আম আদমী পার্টি
ভারতীয় রাজনৈতিক দল / From Wikipedia, the free encyclopedia
আম আদমী পার্টি (হিন্দি: आम आदमी पार्टी; অর্থাৎ, "সাধারণ মানুষের পার্টি"; সংক্ষেপে "আপ") হল একটি ভারতীয় জাতীয় রাজনৈতিক দল। ২০১২ সালের ২৬ নভেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে এই দল প্রতিষ্ঠিত হয়। ২০১১ সালে জন লোকপাল বিল পাস করানো নিয়ে দুই বিশিষ্ট দুর্নীতি-বিরোধী আন্দোলনকর্মী অরবিন্দ কেজরিওয়াল ও অন্না হজারের মধ্যে জনপ্রিয় "ইন্ডিয়া এগেইনস্ট করাপশন" আন্দোলনের রাজনৈতিকীকরণ নিয়ে মতপার্থক্য দেখা দেয়। তারই পরিপ্রেক্ষিতে এই দলের জন্ম হয়। আন্না হাজারে উক্ত আন্দোলনটিকে রাজনৈতিক পথে পরিচালিত করার বিরোধী ছিলেন। অন্যদিকে কেজরিওয়াল গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে দুর্নীতিবিরোধী আন্দোলন চালানোর পক্ষপাতী ছিলেন।
আম আদমী পার্টি | |
---|---|
নেতা | অরবিন্দ কেজরিওয়াল |
প্রতিষ্ঠা | ২৬ নভেম্বর, ২০১২ |
সদর দপ্তর | ২০৬, রাউস এভিনিউ, দ্বীন দয়াল উপাধ্যায় মার্গ, আইটিও, নয়াদিল্লি, দিল্লি - ১১০০০২ |
ছাত্র শাখা | ছাত্র যুব সংঘর্ষ সমিতি[1] |
যুব শাখা | আম আদমী পার্টি ইউথ উইং[2] |
মহিলা শাখা | আপ মহিলা শক্তি[3] |
শ্রমিক শাখা | শ্রমিক বিকাশ সংগঠন (SVS)'[4] |
ভাবাদর্শ | স্বরাজ দুর্নীতি-বিরোধিতা বাম মনোভাবাপন্ন[5] |
আন্তর্জাতিক অধিভুক্তি | আম আদমী পার্টি ওভারসিজ |
আনুষ্ঠানিক রঙ | নীল |
স্বীকৃতি | জাতীয় দল |
লোকসভায় আসন | ১ / ৫৪৫
|
রাজ্যসভায় আসন | ৩ / ২৪৫
|
-এ আসন | ৬২ / ৭০ (দিল্লি বিধানসভা) ৯২ / ১১৭ (পাঞ্জাব বিধানসভা)
|
নির্বাচনী প্রতীক | |
ওয়েবসাইট | |
www | |
ভারতের রাজনীতি রাজনৈতিক দল নির্বাচন |
আপের প্রতিষ্ঠার পর থেকে এই দল বিভিন্ন প্রতিবাদ আন্দোলন কর্মসূচিতে অংশ নেয়। দিল্লিতে বিদ্যুৎ ও জলের দাম বৃদ্ধি নিয়ে সরকার ও বেসরকারি সংস্থাগুলির মধ্যে বেআইনি আঁতাতের অভিযোগ এনে আপ আন্দোলন চালায়। এছাড়া যৌন হেনস্থা ও ধর্ষণের শিকার মহিলাদের সুবিচার দেওয়া ও শক্তিশালী ধর্ষণ-বিরোধী আইন প্রণয়ন ছিল এই দলের অন্যতম এজেন্ডা।[6][7][8] ২০১৩ সালে এই দল দিল্লির বিধানসভা নির্বাচনে দ্বিতীয় বৃহত্তম দল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। দিল্লি বিধানসভার ৭০টি আসনের মধ্যে আপ পায় ২৮টি আসন। একক সংখ্যাগরিষ্ঠ না হলেও ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের সমর্থনে এই দল দিল্লিতে সরকার গঠন করেছে।