Loading AI tools
অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটার উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
ব্র্যাডলি জন হজ (ইংরেজি: Brad Hodge; জন্ম: ২৯ ডিসেম্বর, ১৯৭৪) ভিক্টোরিয়ার স্যান্ড্রিংহাম এলাকায় জন্মগ্রহণকারী প্রথিতযশা সাবেক অস্ট্রেলীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার। ডানহাতি ব্যাটিংয়ের অধিকারী ব্রাড হজ মাঝারিসারির ব্যাটসম্যান হিসেবে অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দলে খেলছেন। এছাড়াও দলের প্রয়োজনে ডানহাতি অফ-স্পিন বোলিং করে থাকেন তিনি। অস্ট্রেলিয়া দলের পক্ষে তিনি মাত্র ৬ টেস্ট ও ২৫টি একদিনের আন্তর্জাতিকে অংশগ্রহণ করতে পেরেছেন।[2] সেন্ট বেডে'স কলজের প্রাক্তন ছাত্র ব্র্যাড হজ ঘরোয়া অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটে ভিক্টোরিয়ার প্রতিনিধিত্ব করছেন।
ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | ব্র্যাডলি জন হজ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | সান্দ্রিংহাম, ভিক্টোরিয়া, অস্ট্রেলিয়া | ২৯ ডিসেম্বর ১৯৭৪|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ডাকনাম | ডজবল, বাঙ্কি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উচ্চতা | ১৭৮ সেমি (৫ ফু ১০ ইঞ্চি)[1] | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | ডানহাতি অফ স্পিন | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | মাঝারিসারির ব্যাটসম্যান | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল |
| |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টেস্ট অভিষেক (ক্যাপ ৩৯৪) | ১৭ নভেম্বর ২০০৫ বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টেস্ট | ২২ মে ২০০৮ বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ওডিআই অভিষেক (ক্যাপ ১৫৪) | ৩ ডিসেম্বর ২০০৫ বনাম নিউজিল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ ওডিআই | ১৭ অক্টোবর ২০০৭ বনাম ভারত | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ওডিআই শার্ট নং | ১৭ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ঘরোয়া দলের তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বছর | দল | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৯৩-২০১২ | ভিক্টোরিয়া | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০০৫-২০১১ | ল্যাঙ্কাশায়ার | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০০৩-২০১৪ | লিচেস্টারশায়ার | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০০২ | ডারহাম | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০০৮-২০১০ | কলকাতা নাইট রাইডার্স | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০১১ | কোচি তুস্কার্স কেরালা | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০১১-২০১২ | মেলবোর্ন রেনেগেডেস | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০১২– | বরিশাল বার্নার্স | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০১২– | রাজস্থান রয়্যালস | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০১২-২০১৪ | মেলবোর্ন স্টার্স | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০১৪– | অ্যাডিলেড স্ট্রাইকার্স | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ক্রিকইনফো, ২৭ এপ্রিল ২০১৭ |
১৯ বছর বয়সে ভিক্টোরিয়ান বুশর্যাঞ্জার্স দলে অভিষেক ঘটে তার। অস্ট্রেলিয়ার বিখ্যাত ব্যাটসম্যান ডিন জোন্স তাকে 'গ্লোভলিক' ডাকনামে নামাঙ্কিত করেন। এছাড়াও তিনি 'বাঙ্কি' ডাকনামে পরিচিত ছিলেন। ২০০০ ও ২০০১ সালে ল্যাঙ্কাশায়ার লীগ ক্রিকেটে র্যামসবটম ক্রিকেট ক্লাবের সদস্য ছিলেন। তন্মধ্যে ২০০১ সালে ক্লাবের পক্ষে ব্যাটিং রেকর্ড ভঙ্গ করেন।
ঘরোয়া ক্রিকেটে চমকপ্রদ ব্যাটিং করে রান সংগ্রহ করেছেন। ২০ সেঞ্চুরিসহ ৫,৫৯৭ রান করে অস্ট্রেলিয়ার আন্তঃরাজ্যের সীমিত ওভারের একদিনের খেলায় রেকর্ড গড়েন।[3] এছাড়াও, শেফিল্ড শিল্ডে ভিক্টোরিয়ার পক্ষে ১০,৪৭৪ রান করে সর্বাধিক রানের মালিক হন।
দীর্ঘদিন অপেক্ষা করার পর অবশেষে নভেম্বর, ২০০৫ সালে অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দলের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট অঙ্গনে অভিষিক্ত হন। অস্ট্রেলিয়া দলে তার দেরীতে অন্তর্ভূক্তির বিষয়ে তিনি মন্তব্য করেন যে, এরজন্য নিউ সাউথ ওয়েলসের পক্ষপাতদুষ্ট আচরণই দায়ী।[4] হোবার্টের বেলেরিভ ওভালে সফরকারী ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ২০০৫-০৬ মৌসুমের টেস্ট সিরিজে ৩৯৪তম ব্যাগি গ্রিন পড়েন তিনি। ১৯ ডিসেম্বর, ২০০৫ তারিখে পার্থে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে প্রথম সেঞ্চুরি করেন। তৃতীয় দিনে ৯১* রানে অপরাজিত থাকার পর পরদিন তিনি অপরাজিত ২০৩* সংগ্রহ করেন। তার এ ইনিংসে অস্ট্রেলীয় সমর্থকদের কাছ থেকে অধিনায়ক রিকি পন্টিং বেশ সমালোচিত হন। তাদের ধারণা যে, দ্বি-শতকের ফলে পন্টিং ইনিংস ডিক্লেয়ার করতে দেরী করেন। যার কারণে, খেলা ড্রয়ে পরিণত হয়।
১৮ মার্চ, ২০০৭ তারিখে অনুষ্ঠিত ২০০৭ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপে হজ হল্যান্ডের বিপক্ষে তার প্রথম ওডিআই শতরান করেন। ৭ ছক্কা ও ৮ চারের মারে ৮৯ বলের তিনি ১২৩ রান তোলেন। তন্মধ্যে শেষ ২৮ বলে তুলেছিলেন ৭৩ রান। এছাড়াও মাইকেল ক্লার্কের সাথে ৪র্থ উইকেট জুটিতে রেকর্ডসংখ্যক ২০৪ রান সংগ্রহ করেন।[5] খেলায় তিনি ম্যান অব দ্য ম্যাচ মনোনীত হন। কিন্তু, পরের খেলাতেই তাকে বাদ দিয়ে অ্যান্ড্রু সাইমন্ডসকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। অবশ্য পরবর্তীতে শেন ওয়াটসনের আঘাতপ্রাপ্তির কারণে তাকে পুনরায় প্রথম একাদশে নেয়া হয়। ডিসেম্বর, ২০১০ তারিখে ২০১১ সালের বিশ্বকাপের জন্য প্রাথমিক তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হলেও চূড়ান্ত দলে ঠাঁই হয়নি তার।
জানুয়ারি, ২০১২ সালে একদিনের আন্তর্জাতিক থেকে অবসরের ঘোষণা দেন। পাশাপাশি ভিক্টোরিয়া থেকেও অবসর নেন। এক স্বাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, আমি মনে করি এখন সময় হয়েছে বিদায় নেয়ার। এরফলে নতুনদের খেলার সুযোগ ঘটবে।[3]
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.