ভগাঙ্কুর
স্ত্রী যৌনাঙ্গ / From Wikipedia, the free encyclopedia
ভগাঙ্কুর হল একটি যৌন অঙ্গ যা স্তন্যপায়ী প্রাণী, উটপাখি এবং সীমিত সংখ্যক অন্যান্য প্রাণীতে থাকে। মানুষের ভগাঙ্কুরের দৃশ্যমান অংশ শিশ্নাগ্র একটি ছোটো বোতামের মতো অংশ যা মূত্রনালী উন্মুক্ত অংশের উপরে এবং ক্ষুদ্রোষ্ঠ(লেবিয়া মাইনরা) এর সম্মুখ সংযোগস্থলে। ভগাঙ্কুর পুরুষ শিশ্ন সমতুল্য তবে এতে সাধারণত মূত্রনালী খোলা থাকেনা। বেশিরভাগ প্রজাতিতে ভগাঙ্কুর কোনো প্রজনন কার্যের অংশ নয়। যদিও কিছু প্রাণী ভগাঙ্কুরের মধ্য দিয়ে প্রস্রাব করে বা এটি প্রজননগতভাবে ব্যবহার করে, যেমন: চিতল হায়েনা। যাদের বড় ভগাঙ্কুর রয়েছে যেটির মাধ্যমে প্রস্রাব করে, সঙ্গম করে এবং অঙ্গের মাধ্যমে জন্ম দেয়। এছাড়াও বড় ভগাঙ্কুর অন্যান্য স্তন্যপায়ী প্রাণী, যেমন: লেমুর ও মাকড়সা বানরেও বিদ্যমান।
ভগাঙ্কুর | |
---|---|
বিস্তারিত | |
পূর্বভ্রূণ | যৌনাঙ্গের টিউবারকল |
ধমনী | ভগাঙ্কুরের পৃষ্ঠীয় ধমনী, ভগাঙ্কুরের গভীর ধমনী |
শিরা | ভগাঙ্কুরের পৃষ্ঠীয় শিরা, ভগাঙ্কুরের গভীর পৃষ্ঠীয় শিরা |
স্নায়ু | ভগাঙ্কুরের পৃষ্ঠীয় স্নায়ু |
শনাক্তকারী | |
লাতিন | Clitoris (ক্লিটোরিস) |
মে-এসএইচ | D002987 |
টিএ৯৮ | A09.2.02.001 |
টিএ২ | 3565 |
এফএমএ | FMA:9909 |
শারীরস্থান পরিভাষা |
ভগাঙ্কুর হল মানব নারীদেহের সবচেয়ে সংবেদনশীল কামোদ্দীপক অঙ্গ এবং সাধারণত যৌন আনন্দের প্রাথমিক শারীরবৃত্তীয় উৎস। মানুষ এবং অন্যান্য স্তন্যপায়ী প্রাণীদের মধ্যে, এটি যৌনাঙ্গের টিউবারকল(শিশ্নাগ্র) নামক ভ্রূণের অগ্রভাগ থেকে বিকাশ লাভ করে। প্রাথমিকভাবে অপরিবর্তিত এন্ড্রোজেন (যা প্রাথমিকভাবে পুরুষালী হরমোন) এর প্রকটতার উপর নির্ভর করে প্রজনন ব্যবস্থার বিকাশের সময় শিশ্ন বা ভগাঙ্কুরে পরিণত হয়। ভগাঙ্কুর একটি জটিল গঠন, এর আকার এবং সংবেদনশীলতা পরিবর্তিত হতে পারে। মানুষের ভগাঙ্কুরের শিশ্নাগ্র(মাথা) মোটামুটি একটি মটরের দানার আকার-আকৃতি। অনুমান করা হয় ৮,০০০-১০,০০০-এর বেশি সংবেদনশীল স্নায়ু এত উন্মুক্ত। [1]
যৌনতাত্ত্বিক, চিকিৎসা এবং মনস্তাত্ত্বিক বিতর্কে ভগাঙ্কুর সামাজিক নির্মাণবাদী বিশ্লেষণ ও গবেষণার বিষয়। এই ধরনের আলোচনা শারীরবৃত্তীয় নির্ভুলতা, লিঙ্গ বৈষম্য, মহিলাদের যৌনাঙ্গের অঙ্গচ্ছেদ, রাগমোচনের কারণ এবং জি-স্পটের জন্য তাদের শারীরবৃত্তীয় ব্যাখ্যা থেকে শুরু হয়। যদিও মানুষের মধ্যে ভগাঙ্কুরের একমাত্র পরিচিত উদ্দেশ্য হল যৌন আনন্দ প্রদান করা। ভগাঙ্কুরটি নিষ্ক্রিয় অঙ্গ কিনা নাকি একটি অভিযোজন অথবা প্রজনন কাজ করে তা নিয়ে বেশ বিতর্ক হয়েছে। ভগাঙ্কুরের সামাজিক উপলব্ধিগুলির মধ্যে রয়েছে মহিলাদের যৌন আনন্দে এর ভূমিকার তাৎপর্য, এর প্রকৃত আকার, গভীরতা সম্পর্কে অনুমান এবং যৌনাঙ্গের পরিবর্তন সংক্রান্ত বিভিন্ন বিশ্বাস যেমন ভগাঙ্কুর বৃদ্ধি, ভগাঙ্কুর ভেদ করা এবং ভগাঙ্কুর ছিদ্র প্রভৃতি। যৌনাঙ্গের গঠন ও আকার-আকৃতি কৃত্রিমভাবে পরিবর্তন নান্দনিকতা, চিকিৎসা বা সাংস্কৃতিক কারণে হয়ে থাকে।
ভগাঙ্কুর সম্পর্কীত জ্ঞান অঙ্গটির সাংস্কৃতিক উপলব্ধি দ্বারা উল্লেখযোগ্যভাবে প্রভাবিত হয়। অধ্যয়নগুলিতে বলা হয় যে অন্যান্য যৌন অঙ্গগুলির তুলনায় এর অস্তিত্ব,শারীরস্থান সম্পর্কে জ্ঞান খুব কম এবং এটি সম্পর্কে আরও শিক্ষা নারীদেহের যৌন আনন্দের সাথে সম্পর্কিত সামাজিক কলঙ্ক দূর করতে সাহায্য করতে পারে। উদাহরণস্বরূপ: সাধারণভাবে ভগাঙ্কুর এবং ভালভা(যৌনিদ্বার) দৃশ্যত অদৃশ্যমান, হস্তমৈথুন ট্যাবু অথবা পুরুষদের মহিলাদের যৌন উত্তেজনা নিয়ন্ত্রণ আয়ত্ত করবে প্রভৃতি।