কেইম্যান দ্বীপপুঞ্জ জাতীয় ক্রিকেট দল
From Wikipedia, the free encyclopedia
কেইম্যান দ্বীপপুঞ্জ জাতীয় ক্রিকেট দল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট অঙ্গনে ব্রিটিশ নিয়ন্ত্রণাধীন বিদেশী অঞ্চল হিসেবে কেইম্যান দ্বীপপুঞ্জের প্রতিনিধিত্ব করছে। ২০০২ সাল থেকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের (আইসিসি) সহযোগী সদস্য কেইম্যান দ্বীপপুঞ্জ ক্রিকেট সংস্থা কর্তৃক দলটি পরিচালিত হয়। এরপূর্বে ১৯৯৭ সাল থেকে অনুমোদিত সদস্য পদ লাভ করেছিল দলটি।[1]
সংঘ | কেইম্যান দ্বীপপুঞ্জ ক্রিকেট সংস্থা |
---|---|
কর্মীবৃন্দ | |
অধিনায়ক | রামোন সিলি |
কোচ | পিয়ারসন বেস্ট |
ইতিহাস | |
প্রথম শ্রেণী অভিষেক | কেইম্যান দ্বীপপুঞ্জ ব বারমুডা (টরন্টো, কানাডা; ২৭ আগস্ট, ২০০৫) |
লিস্ট এ অভিষেক | কেইম্যান দ্বীপপুঞ্জ ব গায়ানা (দ্য ভ্যালি, অ্যাঙ্গুইলা; ১১ অক্টোবর, ২০০০) |
টোয়েন্টি২০ অভিষেক | কেইম্যান দ্বীপপুঞ্জ ব বাহামা দ্বীপপুঞ্জ (কিং সিটি, কানাডা; ১১ জুলাই, ২০০৬) |
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল | |
আইসিসি মর্যাদা | অনুমোদিত (১৯৯৭) সহযোগী (২০০২) |
আইসিসি অঞ্চল | আইসিসি আমেরিকাস |
বিশ্ব ক্রিকেট লিগ | ২০১৭ পঞ্চম বিভাগ |
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট | |
প্রথম আন্তর্জাতিক | কেইম্যান দ্বীপপুঞ্জ ব মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র (কিং সিটি, কানাডা; ৭ আগস্ট, ২০০০) |
৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৫ অনুযায়ী |
২০০০ সালে কানাডায় অনুষ্ঠিত আমেরিকাস ক্রিকেট কাপ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে কেইম্যান দ্বীপপুঞ্জের।[2] ঐ বছরের শেষদিকে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সীমিত ওভারের ঘরোয়া প্রতিযোগিতা রেড স্ট্রিপ বোলে অংশগ্রহণ করে দলটি। ঐ খেলাগুলো লিস্ট এ ক্রিকেটের মর্যাদা লাভ করে।[3] ২০০০-এর দশকের শুরুরদিকে কেইম্যানরা প্রায়শঃই আইসিসি আমেরিকাস অঞ্চলের তৃতীয় সেরা দল হিসেবে বারমুদার সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অবতীর্ণ হতো। তখন দলটি কানাডা ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পিছনে অবস্থান করছিল। তবে, ২০০৫ সালে আইসিসি আন্তঃমহাদেশীয় কাপে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে বহিষ্কার করা হলে কেইম্যান দ্বীপপুঞ্জ তাদের স্থলাভিষিক্ত হয়।[4] এরফলে দলটির প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অংশগ্রহণের দিকে ধাবিত হয়।[5]
২০০৬ ও ২০০৮ সালে কেইম্যান দ্বীপপুঞ্জ স্টানফোর্ড ২০/২০ প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়। এ প্রতিযোগিতার খেলাগুলো টুয়েন্টি২০ মর্যাদা লাভ করে।[6] এ সকল প্রতিযোগিতার মাঝখানে দলটি নবপ্রবর্তিত বিশ্ব ক্রিকেট লীগে (ডব্লিউসিএল) প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে। এরফলে ২০০৭ সালের তৃতীয় বিভাগে খেলার সুযোগ পায়। কেইম্যানরা অল্পের জন্য স্থানলাভে ব্যর্থ হয়। সেমিফাইনালে আর্জেন্টিনার কাছে পরাজিত হয়েছিল। কিন্তু, ২০০৯ সালের তৃতীয় বিভাগের প্রতিযোগিতায় অবনমনের মুখোমুখি হয় তারা। ২০১০ সালে চতুর্থ বিভাগে নেমে যেতে বাধ্য হয়। এরপর ২০১২ সালের পঞ্চম বিভাগে চলে যায়। এছাড়াও, ২০১৪ সালের পঞ্চম বিভাগের প্রতিযোগিতায় কেইম্যান দ্বীপপুঞ্জ পঞ্চম স্থান দখল করলে তারা ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠিত ২০১৫ সালের ষষ্ঠ বিভাগের প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ নিশ্চিত করে।
এপ্রিল, ২০১৮ সালে আইসিসি তাদের সকল সদস্যকে টুয়েন্টি২০ আন্তর্জাতিকের (টি২০আই) মর্যাদা প্রদানের সিদ্ধান্ত নেয়। তবে, কেইম্যান দ্বীপপুঞ্জের সাথে অন্যান্য দলের টুয়েন্টি২০ খেলাগুলো ১ জানুয়ারি, ২০১৯ তারিখ থেকে পূর্ণাঙ্গ টি২০আইয়ের মর্যাদা পাবে।[7] দক্ষিণাঞ্চলের উপ-আঞ্চলিক বাছাইপর্বের গ্রুপে খেলায় দ্বিতীয় স্থান দখল করে। ফলে, ২০১৮-১৯ মৌসুমের আইসিসি বিশ্ব টুয়েন্টি২০ আমেরিকাস বাছাইপর্ব প্রতিযোগিতায় খেলার সুযোগ পায়। [8]