ইসলামি অর্থনীতির ইতিহাস
ইতিহাস / From Wikipedia, the free encyclopedia
নবম থেকে চতুর্দশ শতাব্দীর মধ্যবর্তী সময়ে মুসলিম বিশ্বে অর্থনীতি ক্ষেত্রে বহু নতুন ধারণা ও কৌশলের উদ্ভব ঘটে। যেমন- হাওয়ালা(حِوالة)[1](তহবিলের অনানুষ্ঠানিক হস্তান্তর ব্যবস্থা), ইসলামি ট্রাস্ট যেটি ওয়াকফ(وقف) [2] নামে পরিচিত, এবং মুফাওয়াদা(مفاوضة) ।[3] অর্থ, সম্পত্তি, কর, দান এবং পঞ্চস্তম্ভ সম্বন্ধে বিশেষ ইসলামি ধারণা:
- যাকাত (নির্দিষ্ট ধন-সম্পত্তির কর আদায়, যেমন: ফসল, গৃহপালিত পশু, স্বর্ণ-রৌপ্য, নগদ অর্থ ইত্যাদি। এটি প্রত্যেক স্বাধীন, পূর্ণবয়স্ক মুসলমান নর-নারীকে প্রতি বছর স্বীয় ধন-সম্পত্তির একটি নির্দিষ্ট অংশ, যদি তা ইসলামি শরিয়ত নির্ধারিত সীমা (নিসাব পরিমাণ) অতিক্রম করে তবে, গরীব-দুঃস্থদের মধ্যে বিতরণ করতে হবে।)
- গরর/গারার(غرر) (অজানা বস্তুর ক্রয়-বিক্রয়; "যা নেই তার বিক্রয়" যেমন: যে মাছ এখনো ধরা হয়নি বা যে ফসল এখনো কাটা হয়নি। এছাড়া সকল প্রকার বিমা/বীমা গারারের আওতাভুক্ত। গারার ইসলামে অবৈধ। কারণ এর মধ্যে অনিশ্চয়তা থাকায় প্রতারিত হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা আছে। তাই এটা হারাম বা অবৈধ।)[4][5]
- রিবা (বাংলায় যেটিকে আমরা সুদ বলি সেটিকে আরবিতে রিবা বলা হয়। সুদের বহু প্রকার আছে। সুদের অন্যতম একটি প্রকার হলো "কাউকে ঋণ দিয়ে মূলধনের অতিরিক্ত নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ গ্রহণ করা"। সকল প্রকার সুদ ইসলামে হারাম বা অবৈধ।)[6]
এই ধারণাগুলি শরীয়াহ (ইসলামি আইন) ও ফিকহের (আইনশাস্ত্র)-এর অন্যান্য ধারণাগুলির মতো ইসলাম বিশেষজ্ঞদের দ্বারা উসূল অবলম্বনের মাধ্যমে মৌলিক উৎস কুরআন, হাদিস, ইজমা ও কিয়াস থেকে গৃহীত। কখনও কখনও অমৌলিক উৎস যেমন- ইসতিহসান(استحسان), উর্ফ(عرف), ইসতিসহাব(استصحاب), আকল(عقل) ইত্যাদিগুলি কাজে লাগানো হয়েছে। তদুপরি শরিয়াহ (ইসলামি আইন) ধর্মনিরপেক্ষ "চুক্তি ও টর্ট"[7][8] আইনের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে আইন ক্ষেত্রে প্রভূত উন্নতি সাধন করেছে।