সাসেক্স কাউন্টি ক্রিকেট ক্লাব
ইংরেজ ক্রিকেট ক্লাব / From Wikipedia, the free encyclopedia
সাসেক্স কাউন্টি ক্রিকেট ক্লাব (ইংরেজি: Sussex County Cricket Club) ইংল্যান্ড ও ওয়েলসের ঘরোয়া ক্রিকেট অবকাঠামোয় আঠারোটি প্রথম-শ্রেণীর কাউন্টি ক্লাবগুলোর মধ্যে প্রাচীনতম। ঐতিহাসিক কাউন্টি সাসেক্সের প্রতিনিধিত্বকারী দল এটি। সীমিত ওভারের খেলায় দলটি সাসেক্স শার্কস নামে পরিচিত। ১৮৩৯ সালে ক্লাবটি প্রতিষ্ঠিত হয়। বিভিন্ন সাসেক্স কাউন্টি ক্রিকেট দলসহ ১৭২০-এর দশকের পুরো সাসেক্সের প্রতিনিধিত্বকারী পুরনো ব্রাইটন ক্রিকেট ক্লাবের উত্তরাধিকারী এটি। ক্লাবটি সর্বদাই প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট মর্যাদা ধারণ করে আছে। ১৮৯০ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশীপ প্রতিযোগিতাসহ ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠিত প্রত্যেক শীর্ষস্তরের ঘরোয়া ক্রিকেট প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করছে।[1]
একদিনের ম্যাচ নাম | সাসেক্স শার্কস | |||
---|---|---|---|---|
কর্মীবৃন্দ | ||||
অধিনায়ক | বেন ব্রাউন (প্রথম-শ্রেণী ও লিস্ট এ) লুক রাইট (টি২০) | |||
কোচ | জেসন গিলেস্পি | |||
বিদেশি খেলোয়াড় | মির হামজা রশীদ খান (টি২০) অ্যালেক্স ক্যারি (টি২০) | |||
দলের তথ্য | ||||
প্রতিষ্ঠা | ১৮৩৯ | |||
স্বাগতিক মাঠ | কাউন্টি ক্রিকেট গ্রাউন্ড, হোভ | |||
ধারণক্ষমতা | ৬,০০০ | |||
ইতিহাস | ||||
প্রথম শ্রেণী অভিষেক | এমসিসি ১৮৩৯ সালে লর্ডস | |||
চ্যাম্পিয়নশীপ জয় | ৩ | |||
ন্যাশনালী লীগ/প্রো৪০ জয় | ৩ | |||
এফপি ট্রফি জয় | ৫ | |||
টুয়েন্টি২০ কাপ জয় | ১ | |||
ন্যাটওয়েস্ট প্রো৪০ জয় | ১ | |||
দাপ্তরিক ওয়েবসাইট | সাসেক্সক্রিকেট.কো.ইউকে | |||
| ||||
ঐতিহ্যবহনকারী নীল ও সাদা রঙ ক্লাবের পোশাকে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। স্পেকস্যাভার্স কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশীপের জন্য অ্যারোট্রন শার্ট সরবরাহ করছে। প্যারাফিক্স রয়্যাল লন্ডন ওয়ান-ডে কাপ ও বাউন্ডলেস ন্যাটওয়েস্ট ব্ল্যাস্ট টি২০ খেলায় পোশাক সরবরাহের জন্যে চুক্তিবদ্ধ। হোভের কাউন্টি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে অতিথি দলের সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অবতীর্ণ হয়। এছাড়াও, আরুনডেল ও ইস্টবোর্নে সাসেক্স তাদের খেলাগুলো আয়োজন করে থাকে।
২০০৩ সালে প্রথমবারের মতো কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশীপের শিরোপা জয় করতে সমর্থ হয়। এরপর থেকে পরবর্তী এক দশক প্রভাববিস্তারকারী দলে পরিণত হয়। ২০০৬ ও ২০০৭ সালেও দলটি তাদের সাফল্যের পুণরাবৃত্তি ঘটায়। ২০০৬ সালে সাসেক্স দল ‘ডাবল’ লাভ করে। ট্রেন্ট ব্রিজে নটিংহ্যামশায়ারকে ইনিংস ও ২৪৫ রানের বিশাল ব্যবধানে পরাজয়ের পর সিএন্ডজি ট্রফিতে ল্যাঙ্কাশায়ারকে পরাভূত করে।[2] দিনের শুরুতে ওরচেস্টারশায়ারকে পরাজিত করার পর শিরোপা প্রত্যাশী ল্যাঙ্কাশায়ার সারে দলকে অল্পের জন্য হারাতে না পারায় বিকাল পাঁচটা পর্যন্ত অপেক্ষার প্রহর গুণতে হয়।[3] এরপরই হোভের কাউন্টি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে উৎসব মুখরিত হয়।[4] সীমিত ওভারের ক্রিকেটে ধারাবাহিক সফলতা পায়। ২০০৮ ও ২০০৯ সালে প্রো৪০ প্রতিযোগিতায় এজবাস্টনে সমারসেটকে পরাজিত করে। এছাড়াও, ২০০৯ সালে টুয়েন্টি২০ কাপের শিরোপা জয় করে। দক্ষিণ উপকূলবর্তী কাউন্টি দলটি দশ বছরে দশটি শিরোপা পায়।
১ নভেম্বর, ২০১৫ তারিখে সাসেক্স কাউন্টি ক্রিকেট ক্লাব (এসসিসিসি) সাসেক্স ক্রিকেট বোর্ডের সাথে একীভূত হয় ও সাসেক্সের ক্রিকেটে একক পরিচালনা পরিষদ গঠন করে। এরফলে ক্লাবটি সাসেক্স ক্রিকেট লিমিটেড (এসসিএল) নামে পরিচিতি পাচ্ছে।[5]