বিশ্ব সিরিজ ক্রিকেট
পেশাদার ক্রিকেট প্রতিযোগিতা / From Wikipedia, the free encyclopedia
বিশ্ব সিরিজ ক্রিকেট (ডব্লিউএসসি) ১৯৭৭ থেকে ১৯৭৯ সময়কালে অনুষ্ঠিত বিভিন্ন দেশ খ্যাতনামা ক্রিকেটারদের নিয়ে অনুষ্ঠিত ভিন্ন ধাঁচের পেশাদার ক্রিকেট প্রতিযোগিতা ছিল। অস্ট্রেলীয় টেলিভিশন নাইন নেটওয়ার্কসের মালিক ও ধনকুবের কেরি প্যাকারের ব্যবস্থাপনায় এ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। খেলাগুলো আয়োজনের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের বিরোধিতা করা হয়েছিল। বিশ্ব সিরিজ ক্রিকেট ক্ষিপ্রতার সাথে আয়োজনের ফলে ক্রিকেটের ধরন পরিবর্তনে ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করে। অদ্যাবধি এর প্রভাব ক্রিকেট অঙ্গনে রয়ে গেছে।
বিশ্ব সিরিজ ক্রিকেট | |
---|---|
ব্যবস্থাপক | ক্যারি প্যাকার |
খেলার ধরন | বিভিন্ন |
প্রথম টুর্নামেন্ট | ১৯৭৭ |
শেষ টুর্নামেন্ট | ১৯৭৯ বিশ্ব সিরিজ কাপ |
দলের সংখ্যা | ডব্লিউএসসি অস্ট্রেলিয়া একাদশ ডব্লিউএসসি বিশ্ব একাদশ ডব্লিউএসসি ওয়েস্ট ইন্ডিজ একাদশ |
সর্বাধিক উইকেট | ডেনিস লিলি |
ডব্লিউএসসি প্রবর্তনে দুইটি প্রধান উপাদান কাজ করেছে। খেলোয়াড়দের ক্রিকেট খেলায় অংশগ্রহণে জীবন ধারনের উপযোগী পর্যাপ্ত আর্থিক সহায়তা না পাবার বিষয়টি বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দেয়া; এবং ঐ সময়ে অস্ট্রেলিয়ান ব্রডকাস্টিং কমিশনে (এবিসি) অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটের সম্প্রচারসত্ত্বকে ব্যাপকভাবে কেরি প্যাকারের ইচ্ছার মাধ্যমে পরিচালনার নিশ্চয়তা আনয়ণ।
অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেট বোর্ড (এসিবি) ১৯৭৬ সালে অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিত টেস্ট খেলাগুলোর টেলিভিশন সম্প্রচারে চ্যানেল নাইনের দরপত্র প্রত্যাখ্যান করে। ফলে, কেরি প্যাকার অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, পাকিস্তান, দক্ষিণ আফ্রিকা ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের শীর্ষস্থানীয় খেলোয়াড়দের সাথে গোপনে চুক্তিতে আবদ্ধ হন ও নিজস্ব সিরিজ আয়োজনে অগ্রসর হন।
খেলোয়াড়দের মধ্যে ইংল্যান্ডের অধিনায়ক টনি গ্রেগ, ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান অধিনায়ক ক্লাইভ লয়েড, অস্ট্রেলীয় অধিনায়ক গ্রেগ চ্যাপেল, পাকিস্তানের ভবিষ্যতের অধিনায়ক ইমরান খান ও সাবেক অস্ট্রেলীয় অধিনায়ক ইয়ান চ্যাপেল অন্তর্ভুক্ত ছিলেন। প্যাকার তাঁকে সহযোগিতার জন্যে জন কর্নেল ও অস্টিন রবার্টসন নামীয় বিশিষ্ট ব্যবসায়ীদেরকে নিযুক্ত করেন। তাঁরা সিরিজ আয়োজনের শুরুরদিক সামাল দেন ও প্রশাসনিক কাজে অংশ নেন।