মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব বাংলাদেশের একটি জনপ্রিয় ক্রীড়া সংগঠন।

দ্রুত তথ্য পূর্ণ নাম, ডাকনাম ...
মোহামেডান
পূর্ণ নামমোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব
ডাকনামসাদা কালো যোদ্ধা
প্রতিষ্ঠিত১৯৩৬
মাঠশহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত স্টেডিয়াম
কুমিল্লা, বাংলাদেশ
ধারণক্ষমতা১৮,০০০
সভাপতিআবদুল মুবীন
ম্যানেজারবাংলাদেশ ইমতিয়াজ আহমেদ নকীব
কোচবাংলাদেশ আলফাজ আহমেদ
লিগবিপিএল ফুটবল
২০২২-২৩৪র্থ
বর্তমান মৌসুম
বন্ধ
দ্রুত তথ্য মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের সক্রিয় বিভাগসমূহ ...
মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের সক্রিয় বিভাগসমূহ

ফুটবল (পুরুষ)

ফুটবল (মহিলা)

ক্রিকেট (পুরুষ)

হকি (পুরুষ)

ব্যাডমিন্টন

ভলিবল
বন্ধ

ইতিহাস

Thumb
১৯৬৯ সালে ঢাকা মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব লিমিটেডের সদস্য
Thumb
মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের সদরদপ্তর

ঢাকা মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব স্থাপিত হয় ১৯৩৬ সালে ঢাকার হাজারি বাগে,এটি কোলকাতা মোহামেডানের ঢাকাস্থ শাখা হিসাবে ঢাকার মুসলিম সমাজে ক্রীড়া জাগরণ সৃষ্টি করে। ১৯৪৭ সালে দেশ বিভাগের পরে ঢাকার ক্রীড়াঙ্গনে এক শুন্যতার সৃস্টি হয়, এই ক্রান্তিকালে কলকাতা মোহামেডানের বিখ্যাত ফুটবলার মোহাম্মাদ শাহজাহান ঢাকায় চলে আসেন ও ঢাকা মোহামেডানের দায়িত্ব নেন। তিনি ঢাকা মোহামেডানকে সুসংগঠিত ও পুর্নগঠিত করেন, ১৯৫৫ সাল পর্যন্ত ঢাকার ফুটবলে একক প্রাধান্য ছিল ঢাকা ওয়ান্ডার্সের। ১৯৫৬ সালে ঢাকা ওয়ান্ডার্সের কিছু তারকা ফুটবলার ও ক্লাব কর্মকর্তা ঢাকা মোহামেডানে যোগ দেন।এর পর ঢাকা মোহামেডান ধীরে ধীরে ঢাকার ফুটবলে প্রাধান্য বিস্তার করতে থাকে। ১৯৫৬ সালে প্রথম বারের মত ঢাকা লিগের ফাইনাল খেলে ও রানার্সআপ হয়।

Thumb
১৯৫৬ সালে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের খেলোয়াড়বৃন্দ

১৯৫৭ সালে প্রথম বারের মত মোহামেডান ঢাকা লিগ চ্যাম্পিয়ান হয়, একই বছর মোহামেডান স্বাধীনতা দিবস ফুটবল টুর্নামেন্ট ও চ্যাম্পিয়ন হয়। পরবর্তীতে মোহামেডান ক্রিকেট, হকি, ভলিবল, টেবিল টেনিস, ব্যাডমিন্টন, সাঁতার, জিমন্যাস্টিকস ইত্যাদি খেলাতেও শিরোপা জয় করে।[1]

বর্তমান খেলোয়াড়

২০২২-২৩ মৌসুমের জন্য ঢাকা মোহামেডানের খেলোয়াড়।

৪ নভেম্বর ২০২২ পর্যন্ত হালনাগাদকৃত।

টীকা: পতাকা জাতীয় দল নির্দেশ করে যা ফিফার যোগ্যতার নিয়মের অধীনে নির্ধারিত হয়েছে। খেলোয়াড়দের একাধিক জাতীয়তা থাকতে পারে যা ফিফা ভুক্ত নয়।

আরও তথ্য নং, অবস্থান ...
নং অবস্থান খেলোয়াড়
গো বাংলাদেশ আহসান হাবিব বিপু
বাংলাদেশ সাজল হাসান কালিন
বাংলাদেশ রাজিব হোসেন
বাংলাদেশ মেহেদী হাসান মিঠু
ব্রাজিল রজার ডুয়ার্টে
ইরান মেয়সাম শাহমাকভান্দজাদেহ
ভেনেজুয়েলা দানিয়েল ফেবলেস
বাংলাদেশ সৈয়দ রাকিব খান ইভান
বাংলাদেশ আমির হাকিম বাপ্পী
১০ মালি সুলেমান দিয়াবাত (অধিনায়ক)
১১ বাংলাদেশ জাফর ইকবাল
১২ বাংলাদেশ সাজ্জাদ হোসেন
১৪ বাংলাদেশ মানিক হোসেন মোল্লা
১৫ বাংলাদেশ আলমগীর কবির রানা
১৬ বাংলাদেশ আরিফ হোসেন
১৭ উজবেকিস্তান মুজাফফর মুজাফফরভ
১৮ বাংলাদেশ শাহরিয়ার ইমন
১৯ বাংলাদেশ আবিদ হোসেন
২০ বাংলাদেশ মইনুল ইসলাম মঈন
২১ বাংলাদেশ সানোয়ার হোসেন লাল
নং অবস্থান খেলোয়াড়
২২ গো বাংলাদেশ সাকিব আল হাসান
২৩ বাংলাদেশ নয়ন মিয়া
২৪ বাংলাদেশ আশরাফুল হক আসিফ
২৫ বাংলাদেশ সাদেকুজ্জামান ফাহিম
২৬ বাংলাদেশ হাসান মুরাদ টিপু
২৭ বাংলাদেশ মিনহাজ আবেদিন বাল্লু
২৮ বাংলাদেশ মোঃ জাহিদ হোসেন
৩০ গো বাংলাদেশ সুজন হোসেন
৩১ বাংলাদেশ মিরাজ মোল্লা
৩৩ বাংলাদেশ ওয়ালী ফয়সাল
৩৪ বাংলাদেশ নাজমুল হোসেন আকন্দ
৩৫ বাংলাদেশ জাহিদ হাসান শান্ত
৩৯ বাংলাদেশ মাহবুবুর রহমান সুফিল
৪০ গো বাংলাদেশ মাকসুদুর রহমান
বন্ধ

সময়কাল

১৯৩৩-১৯৮০

Thumb
মোহামেডানের ট্রেবল জয়ের নায়ক "বাংলার ম্যারাডোনা" সৈয়দ রুম্মান বিন ওয়ালী সাব্বির (১৯৮৬-১৯৯৭)

১৯৩৬ সালে মোহামেডানের জন্ম হলেও ১৯৫৫ সাল পর্যন্ত ঢাকার ফুটবলে একক প্রাধান্য ছিল ঢাকা ওয়ান্ডার্স ক্লাব|ঢাকা ওয়ান্ডার্স ক্লাবের। ১৯৫৬ সালে ওয়ান্ডার্স ক্লাবের কিছু তারকা খেলোয়াড় ঢাকা মোহামেডানে যোগ দিলে ১৯৫৭ সালে ঢাকা মোহামেডান প্রথম বারের মতো শিরোপা জিতে। ১৯৫৮ সালে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ান ঢাকা মোহামেডান লিগে ৩য় স্থান লাভ করে, ১৯৫৯ সালে তারা পুনরায় চ্যাম্পিয়ন হয় এবং একই বছর মোহামেডান আগা খান গোল্ড কাপ চ্যাম্পিয়ন হয়, ঢাকা মোহামেডান ৩য় বারের মত লিগ শিরোপা জিতে ১৯৬১ সালে,তারপর ১৯৬৩ ও ১৯৬৫ সালেও মোহামেডান লিগ শিরোপা জিতে, ১৯৬৬ ও ১৯৬৯ সালে মোহামেডান অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হয়,১৯৬৬ সালে মোহামেডান আলী বোগরা গোল্ডকাপ ও ১৯৬৮ সালে মোহামেডান থমাস কাপ চ্যাম্পিয়ন হয়। ১৯৭০ সালে বাংলাদেশের কিংবদন্তি ফুটবলার কাজী সালাউদ্দিন মোহামেডানে যোগ দেন কিন্তু মোহামেডান সে আসরে রানার্সআপ হয়। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে লিগ ফুটবল বন্ধ থাকে,পরবতীঁতে ১৯৭৪ সালে পুনরায় লিগ ফুটবল শুরু হয়,১৯৭৪ সালে ইকবাল স্পোর্টিং ক্লাব আবাহনী ক্রীড়া চক্র হিসেবে আত্ন প্রকাশ করে এবং সালাঊদ্দীন সহ মোহামেডানের বেশ কিছু তারকা ফুটবলার নবাগত আবাহনীতে যোগ দিলে মোহামেডানে শুন্যতার সৃস্টি হয়, ফলে মোহামেডান ১৯৭৪ সালে রানার্সআপ হয়। ৭৪ সালে মোহামেডানের এই ক্ষতির পরেও মোহামেডান আবার জেগে ওঠে এবং ১৯৭৫ ও ১৯৭৬ সালে টানা দুবার লিগ চ্যাম্পিয়ন হয়, ১৯৭৭ ও ১৯৭৯ সালে মোহামেডান রানার্সআপ ও ১৯৭৮ সালে লিগ চ্যাম্পিয়ন হয় এছাড়া ও মোহামেডান ১৯৫৭ থেকে ১৯৬৬ সালে ৫ বার স্বাধীনতা কাপ চ্যাম্পিয়ন হয়।

১৯৮০-১৯৯০

১৯৮০ থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত‌‌‌‌‌‌‌ ছিল বাংলাদেশের ফুটবলের মোহামেডান যুগ। এই ১০ বছর বাংলাদেশের ফুটবলে মোহামেডান ছিল এক অপ্রতিরোধ্য শক্তি।বাংলাদেশে প্রথম বারের মত শুরু হয় ফেডারেশন কাপ ফাইনালে এবং মোহামেডান প্রতিপক্ষ ব্রাদার্স ইঊনিয়নের সাথে ০-০ গোলে ড্র করে এবং ব্রাদার্সের সাথে যুগ্ম ভাবে চ্যাম্পিয়ন হয়, একই বছর মোহামেডানকে লিগ চ্যাম্পিয়ন হয়। ১৯৮১ সালে ফেডারেশন কাপ ফাইনালে মোহামেডান চিরপ্রতিদন্দী আবাহনী কে ২-০ গোলে পরাজিত করে চ্যাম্পিয়ন হয় এবং ৮১ সালে লিগে রানার্সআপ হয়। ১৯৮২ সালে মোহামেডান ট্রেবল শিরোপা জেতে, ১৯৮২ সালে কলকাতার দুর্গাপুরে আশীশ জব্বার শীল্ড চ্যাম্পিয়ন হয় মোহামেডান একই বছর মোহামেডান লিগ ও ফেডারেশন কাপ জিতে ট্রেবল শিরোপা জয় করে। ১৯৮৩ সালে মোহামেডান ফেডারেশন কাপ ফাইনালে আবাহনীকে ২-০ গোলে হারিয়ে হ্যট্রিক শিরোপা জেতে, ১৯৮৪ সালে ফেডারেশন কাপ ফাইনালে মোহামেডান আবাহনীর সাথে ০-০ গোলে ড্র করে এবং টানা ৪র্থ বারের মত ফেডারেশন কাপ চ্যাম্পিয়ন হয় এবং একই বছর তারা ঢাকা মেট্রোপলিটন কাপ চ্যাম্পিয়ন হয়। ১৯৮৬ সালে মোহামেডানে যোগদেন সাবেক ম্যান ইউ তারকা ও ইরানি গোল রক্ষক নাসের হেজাজী,এবং সে বছর মোহামেডান অপরাজিত লিগ চ্যাম্পিয়ন হয়। ১৯৮৭ সালের লিগেও মোহামেডান অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হয় এবং একই বছর তারা ঢাকা ওয়ান্ডার্সকে ১-০ গোলে হারিয়ে ফেডারেশন কাপ চ্যাম্পিয়ন হয়। ১৯৮৮ সালে নাসের হেজাজী ফুটবল থেকে অবসর নেন এবং মোহামেডানের ম্যানেজারের দায়িত্ব নেন, ১৯৮৮ সালের লিগে মোহামেডান চ্যাম্পিয়ন হয় এবং অপরাজিত হ্যাট্রিক শিরোপা লাভ করে, একই বছর তারা প্রথম বারের মত ফেডারেশন কাপে রানার্সআপ হয়। ১৯৮৯ সালে নাসের হেজাজী বাংলাদেশ জাতীয় দলের কোচ হিসেবে যোগ দেন, ১৯৮৯ সালে মোহামেডান আবাহনীকে ২-১ গোলে হারিয়ে ফেডারেশন কাপ চ্যাম্পিয়ন হয়। ১৯৯০ সালে মোহামেডান কোন শিরোপা জিততে পারেনি।

১৯৯১-২০০৯

১৯৯১ সালেও মোহামেডান কোন শিরোপা জিততে পারেনি।১৯৯১ সালের ফেডারেশন কাপের ফাইনালে ব্রাদার্স ইঊনিয়ন মোহামেডানকে টাইব্রেকারে ৪-২ ব্যাবধানে হারিয়ে প্রথম বারের মত ফেডারেশন কাপ শীরোপা জিতে এবং মোহামেডান ২য় বারের মত রানার্সআপ হয়।১৯৯১ সালেই মোহামেডান মাও মনি কাপ চ্যাম্পিয়ন হয়। ১৯৯৩ সালে মোহামেডান আবারো লিগ শিরোপা জিতে। ১৯৯৫ সালে ফেডারেশন কাপ ফাইনালে মোহামেডান আবাহনীকে টাইব্রেকারে ৬-৫ গোলে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়। ১৯৯৬ তে মোহামেডান অপরাজিত লিগ চ্যাম্পিয়ন হয়।

১৯৯৯ সালে মোহামেডান ভারতের অল এয়ারলাইন্স গোল্ড কাপ চ্যাম্পিয়ন হয় এবং একই বছর মোহামেডান তাদের ১৮ তম লিগ শিরোপা জিতে। ২০০২ সালে মোহামেডান মুক্তিযোদ্ধা সংসদকে ২-০ গোলে হারিয়ে ফেডারেশন কাপ চ্যাম্পিয়ন হয় এবং একই বছর তারা আবারো অপরাজিত লিগ চ্যাম্পিয়ন হয়। ২০০৮ সালে মোহামেডান আবাহনীকে টাইব্রেকারে (১-১)৩-২ গোলে হারিয়ে ফেডারেশন কাপ জিতে। ২০০৯ সালেও মোহামেডান টাইব্রেকারে ৪-১ গোলে আবাহনীকে হারিয়ে ফেডারেশন কাপ চ্যাম্পিয়ন হয়।

ক্রিকেট

দলটি ১৯৭৪-৭৫ মৌসুম থেকে ২০১২-১৩ মৌসুম পর্যন্ত ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগ জিতেছে ৯ বার, যা ঢাকা আবাহনীর ১৭ শিরোপার পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ।[2] তবে ২০১৩-১৪ মৌসুমে টুর্নামেন্টটি লিস্ট এ মর্যাদা পাওয়ার পর একবারও শিরোপা জিতে নি। দল টি দামাল সামার ক্রিকেট লিগে ৩ বার চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল।

ভলিবল

১৯৬৭-১৯৬৯ সালে মোহামেডান স্পোটিং ক্লাব ভলিবল খেলায় চ্যাম্পিয়ন হয়।

সাফল্য

১৯৮০*,১৯৮১,১৯৮২*,১৯৮৩,১৯৮৭,১৯৮৯,১৯৯৫,২০০২,২০০৮,২০০৯,২০২৩
১৯৭২,১৯৯১,২০১৪
২০০৯,২০১৩
১৯৫৯,১৯৬৪*,১৯৬৮
১৯৫৭,১৯৫৯,১৯৬১,১৯৬৩,১৯৬৫,১৯৬৬,১৯৬৯,১৯৭৫,১৯৭৬,১৯৭৮,১৯৮০,১৯৮২,১৯৮৬,১৯৮৭,১৯৮৮-৮৯,১৯৯৩,১৯৯৬,১৯৯৯,২০০২
(২)
২০০১-০২, ২০০৫-০৬

আরও দেখুন

তথ্যসূত্র

বহিঃসংযোগ

Wikiwand in your browser!

Seamless Wikipedia browsing. On steroids.

Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.

Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.