একটি ওয়্যারলেস নেটওয়ার্ক হলো একটি কম্পিউটার নেটওয়ার্ক যা নেটওয়ার্ক নোডের মধ্যে ওয়্যারলেস ডেটা সংযোগ ব্যবহার করে।[1]

Thumb
ওয়্যারলেস আইকন

ওয়্যারলেস নেটওয়ার্কিং হলো এমন একটি পদ্ধতি যার মাধ্যমে ঘরবাড়ি, টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্ক এবং ব্যবসায়িক স্থাপনা একটি বিল্ডিংয়ে ক্যাবল প্রবর্তনের ব্যয়বহুল প্রক্রিয়া বা বিভিন্ন যন্ত্রপাতির অবস্থানের মধ্যে সংযোগ হিসাবে এড়ায়।[2] অ্যাডমিন টেলিকমিউনিকেশন নেটওয়ার্ক সাধারণত রেডিও কমিউনিকেশন ব্যবহার করে বাস্তবায়িত এবং পরিচালিত হয়। এই বাস্তবায়ন ওএসআই মডেল নেটওয়ার্ক কাঠামোর শারীরিক স্তরে সঞ্চালিত হয়।[3]

ওয়্যারলেস নেটওয়ার্কের উদাহরণের মধ্যে রয়েছে সেলুলার নেটওয়ার্ক, ওয়্যারলেস লোকাল এরিয়া নেটওয়ার্ক (WLANs), ওয়্যারলেস সেন্সর নেটওয়ার্ক, স্যাটেলাইট কমিউনিকেশন নেটওয়ার্ক এবং টেরেস্ট্রিয়াল অণুতরঙ্গ নেটওয়ার্ক।[4]

ইতিহাস

ওয়্যারলেস নেটওয়ার্ক

১৯৬৯ সালে হাওয়াই বিশ্ববিদ্যালয়ে অ্যালোহনেট ব্র্যান্ডের অধীনে প্রথম পেশাদারী ওয়্যারলেস নেটওয়ার্ক তৈরি করা হয় এবং ১৯৭১ সালের জুন মাসে এটি চালু হয়। প্রথম বাণিজ্যিক ওয়্যারলেস নেটওয়ার্ক ছিল ওয়েভল্যানের পণ্য, যা ১৯৮৬ সালে এনসিআর দ্বারা বিকশিত হয়েছিল।

অন্তর্নিহিত প্রযুক্তি

মসফেট (মস ট্রানজিস্টার) ওয়্যারলেস প্রযুক্তির অগ্রগতি ডিজিটাল ওয়্যারলেস নেটওয়ার্কগুলির বিকাশকে সক্ষম করেছে। আরএফ সিমস (রেডিও কম্পাঙ্ক সিমস), পাওয়ার মসফেট এবং এলডিমস (ল্যাটারাল ডিফিউজড মস) ডিভাইসগুলির ব্যাপক গ্রহণ ১৯৯০-এর দশকে ডিজিটাল ওয়্যারলেস নেটওয়ার্কের বিকাশ ও বিস্তারের দিকে পরিচালিত করে, মসফেট প্রযুক্তির আরও অগ্রগতির ফলে ২০০০-এর দশকে ব্যান্ডউইথ বৃদ্ধি পায় (এডহমের আইন)।[5][6][7] মোবাইল ট্রান্সসিভার, বেস স্টেশন মডিউল, রাউটার, আরএফ পাওয়ার এম্প্লিফায়ার,[6] টেলিকমিউনিকেশন সার্কিট,[8] আরএফ সার্কিট এবং রেডিও ট্রান্সসিভার[7] সহ ২জি, ৩জি[5] এবং ৪জি এর মতো নেটওয়ার্কের বেশিরভাগ অপরিহার্য উপাদান মসফেট থেকে তৈরি করা হয়।[6]

তথ্যসূত্র

বহিঃসংযোগ

Wikiwand in your browser!

Seamless Wikipedia browsing. On steroids.

Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.

Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.