হিন্দুধর্মের ইতিহাস
ইতিহাসের বিভিন্ন দিক / From Wikipedia, the free encyclopedia
হিন্দুধর্মের ইতিহাস ভারতীয় উপমহাদেশের স্থানীয় বিভিন্ন ধর্মীয় ঐতিহ্যকে অন্তর্ভুক্ত করে ।[1] এটি লৌহ যুগ থেকে ভারতীয় উপমহাদেশে ধর্মের বিকাশের সাথে মিলে যায়, এর কিছু ঐতিহ্য প্রাগৈতিহাসিক ধর্ম যেমন ব্রোঞ্জ যুগের সিন্ধু উপত্যকা সভ্যতার সাথে সম্পর্কিত । হিন্দুধর্মকে এজন্য বিশ্বের "প্রাচীনতম ধর্ম" বলা হয়।[11] পণ্ডিতরা হিন্দুধর্মকে বিভিন্ন উৎস থেকে উদ্ভুত ভারতীয় সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্যের সংমিশ্রণ হিসাবে মনে করেন, যার একক প্রতিষ্ঠাতা নেই।[12][13][14][12][13][15][16][17][25] এই হিন্দু সংমিশ্রণ বৈদিক যুগের পরে খ্রিস্টপূর্ব ৫০০[13] - ২০০[26] এবং ৩০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দের মধ্যে,[13] দ্বিতীয় নগরায়নের সময়কালে এবং হিন্দুধর্মের ধ্রুপদী যুগের শুরুর দিকে আবির্ভূত হয়, যখন মহাকাব্য এবং প্রথম পুরাণ রচিত হয়েছিল।[13][26]
এই নিবন্ধ বা অনুচ্ছেদটি পরিবর্ধন বা বড় কোনো পুনর্গঠনের মধ্যে রয়েছে। এটির উন্নয়নের জন্য আপনার যে কোনো প্রকার সহায়তাকে স্বাগত জানানো হচ্ছে। যদি এই নিবন্ধ বা অনুচ্ছেদটি কয়েকদিনের জন্য সম্পাদনা করা না হয়, তাহলে অনুগ্রহপূর্বক এই টেমপ্লেটটি সরিয়ে ফেলুন। ১ সেকেন্ড আগে Imamanik05 (আলাপ | অবদান) এই নিবন্ধটি সর্বশেষ সম্পাদনা করেছেন। (হালনাগাদ) |
হিন্দুধর্মের ইতিহাস প্রায়শই বিকাশের সময়কালে বিভক্ত। প্রথম সময়কাল হল প্রাক-বৈদিক যুগ, যার মধ্যে সিন্ধু উপত্যকা সভ্যতা এবং স্থানীয় প্রাক-ঐতিহাসিক ধর্ম রয়েছে, যা প্রায় ১৭৫০ খ্রিস্টপূর্বাব্দে শেষ হয় । খ্রিস্টপূর্ব ১৯০০ থেকে খ্রিস্টপূর্ব ১৪০০ এর মধ্যে কোনো সময়ে ইন্দো-আর্য অভিবাসনের সাথে ঐতিহাসিক বৈদিক ধর্মের প্রবর্তন শুরু হয় এবং উত্তর ভারতে বৈদিক যুগের সূচনা হয়।[27][30]
খ্রিষ্টীয় প্রথম শতাব্দীর পর ধীরে ধীরে ভারতে বৌদ্ধধর্মের পতন ঘটলে বৈদিক ধর্মের নবজাগরণের রূপে ধ্রুপদি হিন্দুধর্মের উত্থান ঘটে।[31] খ্রিষ্টপূর্ব দ্বিতীয় শতাব্দী থেকে খ্রিষ্টীয় পঞ্চম শতাব্দীর মধ্যবর্তী সময়ে সাংখ্য, যোগ, ন্যায়, বৈশেষিক, মীমাংসা ও বেদান্ত – হিন্দু দর্শনের এই ছয়টি প্রধান শাখার উদ্ভব ঘটে । এই সময়টি হিন্দুধর্মের “স্বর্ণযুগ” বলে পরিচিত যা গুপ্ত সাম্রাজ্যের সমসাময়ীক। ভক্তি আন্দোলনের মাধ্যমে একই সময়ে শৈব ও বৈষ্ণব মতবাদের মত একেশ্বরবাদী সম্প্রদায়ের বিকাশ ঘটে ।
মোটামুটিভাবে ৬৫০ থেকে ১১০০ খ্রিস্টাব্দের পর ধ্রুপদী পৌরাণিক হিন্দুধর্ম প্রতিষ্ঠালাভ করে মধ্যযুগে। আদি শংকরের অদ্বৈত বেদান্ত মতবাদও এই সময় প্রচারিত হয়। উক্ত মতবাদ বৈষ্ণব ও শৈব মতবাদের মধ্যে সমন্বয় সাধন করে এবং স্মার্তধর্মের উত্থান ঘটায়। এর ফলে দর্শনের অবৈদান্তিক শাখাগুলির অবলুপ্তি ঘটে।
১২০০[32] থেকে ১৭৫০[33] খ্রিস্টাব্দের মধ্যে হিন্দু ও ইসলামী উভয় শাসকের অধীনে হিন্দুধর্ম ভক্তি আন্দোলনের ক্রমবর্ধমান প্রাধান্য দেখা যায়, যা আজও প্রভাবশালী রয়েছে। ঔপনিবেশিক যুগে বিভিন্ন হিন্দু সংস্কার আন্দোলনের আবির্ভাব ঘটে যা আংশিকভাবে পশ্চিমা আন্দোলন, যেমন একতাবাদ এবং থিওসফি দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়। ১৯৪৭ সালে ধর্মের ভিত্তিতে ভারত বিভাজনের ফলে হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ভারতীয় প্রজাতন্ত্রের উদ্ভব হয়। বিংশ শতাব্দীতে, ভারতীয় প্রবাসীদের মাধ্যমে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্যের পরম সংখ্যায় বৃহত্তম সম্প্রদায়ের সাথে সমস্ত মহাদেশে হিন্দু সংখ্যালঘুরা গঠিত হয়েছে।