ইকার ক্যাসিয়াস
স্পেনীয় ফুটবলার / From Wikipedia, the free encyclopedia
ইকার ক্যাসিয়াস ফের্নান্দেজ (স্পেনীয় উচ্চারণ: [ˈiker kaˈsiʎas ferˈnandeθ]; জন্ম ২০ মে ১৯৮১) একজন স্প্যানিশ গোলরক্ষক যিনি স্পেন জাতীয় দলের হয়ে খেলতেন। তার নেতৃত্বে স্পেন ৪৪ বছর পর, ২০০৮ সালে তাদের দ্বিতীয় এবং ২০১২ সালে তাদের তৃতীয় উয়েফা ইউরোপীয় চ্যাম্পিয়নশিপ জিতে। তার ক্যারিয়ারের সবচেয়ে বড় অর্জন স্পেনকে ২০১০ সালে অধিনায়ক হিসেবে ফিফা বিশ্বকাপ জিতানো। বিশ্বকাপের ঐ আসরে তিনি গোল্ডেন গ্লোব জিতেন। ২০১০ সালের ১৯ অক্টোবরে তিনি স্পেনের হয়ে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলা গোলরক্ষক এবং ২০১১ সালের নভেম্বরে তিনি হয়ে সর্বোচ্চ ম্যাচ খেলার সম্মান অর্জন করেন।[3]
ব্যক্তিগত তথ্য | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | ইকার ক্যাসিয়াস ফের্নান্দেজ[1] | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | (1981-05-20) ২০ মে ১৯৮১ (বয়স ৪৩) | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম স্থান | মস্তোলেস, স্পেন | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উচ্চতা | ১.৮৫ মি (৬ ফু ১ ইঞ্চি)[2] | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
মাঠে অবস্থান | গোলরক্ষক | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
যুব পর্যায় | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৯০–১৯৯৮ | রিয়াল মাদ্রিদ | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জ্যেষ্ঠ পর্যায়* | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বছর | দল | ম্যাচ | (গোল) | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৯৮–১৯৯৯ | রিয়াল মাদ্রিদ সি | ২৬ | (০) | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৯৯ | রিয়াল মাদ্রিদ কাস্তিয়া | ৪ | (০) | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৯৯–২০১৫ | রিয়াল মাদ্রিদ | ৫১০ | (০) | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০১৫–২০২০ | পোর্তো | ১১৬ | (০) | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৯৬ | স্পেন অনূর্ধ্ব ১৫ | ১ | (০) | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৯৬–১৯৯৭ | স্পেন অনূর্ধ্ব ১৬ | ১৯ | (০) | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৯৭–১৯৯৯ | স্পেন অনূর্ধ্ব ১৭ | ১০ | (০) | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৯৯ | স্পেন অনূর্ধ্ব ১৮ | ৪ | (০) | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৯৯ | স্পেন অনূর্ধ্ব ২০ | ২ | (০) | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৯৯–২০০০ | স্পেন অনূর্ধ্ব ২১ | ৫ | (০) | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০০০–২০১৬ | স্পেন | ১৬৭ | (০) | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
অর্জন ও সম্মাননা
| |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
* কেবল ঘরোয়া লিগে ক্লাবের হয়ে ম্যাচ ও গোলসংখ্যা গণনা করা হয়েছে |
তাকে সর্বকালের সেরা গোলরক্ষকদের মধ্যে একজন হিসেবে গণ্য করা হয়।[4][5][6] তিনি ২০০৮ সালে ফিফা ব্যালন ডি’অর পুরস্কারের জন্য নির্বাচিত সেরা ৪ জনের মধ্যে একজন ছিলেন এবং জরিপে ৪র্থ নির্বাচিত হন।[7] ২০১২ সালে তিনি উয়েফা কর্তৃক নির্বাচিত সেরা একাদশে ৬ষ্ঠবারের মত স্থান পান। ২০১১ সালের হিসাব অনুসারে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক গুরুত্বপূর্ণ সব পুরস্কার জেতা খেলোয়ারদের মধ্যে ক্যাসিয়াস অন্যতম। ১৯৯০ সালে তিনি রিয়াল মাদ্রিদের যুব দলের সাথে নিজের ফুটবল জীবন শুরু করেন।১৯৯৯ সালে মূল দলে খেলার সুযোগ পান এবং ক্লাবটিতে প্রায় ১৬ মৌসুম ছিলেন। মাদ্রিদের হয়ে তিনি ৫ টি লা লিগা, ২ টি কোপা দেল রে,৪ টি স্পেনীয় সুপার কাপ,৩ টি উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লীগ,২ উয়েফা সুপার কাপ ও ১ টি ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ জয় করেন।রাউল গোনসালেসের পর তিনি মাদ্রিদের হয়ে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলা খেলোয়াড়।[8]
১৯ অক্টোবর ২০১০ সালে তিনি উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লীগে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলা গোলকিপার হন।২০১১ সালে তিনি স্পেনের হয়ে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলার গৌরব অর্জন করেন।[9] সেপ্টেম্বর ২০১৫ তে উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লীগে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলা খেলোয়াড় হন।[10] এপ্রিল ২০১৮ তে তিনি তার পেশাদার খেলোয়াড়ি জীবনের ১০০০তম ম্যাচ খেলেন।[11]ফ্রান্ৎস বেকেনবাউয়ার ও দিদিয়ে দেশঁ পর তিনি ফিফা বিশ্বকাপ,উয়েফা চ্যাম্পিয়নস ট্রফি ও ইউরো কাপ জেতা তৃতীয় অধিনায়ক।[12]