Loading AI tools
উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
ইয়ামাগুচি প্রশাসনিক অঞ্চল (山口県? ইয়ামাগুচি কেন্) হল জাপানের মূল দ্বীপ হোনশুর চুউগোকু অঞ্চলে অবস্থিত একটি প্রশাসনিক অঞ্চল।[1] এর রাজধানী ইয়ামাগুচি নগর[2] এবং বৃহত্তম নগর শিমোনোসেকি।
ইয়ামাগুচি প্রশাসনিক অঞ্চল 山口県 | |
---|---|
প্রশাসনিক অঞ্চল | |
জাপানি প্রতিলিপি | |
• জাপানি | 山口県 |
• রোমাজি | Yamaguchi-ken |
দেশ | জাপান |
অঞ্চল | চুউগোকু |
দ্বীপ | হোনশু |
রাজধানী | ইয়ামাগুচি |
আয়তন | |
• মোট | ৬,১১০.৯৪ বর্গকিমি (২,৩৫৯.৪৫ বর্গমাইল) |
এলাকার ক্রম | ২২শ |
জনসংখ্যা (১লা মে ২০১১) | |
• মোট | ১৪,৪৫,৭০২ |
• ক্রম | ২৫শ |
• জনঘনত্ব | ২৩৬.৫৮/বর্গকিমি (৬১২.৭/বর্গমাইল) |
আইএসও ৩১৬৬ কোড | JP-35 |
জেলা | ৪ |
পৌরসভা | ১৯ |
ফুল | নাৎসুমিকান ফুল (সাইট্রাস নাৎসুদাইদাই) |
গাছ | লাল পাইন (পাইনাস ডেন্সিফ্লোরা) |
পাখি | ঝুঁটিওয়ালা সারস (গ্রুস মোনাকা) |
মাছ | তাকিফুগু রাব্রাইপ্স (টেট্রাওডন্টিডি) |
ওয়েবসাইট | www |
মেইজি পুনর্গঠনের আগে অবধি ইয়ামাগুচি প্রশাসনিক অঞ্চল, সুও ও নাগাতো প্রদেশে বিভক্ত ছিল।[3] হেইয়ান ও কামাকুরা যুগে (৭৯৪-১৩৩৩ খ্রিঃ) সামুরাই শ্রেণীর উত্থানের সময় সুও প্রদেশের ঔচি পরিবার এবং নাগাতো প্রদেশের কোতো পরিবার যোদ্ধা গোষ্ঠী হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। মুরোমাচি যুগে ঔচি হিরোয়ো সম্পূর্ণ ইয়ামাগুচি অঞ্চলে কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করেন। কোরিয়া ও চীনের মিং রাজবংশের সাথে বাণিজ্যের মাধ্যমে ঔচি পরিবার প্রভূত ধনলাভ করে। ফলে ইয়ামাগুচিকে “পশ্চিমের কিয়োতো” বলে ডাকা হতে শুরু করে। সুয়ে হারুতাকা, ঔচি পরিবারের ৩১ তম শাসককে পরাস্ত করেন এবং মোরি মোতোনারি, সুয়ে পরিবারকে পরাস্ত করেন। সেন্গোকু যুগে ইয়ামাগুচি অঞ্চল মোরি পরিবারের শাসনাধীন ছিল। ১৬০০ খ্রিঃ সেকিগাহারার যুদ্ধে পরাজয়ের ফলে মোরি তেরুমোতো কেবলমাত্র সুও ও নাগাতো ছাড়া সমস্ত অঞ্চলের অধিকার হারান। এর পর হাগিতে নিজের দুর্গ নির্মাণ করে মোরি পরিবার নুন, ভাত ও কাগজ এই তিন সাদা জিনিসের উৎপাদন বৃদ্ধি করে স্থানীয় অর্থনীতির উন্নয়নে সচেষ্ট হন।
মেইজি যুগের আরম্ভে তোকুগাওয়া শোগুনতন্ত্রের পতন ও সম্রাটের ক্ষমতার পুনঃপ্রতিষ্ঠায় নাগাতো অঞ্চলের সামুরাইদের বড় ভূমিকা ছিল। ১৮৭২ খ্রিঃ বর্তমান ইয়ামাগুচি প্রশাসনিক অঞ্চল গঠিত হয়। এই সময় থেকেই ক্রমে শিল্পায়নের সূত্রপাত হয় এবং তাইশো যুগে (১৯১২-১৯২৬ খ্রিঃ) জাহাজ নির্মাণ, রাসায়নিক, যন্ত্রাংশ নির্মাণ ও ধাতুনির্ভর শিল্পের উৎকর্ষসাধন হয়। যুদ্ধোত্তর শোওয়া যুগে ইয়ামাগুচি দেশের অন্যতম সর্বাধিক শিল্পায়িত প্রশাসনিক অঞ্চলে পরিণত হয়; এর পিছনে বিশেষত পেট্রো-রসায়ন শিল্পের ভূমিকা থেকেছে।[4]
ইয়ামাগুচি প্রশাসনিক অঞ্চলের পূর্বে শিমানে ও হিরোশিমা প্রশাসনিক অঞ্চল, উত্তর ও উত্তর-পশ্চিমে জাপান সাগর এবং দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমে সেতো অন্তর্দেশীয় সাগরের উপকূল বর্তমান। এর মধ্যভাগ বরাবর বিস্তৃত চুউগোকু পর্বতমালা, এবং নদী থাকলেও উপকূলে সমভূমি তেমনভাবে দেখা যায় না।
২০১২ এর এপ্রিল মাসের হিসেব অনুযায়ী ইয়ামাগুচি প্রশাসনিক অঞ্চলের ৭ শতাংশ এলাকা সংরক্ষিত বনাঞ্চল। এর মধ্যে আছে সেতোনাইকাই জাতীয় উদ্যান; আকিয়োশিদাই, কিতা-নাগানো কাইগান ও নিশি-চুউগোকু সাঞ্চি উপ-জাতীয় উদ্যান এবং তোয়োতা প্রশাসনিক আঞ্চলিক উদ্যান।[5]
ইয়ামাগুচির দ্রষ্টব্য স্থানের মধ্যে আছে শিমোনোসেকি নগরের কারাতো বাজার ও ৎসুনোশিমা দ্বীপ, ইওয়াকুনি শহরের কিন্তাই সেতু, উত্তরাঞ্চলের ঐতিহাসিক হাগি নগর[6] ও হাগি জাদুঘর এবং কাওয়াতানা উষ্ণ প্রস্রবণ।
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.