জৈব খামার ব্যবস্থা
রাসায়নিক পদার্থবিহীন পরিবেশবান্ধব খামার ব্যবস্থা / From Wikipedia, the free encyclopedia
জৈব খামার ব্যবস্থা (ইংরেজি: Organic farming) বা জৈব কৃষি (ইংরেজি: Organic agriculture বা Biological agriculture) (জৈব কৃষিব্যবস্থা বা জৈব চাষ নামেও পরিচিত) বলতে এক ধরনের সর্বাঙ্গীণ কল্যাণমূলক কৃষিজাত ও খামারজাত দ্রব্য উৎপাদন প্রণালীকে বোঝায়, যার উদ্দেশ্য হল বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টিকারক কৃত্রিম অজৈব উপাদান ও বংশাণুগতভাবে পরিবর্তিত জীবের ব্যবহার পরিহার বা সীমিত করে এবং প্রাকৃতিকভাবে উৎপন্ন উপাদান ও চর্চাকে অগ্রাধিকার প্রদান করে মৃত্তিকা, কৃষি বাস্তুতন্ত্র ও মানুষের ক্ষতি ন্যূনতম করা এবং এদের দীর্ঘস্থায়ী বা টেকসই সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করা। জৈব খামার ব্যবস্থা বিভিন্ন বাস্তুতান্ত্রিক প্রক্রিয়া, জীববৈচিত্র্য ও স্থানীয় পরিস্থতির সাথে সাযুজ্যপূর্ণ চক্রের উপর নির্ভরশীল। এতে স্থানীয় সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য, নবীকরণ ও বিজ্ঞানের মেলবন্ধন ঘটিয়ে সবার ভাগাভাগি করে নেওয়া পরিবেশের উপকার সাধন করা হয় ও সংশ্লিষ্ট সব অংশীজনের মধ্যে সম্পর্ক যেন ন্যায্য হয় ও তাদের জীবনযাত্রার মান যেন উন্নত হয়, সে ব্যাপারগুলিতে উৎসাহ প্রদান করা হয়।[1][2][3][2][4][5][6][7]
ব্যবহারিক দৃষ্টিকোণ থেকে জৈব খামার ব্যবস্থাতে পরিবেশবান্ধব রোগবালাই ও কীটনাশক, প্রাণী ও উদ্ভিদ বর্জ্যজাত জৈব সার এবং নাইট্রোজেন-আবদ্ধকারক আচ্ছাদন ফসল ব্যবহার করা হয়। প্রথাগত কৃষির রাসায়নিক কীটনাশক ও কৃত্রিম সারের ব্যবহারের কারণে যে পরিবেশগত ক্ষতির সৃষ্টি হয়, তার প্রত্যুত্তরে আধুনিক জৈব খামার ব্যবস্থার উদ্ভব ঘটে। প্রথাগত কৃষির তুলনায় জৈব কৃষিতে মাটির ক্ষয় কম হয়, ভূগর্ভস্থ ও ভূপৃষ্ঠস্থ পানিতে নাইট্রেট চোঁয়ানো কম হয়, কীটনাশক কম ব্যবহৃত হয়, প্রাণীজাত বর্জ্য পুনঃচক্রায়িত হয়। কিন্তু এর বিপরীতে জৈব খামারের ফলন প্রায় ২০% কম ও খামারজাত দ্রব্যের মূল্য বেশি।