা বৈশাখ বাংলাদেশে জাতীয় উৎসব হিসেবে পালিত হয়ে থাকে। সে হিসেবে এটি বাঙালিদের একটি সর্বজনীন লোকউৎসব হিসাবে বিবেচিত।[1] পহেলা বৈশাখ উদযাপনের শুরু হয়েছিল পুরান ঢাকার মুসলিম মাহিফরাস সম্প্রদায়ের হাতে।[2][3]
পহেলা বৈশাখ | |
---|---|
![]() ঢাকায় পহেলা বৈশাখ উদ্যাপন | |
আনুষ্ঠানিক নাম | পহেলা বৈশাখ |
অন্য নাম | বাংলা নববর্ষ |
পালনকারী | বাঙালি জাতি |
উপাসনার রঙ | রামধনু |
তাৎপর্য | জাতিগত |
উদযাপন | বৈশাখী মেলা, মঙ্গল শোভাযাত্রা, হালখাতা |
পালন | বাংলাদেশ (১৪ই এপ্রিল) (জাতীয়) ভারত (১৫ই এপ্রিল) |
তারিখ | ১ বৈশাখ |
সংঘটন | বার্ষিক |
সম্পর্কিত | দক্ষিণ এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় সৌর নববর্ষ |
গ্রেগরীয় বর্ষপঞ্জি অনুসারে বাংলাদেশের প্রতি বছর ১৪ই এপ্রিল এই উৎসব পালিত হয়। বাংলা একাডেমি কর্তৃক নির্ধারিত আধুনিক বাংলা পঞ্জিকা অনুসারে এই দিন নির্দিষ্ট করা হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে চান্দ্রসৌর বাংলা পঞ্জিকা অনুসারে ১৫ই এপ্রিল পহেলা বৈশাখ পালিত হয়। এছাড়াও দিনটি বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের সরকারি ছুটির দিন হিসেবে গৃহীত। বিভিন্ন পর্যায়ের ব্যবসায়ীরা দিনটি নতুনভাবে ব্যবসা শুরু করার উপলক্ষ হিসেবে বরণ করে নেয়।
এই উৎসবটি শোভাযাত্রা, মেলা, পান্তাভাত খাওয়া, হালখাতা খোলা ইত্যাদি বিভিন্ন কর্মকান্ডের মধ্য দিয়ে উদ্যাপন করা হয়। বাংলা নববর্ষের ঐতিহ্যবাহী শুভেচ্ছা বাক্য হল “শুভ নববর্ষ”। নববর্ষের সময় বাংলাদেশে মঙ্গল শোভাযাত্রার আয়োজন করা হয়। ২০১৬ সালে, ইউনেস্কো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক আয়োজিত এই উৎসব শোভাযাত্রাকে “মানবতার অমূল্য সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য” হিসেবে ঘোষণা করে।[4]
বাংলা দিনপঞ্জীর সাথে হিজরি এবং খ্রিস্টীয় সনের মৌলিক পার্থক্য হলো হিজরী সন চাঁদের হিসাবে এবং খ্রিস্টীয় সন আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী নির্ধারিত হয়। এ কারণে হিজরী সনে নতুন তারিখ শুরু হয় সন্ধ্যায় আকাশে নতুন চাঁদ দৃশ্যমান হওয়ার পর আর খ্রিস্টীয় সনে নতুন দিন শুর হয় ইউটিসি±০০:০০ অনুযায়ী। পহেলা বৈশাখ রাত ১২টা থেকে শুরু না হয়ে সূর্যোদয় থেকে শুরু এ নিয়ে ভিন্নমত রয়েছে, ঐতিহ্যগত ভাবে সূর্যোদয় থেকে বাংলা দিন গণনার রীতি থাকলেও ১৪০২ বঙ্গাব্দের ১লা বৈশাখ থেকে বাংলা একাডেমি এই নিয়ম বাতিল করে আন্তর্জাতিক রীতির সাথে সামঞ্জস্য রাখতে রাত ১২:০০টায় দিন গণনা শুরুর নিয়ম চালু করে।[5][6]
![](http://upload.wikimedia.org/wikipedia/commons/thumb/e/e2/Pohela_boishakh_2.jpg/320px-Pohela_boishakh_2.jpg)
![](http://upload.wikimedia.org/wikipedia/commons/thumb/5/53/Pohela_boishakh_10.jpg/320px-Pohela_boishakh_10.jpg)
![](http://upload.wikimedia.org/wikipedia/commons/thumb/4/4e/%E0%A6%90%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%B9%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%B9%E0%A7%80_%E0%A6%AC%E0%A7%88%E0%A6%B6%E0%A6%BE%E0%A6%96%E0%A7%80_%E0%A6%AE%E0%A7%87%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%B0_%E0%A6%8F%E0%A6%95%E0%A6%9F%E0%A6%BF_%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A6%B2.jpg/640px-%E0%A6%90%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%B9%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%B9%E0%A7%80_%E0%A6%AC%E0%A7%88%E0%A6%B6%E0%A6%BE%E0%A6%96%E0%A7%80_%E0%A6%AE%E0%A7%87%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%B0_%E0%A6%8F%E0%A6%95%E0%A6%9F%E0%A6%BF_%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A6%B2.jpg)