অপারেশন সার্চলাইট
১৯৭১সালে ২৫ মার্চ থেকে শুরু হওয়া বাঙালিদের উপর পাকিস্তানী সেনাবাহিনী কর্তৃক পরিচালিত পরিকল্প / From Wikipedia, the free encyclopedia
অপারেশন সার্চলাইট (ইংরেজি: Operation Searchlight) ১৯৭১সালে ২৫ মার্চ থেকে শুরু হওয়া পাকিস্তান সেনাবাহিনী কর্তৃক পরিচালিত পরিকল্পিত গণহত্যা, যার মাধ্যমে তারা ১৯৭১ এর মার্চ ও এর পূর্ববর্তী সময়ে সংঘটিত বাঙালি জাতীয়তাবাদী আন্দোলনকে দমন করতে চেয়েছিল।[9] এই গণহত্যা ছিল পশ্চিম পাকিস্তানি শাসকদের আদেশে পরিচালিত,যা ১৯৭০ এর নভেম্বরে সংঘটিত অপারেশন ব্লিটজ্ এর পরবর্তি অনুষঙ্গ। অপারেশনটির আসল উদ্দেশ্য ছিল ২৬ মার্চ এর মধ্যে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের (বর্তমান বাংলাদেশ) সব বড় বড় শহর দখল করে নেয়া এবং রাজনৈতিক ও সামরিক বিরোধীদের এক মাসের ভেতর নিশ্চিহ্ন করে দেয়া[10]। বাঙালিরা তখন পাল্টা প্রতিরোধ সৃষ্টি করে,যা পাকিস্তানি পরিকল্পনাকারীদের ধারণার বাইরে ছিল[11]। মে এর মাঝামাঝি সময়ে সকল বড় বড় শহরের পতন ঘটার মধ্যে দিয়ে অপারেশন সার্চলাইটের প্রধান অংশ শেষ হয়। এই সামরিক আক্রমণ ১৯৭১ সালের গণহত্যাকে ত্বরান্বিত করে। এই গণহত্যা বাঙালিদের বাকরুদ্ধ করে তোলে যে কারণে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর বাঙ্গালি অফিসার ও সৈনিকেরা বিদ্রোহ ঘোষণা করে, বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষিত হয় এবং বহু মানুষকে শরণার্থীরূপে ভারতে আশ্রয় নিতে হয়। এই ভয়াবহ গণহত্যা ১৯৭১ এর বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সূত্রপাত ঘটায় এবং বাঙালিরা দখলদারী পাকিস্তানি বাহিনীকে বিতাড়িত করার সংগ্রামে লিপ্ত হয়। পরিণতিতে ১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দের ১৬ই ডিসেম্বর ভারত ও বাংলাদেশের যৌথ কমান্ড "মিত্র বাহিনী" এর কাছে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর বিনাশর্তে আত্মসমর্পণের মধ্য দিয়ে স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হয়।[11]।
অপারেশন সার্চলাইট | |||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|
মূল যুদ্ধ: বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ | |||||||
| |||||||
বিবাদমান পক্ষ | |||||||
পাকিস্তানি সশস্ত্র বাহিনীর বাঙালি সদস্য ও সাধারণ স্বেচ্ছাসেবী | পাকিস্তানি সামরিক বাহিনী | ||||||
সেনাধিপতি ও নেতৃত্ব প্রদানকারী | |||||||
প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমেদ (১৭ এপ্রিল- ১৬ ডিসেম্বর) কর্ণেল (অবঃ) এম. এ. জি. ওসমানী (১০ এপ্রিল- ১৬ ডিসেম্বর) অপারেশন জ্যাকপট |
রাষ্ট্রপতি ইয়াহিয়া খান (১১ এপ্রিল-১৬ ডিসেম্বর) | ||||||
শক্তি | |||||||
বাঙ্গালী বাহিনী:ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট থেকে ~৬০০০ সেনা[2]
আধা সামরিক বাহিনী |
পাকিস্তানি সেনাবাহিনী: ১৪ পদাতিক ডিভিশন, ১৮,০০০+ সৈন্য,[4] ১ রেজিমেন্ট (৭৫টি) এম-২৪ চ্যাফি ট্যাংক। উপসামরিক বাহিনী: ~২,০০০ ইপিআর,[3] মুজাহিদ এবং মিজোদের অজ্ঞাতসংখ্যক বাহিনী রি-ইনফোর্সমেন্ট: পশ্চিম পাকিস্তান থেকে আনা ৯ ও ১৬ পদাতিক ডিভিশন পাকিস্তান নৌবাহিনী: ৪টি গানবোট, ১টি পেট্রোল বোট,[5] ১টি ডেস্ট্রয়ার .[6] | ||||||
হতাহত ও ক্ষয়ক্ষতি | |||||||
মুক্তিবাহিনী: অজ্ঞাত সংখ্যক, ~কয়েক হাজার, ~৪,০০০+[7] যুদ্ধবন্দী। | ~৬,০০০ যুদ্ধে নিহত এবং আহত [8] গুটিকয়েক যুদ্ধবন্দী। | ||||||
নিহত জনসাধারণের সংখ্যা: আনুমানিক কয়েক লক্ষ বাঙালি সাধারণ জনগণ |