মুহাম্মদ আলী জিন্নাহ
পাকিস্তানের জাতির জনক ও প্রথম গভর্নর জেনারেল / From Wikipedia, the free encyclopedia
মুহাম্মদ আলি জিন্নাহ (উর্দু: محمد علی جناح, গুজরাটি: મુહમ્મદ અલી જિન્નાહ) (/ɑːˈliː/; Arabic pronunciationⓘ, জন্মনাম মুহাম্মদ আলি জিন্নাহভাই; ২৫ ডিসেম্বর ১৮৭৬ – ১১ সেপ্টেম্বর ১৯৪৮) ছিলেন একজন গুজরাটি বংশদ্ভুত আইনজীবী, রাজনীতিবিদ ও পাকিস্তানের প্রতিষ্ঠাতা। ১৯১৩ সাল থেকে শুরু করে ১৯৪৭ সালের ১৪ আগস্ট পাকিস্তানের স্বাধীনতা পর্যন্ত জিন্নাহ নিখিল ভারত মুসলিম লীগের নেতা ছিলেন। স্বাধীনতার পর তিনি পাকিস্তানের প্রথম গভর্নর জেনারেল হন এবং আমৃত্যু এই পদে বহাল থাকেন। পাকিস্তানে তাকে কায়েদে আজম (মহান নেতা) ও বাবায়ে কওম (জাতির পিতা) হিসেবে সম্মান করা হয়।
মুহাম্মদ আলি জিন্নাহ محمد علی جناح મુહમ્મદ અલી જિન્નાહ | |
---|---|
পাকিস্তানের প্রথম গভর্নর জেনারেল | |
কাজের মেয়াদ ১৪ আগস্ট ১৯৪৭ – ১১ সেপ্টেম্বর ১৯৪৮ | |
সার্বভৌম শাসক | ষষ্ঠ জর্জ |
প্রধানমন্ত্রী | লিয়াকত আলি খান |
পূর্বসূরী | লর্ড লুই মাউন্টব্যাটেন (ভারতের ভাইসরয় হিসেবে) |
উত্তরসূরী | খাজা নাজিমুদ্দিন |
জাতীয় পরিষদের স্পিকার | |
কাজের মেয়াদ ১১ আগস্ট ১৯৪৭ – ১১ সেপ্টেম্বর ১৯৪৮ | |
ডেপুটি | মৌলভি তমিজউদ্দিন খান |
পূর্বসূরী | নতুন অফিস |
উত্তরসূরী | মৌলভি তমিজউদ্দিন খান |
পাকিস্তান গণপরিষদ | |
ডেপুটি | লিয়াকত আলি খান |
পূর্বসূরী | নতুন অফিস |
উত্তরসূরী | লিয়াকত আলি খান |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | মুহাম্মদ আলি জিন্নাহভাই (১৮৭৬-১২-২৫)২৫ ডিসেম্বর ১৮৭৬ |
মৃত্যু | ১১ সেপ্টেম্বর ১৯৪৮(1948-09-11) (বয়স ৭১) করাচি, পাকিস্তান |
সমাধিস্থল | মাজারে কায়েদ |
রাজনৈতিক দল |
|
দাম্পত্য সঙ্গী |
|
সন্তান | দিনা |
আত্মীয়স্বজন | জিন্নাহ পরিবার দেখুন |
প্রাক্তন শিক্ষার্থী | ইনস অব কোর্ট স্কুল অব ল |
জীবিকা | আইনজীবী রাজনীতিবিদ |
স্বাক্ষর |
জিন্নাহ করাচিতে জন্মগ্রহণ করেন। লন্ডনের লিঙ্কনস ইন থেকে তিনি ব্যরিস্টার হন। বিশ শতকের প্রথম দুই দশকে তিনি ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের গুরুত্বপূর্ণ নেতা হয়ে উঠেন। এসময় তিনি হিন্দু-মুসলিম ঐক্যের পৃষ্ঠপোষকতা করেন। ১৯১৬ সালে কংগ্রেস ও মুসলিম লীগের মধ্যে লখনৌ চুক্তির সময় তার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল। এসময় জিন্নাহ মুসলিম লীগেরও সদস্য ছিলেন। হোম রুল আন্দোলন সংগঠনে জিন্নাহ অন্যতম প্রধান নেতা হয়ে উঠেন। মুসলিমদের রাজনৈতিক অধিকার রক্ষার জন্য তিনি চৌদ্দ দফা সাংবিধানিক সংস্কার পরিকল্পনা প্রস্তাব করেন। কংগ্রেস মহাত্মা গান্ধীর সত্যাগ্রহে অংশ নিলে ১৯২০ সালে তিনি কংগ্রেস থেকে পদত্যাগ করেন। রাজনৈতিক দাবি আদায়ের ক্ষেত্রে তিনি নিয়মতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার পক্ষে ছিলেন।
১৯৪০ সাল নাগাদ জিন্নাহ এই অবস্থানে আসেন যে ভারতীয় মুসলিমদের নিজস্ব রাষ্ট্র থাকতে হবে। একই বছরে লাহোর প্রস্তাব পাশ হয়। এতে আলাদা রাষ্ট্রের দাবি তোলা হয়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় কংগ্রেস নেতারা কারাগারে আটক হয়ে পড়লে মুসলিম লীগ আরও শক্তিশালী হয়ে উঠে। যুদ্ধের পর অনুষ্ঠিত নির্বাচনে মুসলিমদের জন্য সংরক্ষিত আসনগুলোর অধিকাংশ আসনেই মুসলিম লীগ জয়ী হয়। শেষপর্যন্ত কংগ্রেস ও মুসলিম লীগ ঐক্যবদ্ধ ভারতের ক্ষমতার ভাগাভাগির জন্য একটি সাধারণ সিদ্ধান্তে পৌছতে ব্যর্থ হলে দেশ বিভাগের সিদ্ধান্ত হয়।
পাকিস্তানের প্রথম গভর্নর জেনারেল হিসেবে জিন্নাহ নতুন রাষ্ট্রের সরকার ও নীতি প্রণয়নের কাজ শুরু করেন। এছাড়া ভারত থেকে আসা লক্ষাধিক অভিবাসীর পুনর্বাসনের জন্যও তাকে কাজ করতে হয়। উদ্বাস্তু শিবির স্থাপনের কাজ তিনি ব্যক্তিগতভাবে তদারক করেন। স্বাধীনতার এক বছর পর ১৯৪৮ সালের সেপ্টেম্বরে জিন্নাহ মৃত্যুবরণ করেন।