সরকার বা শাসনব্যবস্থা[1] (ইংরেজি: Government) হলো কোনো দেশের সর্বোচ্চ সংস্থা ও কর্তৃপক্ষ যার মাধ্যমে দেশটির শাসন কার্য পরিচালিত হয়। গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থায় সরকার জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধি যেমন সংসদ সদস্যদের দ্বারা গঠিত হয়। সরকারের মৌলিক দায়িত্ব জনগণের অভিপ্রায় অনুযায়ী দেশের নিরাপত্তা বিধান করা, সমাজের শান্তি বজায় রাখা, মানুষের জান-মাল রক্ষা করা এবং বিবাদের ক্ষেত্রে বিচারকার্য পরিচালনা করা। সরকার তার ওপর আরোপিত দায়িত্বসমূহ পালনের স্বার্থে রাজস্ব আহরণ করে এবং শাসনকার্য পরিচালনা ও উন্নয়নমূলক কাজের জন্য তা ব্যয় করে থাকে।[2]
সাধারণত "সরকার" শব্দটির দ্বারা একটি সাধারণ সরকার বা সার্বভৌম রাষ্ট্রকে বোঝায়। সরকার স্থানীয়, জাতীয় বা আন্তর্জাতিক হতে পারে। যদিও বাণিজ্যিক, শিক্ষাগত, ধর্মীয়, বা অন্যান্য বিধিবদ্ধ সংস্থাগুলিও নিজস্ব পরিচালন কর্তৃপক্ষ কর্তৃক শাসিত হয়। এই জাতীয় কর্তৃপক্ষ বোর্ড অফ ডিরেক্টর, ম্যানেজার, গভর্নর নামে পরিচিত; এগুলিকে প্রশাসন (যেমন বিদ্যালয় প্রশাসন) বা কাউন্সিল অফ এল্ডার্স (যেমন খ্রিষ্টান চার্চে) নামেও চিহ্নিত করা হয়ে থাকে। সরকারের আকার অঞ্চল বা উদ্দেশ্য অনুযায়ী ভিন্ন ভিন্ন হয়।
সংগঠনের আয়তন বৃদ্ধি হলে সরকারের জটিলতাও বাড়ে। তাই ছোটো শহর বা ছোটো-মাঝারি বেসরকারি সংস্থাগুলিতে আধিকারিকের সংখ্যা বড়ো বড়ো বহুজাতিক কর্পোরেশনের তুলনায় কম রাখা হয়। বড়ো সংস্থায় বহুমুখী দপ্তর ব্যবস্থা ও প্রশাসনের ক্রমপর্যায়ে লক্ষিত হয়। জটিলতা বাড়লে সরকারের কাজ-কর্মের প্রকৃতিও জটিল হয়ে পড়ে। তাই আনুষ্ঠানিক নীতি ও কার্যপদ্ধতি ঘোষণারও প্রয়োজন হয়।
মূল নিবন্ধ: বিভিন্ন প্রকার সরকারের তালিকা
নৈরাজ্যবাদ – এটি এমন একটি রাজনৈতিক দর্শন যা রাষ্ট্রকে অপ্রয়োজনীয়, ক্ষতিকর ও অবাঞ্ছনীয় মনে করে এবং রাষ্ট্রহীন সমাজের সপক্ষে মতপ্রকাশ করে।
কর্তৃত্ববাদী সরকার – কর্তৃত্ববাদী সরকার কোনো প্রজাতন্ত্র বা যুক্তরাষ্ট্রে রাষ্ট্রের সর্বময় কর্তৃত্বের সপক্ষে মতপ্রকাশ করে। এটি অনির্বাচিত শাসকদের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত একটি ব্যবস্থা, যাঁরা কিছুটা ব্যক্তিগত স্বাধীনতা দিয়ে থাকেন।
সাংবিধানিক প্রজাতন্ত্র – এই জাতীয় সরকারের ক্ষমতা আইন বা আনুষ্ঠানিক সংবিধান দ্বারা সীমাবদ্ধ এবং এই সরকার সংশ্লিষ্ট দেশের জনসংখ্যার একটি ক্ষুদ্র অংশ দ্বারা নির্বাচিত। উল্লেখ্য, প্রাচীন স্পার্টা ঘোষিতভাবে ছিল একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র; কিন্তু সেদেশের অধিকাংশ মানুষই ভোটদানের অধিকার থেকে বঞ্চিত থাকতেন। আবার প্রথম যুগের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও ছিল গণতান্ত্রিক দেশ; কিন্তু ক্রীতদাসদের সেযুগে ভোটদানের অধিকার ছিল না।
গণতন্ত্র – গণতন্ত্র হল এমন একটি সরকার যা দেশের জনসংখ্যার বৃহত্তম অংশ দ্বারা নির্বাচিত। এই সরকার সাংবিধানিক রাজতন্ত্র বা সাংবিধানিক প্রজাতন্ত্র দুইই হতে পারে। গণতন্ত্রের ব্যক্তির ভোটদানের অধিকার তার সামাজিক মর্যাদা বা সম্পদের উপর নির্ভরশীল নয়।
একনায়কতন্ত্র – একক ব্যক্তি স্বেচ্ছায় শাসিত দেশের সরকার। স্বৈরাচারী শাসক সাধারণত বলপূর্বক ক্ষমতা দখল করেন।[5] (আরও দেখুন স্বৈরতন্ত্র ও রাষ্ট্রতন্ত্র)
রাজতন্ত্র – এমন ব্যক্তির শাসন যিনি শাসনক্ষমতা উত্তরাধিকারসূত্রে প্রাপ্ত হন।[5]
সংকীর্ণ গোষ্ঠীতন্ত্র – একই স্বার্থবিশিষ্ট ছোটো ছোটো গোষ্ঠী বা পরিবারের শাসন।[6]
Fotopoulos, Takis, The Multidimensional Crisis and Inclusive Democracy. (Athens: Gordios, 2005).(English translation[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ] of the book with the same title published in Greek).
Adler, Mortimer J. (১৯৯৬)। The Common Sense of Politics। Fordham University Press, New York। আইএসবিএন0-8232-1666-7।
executive editor, Joseph P. Pickett (১৯৯২)। American Heritage dictionary of the English language (4th সংস্করণ)। 222 Berkeley Street, Boston, MA 02116: Houghton Mifflin Company। পৃষ্ঠা572, 770। আইএসবিএন0-395-82517-2। অজানা প্যারামিটার |ids= উপেক্ষা করা হয়েছে (সাহায্য)
General Zhaoyun (২০০৪-০৮-০৪)। "Wang Mang: China History Forum"। China History Forum। ২০০৮-০৬-১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৭-১১-০২।
Miller, George A. (২০০৬)। "WordNet Search 3.0"। WordNet a lexical database for the English language। Princeton University/Cognitive Science Laboratory /221 Nassau St./ Princeton, NJ 08542। wordnet:earth science। সংগ্রহের তারিখ ২০০৭-১১-১০। অজানা প্যারামিটার |coauthors= উপেক্ষা করা হয়েছে (|author= ব্যবহারের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে) (সাহায্য)[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
Nebel, Bernard J. (২০০৭)। Environmental Science (7th ed.)। Prentice Hall, Inc., Upper Saddle River, NJ 07458। আইএসবিএন0-13-083134-4। অজানা প্যারামিটার |coauthors= উপেক্ষা করা হয়েছে (|author= ব্যবহারের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে) (সাহায্য)
Schulze, Hagen (১৯৯৪)। States, Nations and Nationalism। Blackwell Publishers Inc, 350 Main Street, Malden, Massachusetts 02148, USA।
Higham, Charles F. W. (২০০৪)। "Indus Valley Civilization"। Ancient and Medieval History Online। New York: Facts On File, Inc.। সংগ্রহের তারিখ ২০০৭-১২-০৭।
Kenoyer, J. M. Ancient Cities of the Indus Civilization. Oxford: Oxford University Press, 1998
Possehl, Gregory L.Harappan Civilization: A Recent Perspective. New Delhi: Oxford University Press, 1993
Indus Age: The Writing System. Philadelphia: University of Pennsylvania Press, 1996
“Revolution in the Urban Revolution: The Emergence of Indus Urbanisation,” Annual Review of Anthropology 19 (1990): 261–282.
Higham, Charles F. W. (২০০৪)। "History of ancient and medieval Asia"। Ancient and Medieval History Online। New York: Facts On File, Inc.। সংগ্রহের তারিখ ২০০৭-১২-০৭।