ভৌত বিশ্বতত্ত্ব
জ্যোতির্বিজ্ঞানের শাখা / From Wikipedia, the free encyclopedia
ভৌত বিশ্বতত্ত্ব জ্যোতিঃপদার্থবিজ্ঞানের একটি শাখা যা মহাবিশ্বের বৃহৎ পরিসর গঠন নিয়ে আলোচনা করে এবং এর সৃষ্টি বিবর্তন সংক্রান্ত মৌলিক প্রশ্নসমূহের সদুত্তর দেয়ার চেষ্টা করে থাকে। বিশ্বতত্ত্ব মূলত খ-বস্তুসমূহের গতি এবং প্রথম কারণ নিয়ে গবেষণা করে। মানব ইতিহাসের অধিকাংশ সময়েই এটি অধিবিদ্যার শাখা হিসেবে অধিত হয়ে এসেছে। কোপার্নিকীয় নীতির মাধ্যমে বিশ্বতত্ত্ব একটি বিজ্ঞান হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়। উক্ত নীতিতে বলা হয়েছিলো যে খ-বস্তুসমূহ পৃথিবী থেকে দৃশ্যমান এবং আমাদের দৃষ্টিসীমানার বাইরে অবস্থিত সকল খ-বস্তুই সুনির্দিষ্ট ভৌত আইন মেনে চলে। নিউটনীয় বলবিদ্যাই প্রথম এই আইনের সুষ্পষ্ট ব্যাখ্যা দিতে সক্ষম হয়। বলবিদ্যার এই অংশটিকেই বর্তমানে খ-বলবিদ্যা বলা হয়, কারণ আইনস্টাইনের আপেক্ষিক তত্ত্ব আবিষ্কারের পর এখন বিষয়টি পরিষ্কার যে এই আইন কেবল বৃহৎ বস্তু তথা খ-বস্তুদের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। আণবিক জগতের রয়েছে অন্য এক আইন।
বিংশ শতাব্দীতে বিশ্বতত্ত্বের জগতে প্রচুর গবেষণা হয়েছে আর এর ফলেই গড়ে উঠেছে বৃহৎ বিস্ফোরণ তত্ত্ব যা এখনকার প্রায় সকল বিজ্ঞানীই মহাবিশ্বের সৃষ্টির কারণ হিসেবে মনে করছেন। অবশ্য এখনও কিছু বিজ্ঞানী এবং গবেষক ভিন্ন মত পোষণ করেন যাদের মাধ্যমে আরো কিছু নীতি জন্মলাভ করেছে যা অস্থায়ি বিশ্বতত্ত্বের অন্তর্গত। সাধারণভাবে বলতে গেলে ভৌত বিশ্বতত্ত্ব মহাবিশ্বের অতিবৃহৎ বস্তুসমূহ নিয়ে আলোচনা করে, যেমন: ছায়াপথ, ছায়াপথ শ্রেণী ও স্তবক, ছায়াপথ মহাস্তবক ইত্যাদি। বিশ্বতত্ত্বের নীতিসমূহ কণা পদার্থবিজ্ঞানের জগতে প্রায় অচল।