ইউরেনাসের প্রাকৃতিক উপগ্রহ
প্রাকৃতিক উপগ্রহ / From Wikipedia, the free encyclopedia
সৌরজগৎের সপ্তম গ্রহ ইউরেনাসের ২৭টি প্রাকৃতিক উপগ্রহের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। এগুলির অধিকাংশেরই নামকরণ করা হয়েছে উইলিয়াম শেকসপিয়র ও আলেকজান্ডার পোপের রচনাকর্মে রূপায়িত অথবা উল্লিখিত চরিত্রদের নামানুসারে।[1] ইউরেনাসের উপগ্রহগুলি তিনটি শ্রেণিতে বিভক্ত: তেরোটি অভ্যন্তরীণ উপগ্রহ, পাঁচটি প্রধান উপগ্রহ এবং নয়টি অনিয়মিত উপগ্রহ। অভ্যন্তরীণ উপগ্রহগুলি হল ক্ষুদ্রাকার অন্ধকারাচ্ছন বস্তু। এগুলির সাধারণ বৈশিষ্ট্যগুলি একই প্রকারের এবং উৎপত্তি ইউরেনাসের বলয়ের সঙ্গেই। পাঁচটি প্রধান উপগ্রহ উপগোলকের আকার বিশিষ্ট। এই আকার ইঙ্গিত করে যে এগুলি অতীতে কোনও এক সময়ে উদ্স্থিতি সাম্যাবস্থায় উপনীত হয়েছিল (এবং হয়তো এখনও সাম্যাবস্থাতেই রয়েছে)। চারটি প্রধান উপগ্রহের পৃষ্ঠভাগে গভীর গিরিখাত গঠন এবং অগ্ন্যুৎপাতের মতো অভ্যন্তর ভাগ হতে পরিচালিত প্রক্রিয়ার চিহ্ন আবিষ্কৃত হয়েছে।[2] পাঁচটির মধ্যে বৃহত্তম উপগ্রহ টাইটানিয়ার ব্যাস ১,৫৭৮ কিলোমিটার। এটি সৌরজগৎের অষ্টম বৃহত্তম প্রাকৃতিক উপগ্রহ এবং এর ভর পৃথিবীর চাঁদের ভরের কুড়ি ভাগের এক ভাগ। নিয়মিত উপগ্রহগুলির কক্ষপথ ইউরেনাসের নিরক্ষরেখার সঙ্গে প্রায় একতলীয়। উল্লেখ্য, ইউরেনাসের কক্ষপথের সঙ্গে গ্রহটির নিরক্ষরেখা ৯৭.৭৭° কোণে অনত। ইউরেনাসের অনিয়মিত উপগ্রহগুলি গ্রহটির থেকে বহু দূরে উপবৃত্তাকার ও অত্যধিক আনত (অধিকাংশ ক্ষেত্রে পশ্চাদমুখী) কক্ষপথ ধরে গ্রহটিকে প্রদক্ষিণ করে চলেছে।[3]
১৭৮৭ সালে উইলিয়াম হার্শেল প্রথম দু’টি উপগ্রহ টাইটানিয়া ও ওবেরন আবিষ্কার করেন। অপর তিনটি উপগোলকাকার উপগ্রহ ১৮৫১ সালে উইলিয়াম লেসেল (এরিয়েল ও আমব্রিয়েল) এবং ১৯৪৮ সালে গেরার্ড কাইপার (মিরান্ডা) আবিষ্কার করেন।[1] এই পাঁচটি উপগ্রহই গ্রহীয় ভর-বিশিষ্ট; তাই সরাসরি সূর্যকে প্রদক্ষিণ করলে এগুলিকে বামন গ্রহ হিসেবে গণ্য করা যেত। অবশিষ্ট উপগ্রহগুলি ১৯৮৫ সালের পরে হয় ভয়েজার ২ ফ্লাইবাই মিশনের সময় অথবা অত্যাধুনিক পৃথিবী-ভিত্তিক দূরবীন যন্ত্রের সাহায্যে আবিষ্কৃত হয়।[2][3]