কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল
From Wikipedia, the free encyclopedia
কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল, যা সংবিধানের বাংলা সংস্করণে সংঘশাসিত রাজ্যক্ষেত্র নামে পরিচিত, ভারতীয় প্রজাতন্ত্রের যুক্তরাষ্ট্রীয় সরকার-ব্যবস্থার একটি উপ-রাষ্ট্রীয় প্রশাসনিক বিভাগ। ভারতের রাজ্যগুলির মতো কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিতে নিজস্ব নির্বাচিত সরকার ব্যবস্থার অস্তিত্ব নেই। এই অঞ্চলগুলি সরাসরি কেন্দ্রীয় সরকার কর্তৃক শাসিত হয়। ভারতের রাষ্ট্রপতি প্রত্যেক কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের শাসনকার্য পরিচালনার জন্য একজন করে প্রশাসক অথবা উপরাজ্যপাল নিয়োগ করে থাকেন।[1]
২০০৯ সাল থেকে ২০১৯ ভারতের কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের সংখ্যা সাত ছিল।[2] ০১ লা নভেম্বর ২০১৯ সাল থেকে জম্মু-কাশ্মীর ও লাদাখ কে নতুন কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল ঘোষণা করা হয়েছে। এর সাথে দুইটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল "দামান ও দিউ" এবং "দাদরা ও নগর হাভেলি" কে একটি অন্চল করা হয়েছে।
ভারতে বর্তমানে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের সংখ্যা আটটি [3] ।জাতীয় রাজধানী তথা পূর্বতন কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল দিল্লি ও পুদুচেরিকে আংশিক রাজ্যের মর্যাদা দেওয়া হয়েছে। দিল্লিকে বর্তমানে জাতীয় রাজধানী অঞ্চল নামে অভিহিত করা হয়। এই দুই অঞ্চলের নিজস্ব বিধানসভা ও মন্ত্রিপরিষদ রয়েছে। তবে এই মন্ত্রিপরিষদের ক্ষমতা সীমিত; কিছু কিছু আইনবিভাগীয় ক্ষমতার প্রয়োগের ক্ষেত্রে রাষ্ট্রপতির "বিবেচনা ও সম্মতি"র প্রয়োজন হয়।
ভারতের বর্তমান কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলি হল:
- আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ
- চণ্ডীগড়
- দাদরা ও নগর হাভেলি এবং দমন ও দিউ
- লাক্ষাদ্বীপ
- পুদুচেরি
- জম্মু ও কাশ্মীর
- লাদাখ
ভারতের বর্তমান জাতীয় রাজধানী অঞ্চল হল:
আগে দাদরা ও নগর হাভেলি এবং দমন ও দিউ আলাদা ছিল