গ্রহসম্পর্কীয় বিজ্ঞান
From Wikipedia, the free encyclopedia
গ্রহসম্পর্কীয় বিজ্ঞান হল জ্যোতিবিজ্ঞানের এমন একটি শাখা যেখানে শুধুমাত্র গ্রহ কেন্দ্রিক গবেষণা করা হয় । এই শাখায় সমস্ত মহাবিশ্বের সকল গ্রহের উপর তত্ত্ব, গবেষণা, যৌক্তিকতা, বিশ্লেষণের মাধ্যমে প্রমাণ উপস্থাপন করা হয় । আমাদের সৌর জগতের গ্রহ গুলোও (পৃথিবী সহ) বিজ্ঞানের এই শাখায় আলোচ্য । বিজ্ঞানের এই শাখায় গ্রহের ক্ষুদ্র অংশ থেকে শুরু করে সর্ব বৃহৎ দানবাকৃতি গ্যাসীয় গ্রহগুলোর উপর অনুশীলন করা হয় এবং গ্রহের গঠন, গতিবিদ্যা, আন্তঃসংযোগ, সৃষ্টির ইতিহাস, তাৎপর্য নিয়ে গবেষণা করা হয় । মূলত জ্যোতির্বিজ্ঞান ও পৃথিবীর ভূতত্ত্ব থেকে এই ক্ষেত্রটি উঠে এসেছে । কিন্তু বর্তমানে গ্রহসম্পর্কীয় বিজ্ঞানকে বিজ্ঞানের অন্যান্য শাখার সাথে জুড়ে দেয়া হয়েছে । [1] সেগুলো হলঃ মহাজাগতিক বিজ্ঞান (ভূ-রসায়নবিদ্যা ও ভূপ্রকৃতিবিদ্যা সংযুক্ত), মহাসাগরীয় বিজ্ঞান, সমুদ্রবিদ্যা, জলবিদ্যা, তাত্ত্বিক গ্রহবিজ্ঞান বিজ্ঞান, গ্লাসিওলজি এবং বহিঃগ্রহবিদ্যা । [1] এ শাখায় সূর্য কেন্দ্রিক সৌরজগতের গ্রহরাজির সাথে জ্যোতিষ পদার্থবিদ্যার ও ফলিত জ্যোতিষজীববিদ্যার সামঞ্জস্যতা বিধান করা হয়েছে ।
এই নিবন্ধে তথ্যসূত্রের একটি তালিকা রয়েছে, কিন্তু উক্ত তালিকায় পর্যাপ্ত সংগতিপূর্ণ উদ্ধৃতির অভাব বিদ্যমান। (May 2009) |
গ্রহসম্পর্কিত বিজ্ঞানে পর্যবেক্ষণমূলক এবং তাত্ত্বিক দুটি শাখাই রয়েছে । পর্যবেক্ষণের জন্য পৃথিবী থেকে নিয়ন্ত্রিত রোবটিক মহাকাশযান গুলোকে গবেষণার জন্য মহাকাশের বিভিন্ন গ্রহে পাঠানো হয় এবং সে সব গ্রহের ফসিল, ছবি, তথ্য সংগ্রহের মাধ্যমে গ্রহটির উপর অধ্যয়ন করা হয় । তাত্ত্বিক দিকটি গাণিতিক মডেল হিসাব ও কম্পিউটারের সিমুলেট করে তথ্য উপাত্তকে বিভিন্ন ভাবে অধ্যয়ন করা হয় ।
পৃথিবীর বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বতন্ত্র ভাবে গ্রহসম্পর্কীয় বিজ্ঞান কে একটি বিভাগ হিসেবে রাখা হয়েছে । এছাড়া সাধারণতঃ সকল বিশ্ববিদ্যালয়ে জ্যোতির্বিজ্ঞান , ফলিত পদার্থ বিজ্ঞান বা ভূতত্ত্ববিদ্যা শাখার ভিতরেই এই শাখাটি অধ্যয়ন ও গবেষণা করানো হয় । এই শাখার উপর প্রতিবছর বেশকিছু সম্মেলন এবং একাডেমিক জার্নালের আয়োজন করা হয় । তার মধ্যে কিছু গ্রহবিজ্ঞানী একত্র হয়ে একটি বিষয়ের উপর গবেষণা করা শুরু করেন । সহজে সফলতা পাওয়ার লক্ষ্যে নির্বাচিত একটি বিষয়ের উপর তারা পরীক্ষা নিরীক্ষা চালায় ।