জাতীয়তা
একজন ব্যক্তি ও একটি জাতি বা রাষ্ট্রের মধ্যকার অধিকারসূচক সম্পর্ক / From Wikipedia, the free encyclopedia
জাতীয়তা হচ্ছে একজন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান এবং রাষ্ট্রের মধ্যে [1] আইনগত সম্পর্ক। জাতীয়তা রাষ্ট্রকে কোনো ব্যক্তির উপর আইনগত অধিকার এনে দেয় এবং ব্যক্তিকে এনে দেয় রাষ্ট্রের সুরক্ষা। এসব অধিকার এবং দায়িত্ব কি তার তারতম্য ঘটে রাষ্ট্র থেকে রাষ্ট্রে।[2]
আন্তর্জাতিক প্রথাগত আইন এবং আন্তর্জাতিক রীতি অনুযায়ী, এটি প্রত্যেক রাষ্ট্রের অধিকার যা নির্ধারণ করে কারা সেই রাষ্ট্রের নাগরিক হবে।[3] এই নির্দেশকগুলো জাতীয়তা আইনের অংশ। কিছু ক্ষেত্রে জাতীয়তার নির্দেশকগুলোও নিয়ন্ত্রিত হয় সরকারী আন্তর্জাতিক আইন দ্বারা। উদাহরনস্বরূপ,রাষ্ট্রহীনতার উপর চুক্তিপত্র এবং জাতীয়তা বিষয়ক ইউরোপীয় সম্মেলন।
জাতীয়তা, নাগরিকতা থেকে কারিগরি এবং আইনগত ভাবে পৃথক, যা বাক্তি এবং দেশের মধ্যে পৃথক ধরনের আইনগত সম্পর্ক। জাতীয়তা বিশেষ্য পদটি নাগরিক এবং অনাগরিক উভয়কেই বোঝাতে পারে । নাগরিকের সবচেয়ে সাধারণ পার্থক্যকারি বৈশিষ্ট্য হচ্ছে নাগরিক রাষ্ট্রের রাজনৈতিক জীবনে অংশগ্রহণ করতে পারে, যেমন ভোট দেয়ার মাধ্যমে অথবা নির্বাচনে প্রতিযোগিতা করে। যাইহোক, আধুনিক দেশে সকল মানুষই রাষ্ট্রের নাগরিক এবং পূর্ণ নাগরিকরা রাষ্ট্রের বাধ্যগত। [1][4]
ইংরেজি এবং কিছু অন্য ভাষাতে, জাতীয়তা শব্দটিকে ব্যবহার করা হয় জাতিগত গোষ্ঠী নির্দেশ করার জন্য। জাতিগত গোষ্ঠী হচ্ছে, মানুষের একটি দল যারা একই জাতীয় পরিচিতি, ভাষা, সংস্কৃতি, ইতিহাস এবং আরও অনেক কিছু ভাগাভাগি করে। জাতীয়তার এই সংজ্ঞাটি রাজনৈতিক সীমানা বা পাসপোর্ট মালিকানার ভিত্তিতে দেয়া হয়নি এবং যেসব জাতির স্বাধীন রাষ্ট্র নেই (যেমন স্কট, ওয়েলস, ইংলিশ, কুরদ, তামিল, শিখ ইত্যাদি) তাদেরকেও অন্তর্ভুক্ত করে। [তথ্যসূত্র প্রয়োজন]
যারা বড় কোন সরকার থেকে স্বায়ত্তশাসন এর ক্ষমতা অর্জন করেছে তাদেরকেও নাগরিক বলা যেতে পারে।