নসট্রাদামুস
ফরাসি ভবিষ্যদ্বক্তা / From Wikipedia, the free encyclopedia
নসট্রাদামুস বা মিশেল দ্য নোস্ত্রদাম (ফরাসি: Nostradamus বা Michel de Nostredame) (১৪ই ডিসেম্বর বা ২১শে ডিসেম্বর ১৫০৩[1] - ২রা জুলাই ১৫৬৬), ছিলেন একজন ফরাসি ভবিষ্যদ্বক্তা, জ্যোতিষী, লেখক এবং ঔষধ প্রস্তুতকারক ও চিকিৎসা সামগ্রী বিক্রেতা। তিনি ১৯৫৫ সালে প্রকাশিত "দ্য প্রফেসিস" (Les Propheties) বইয়ের জন্য বিখ্যাত হয়ে আছেন। বইটিতে ৯৪২ টি চতুষ্পদী কবিতা আছে। ধারণা করা হয় যে, এই কবিতাগুলির মাধ্যমে তিনি ভবিষ্যৎবাণী করেছিলেন।
এই নিবন্ধটির রচনা সংশোধনের প্রয়োজন হতে পারে। কারণ ব্যাকরণ, রচনাশৈলী, বানান বা বর্ণনাভঙ্গিগত সমস্যা রয়েছে। (ফেব্রুয়ারি ২০২১) |
মিশেল দ্য নোস্ত্রদাম | |
---|---|
জন্ম | ১৪ই ডিসেম্বর অথবা ২১শে ডিসেম্বর, ১৫০৩ |
মৃত্যু | ২ জুলাই ১৫৬৬(1566-07-02) (বয়স ৬২) |
পেশা | ঔষধ ও চিকিৎসা সামগ্রী বিক্রেতা, লেখক, অনুবাদক, জ্যোতিষতত্ত্ব সম্বন্ধীয় উপদেষ্টা |
পরিচিতির কারণ | ভবিষ্যদ্বাণী |
নস্ট্রাদামুসের পিতা একজন ইহুদি ছিলেন কিন্তু তিনি পরে নস্ট্রাদামুসের জন্মের আগে ক্যাথলিক খ্রিস্টান ধর্ম গ্রহন করেন। তিনি আভিগনন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছিলেন কিন্তু এক বছর পরে প্লেগ প্রাদুর্ভাবের কারণে বিশ্ববিদ্যালয়টি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয় ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়েছিলেন। কয়েক বছর ঔষধ প্রস্তুতকারক হিসেবে ব্যবসা করার পর ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জনের উদ্দেশ্যে মন্টপিলিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন। কিন্তু অল্পসময়ের মধ্যেই তাঁর ঔষধ প্রস্তুতকারক ব্যবসার কথা জানাজানি হলে বিশ্ববিদ্যালয়টি থেকে বহিষ্কৃত হন। (কারণ যেভাবে তিনি ঔষধ বানাতেন, সেটি বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম অনুযায়ী অবৈধ ছিল।) তিনি ১৫৩১ সালে প্রথম বিয়ে করেন। কিন্তু ১৫৩৪ সালে আরেক প্লেগ প্রাদুর্ভাবে স্ত্রী ও দুই সন্তানকে হারান। প্লেগ প্রাদুর্ভাব রোধে তিনি অন্যান্য চিকিৎসকদের সঙ্গে কাজ করেছিলেন। পরবর্তীতে তিনি অ্যান পনসারডিকে বিয়ে করেন ও ৬ সন্তানের জন্ম দেন। ১৫৫০ সালে তিনি একটি বর্ষপঞ্জি রচনা করেন যা বেশ সাড়া ফেলে এবং এই জনপ্রিয়তার কারণে তিনি পরবর্তীতে প্রত্যেক বছরের জন্য নতুন বর্ষপঞ্জি রচনা করতে থাকেন। এই সময় তিনি বিভিন্ন ধনী ব্যক্তিদের জন্য জ্যোতিষীর কাজ করা শুরু করেন। ক্যাথরিন ডি'ম্যাডিসি (ফ্রান্সের রানি) তাঁর একজন বড় সমর্থক ছিলেন। ১৯৫৫ সালে প্রকাশিত তাঁর "দ্য প্রফেসিস" গ্রন্থ, যেটি মূলত ঐতিহাসিক নজির নির্ভর ছিল, মানুষের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছিল। জীবনের শেষদিকে তিনি ভয়াবহ বাত রোগে ভুগছিলেন। ১৫৬৬ সালের ১ অথবা ২ জুলাই তিনি মারা যান। অনেক জনপ্রিয় লেখক তাঁর জীবন নিয়ে যাচাইযোগ্য নয় এমন অনেক কিংবদন্তী রচনা করেছেন।
বেশিরভাগ একাডেমিক উৎস সমর্থন করে যে, বিশ্বের ঘটনাসমূহ এবং নসট্রাদামসের চতুষ্পদী পদ্যের সংশ্লিষ্টতা মূলত ব্যাখ্যার ভুল বা অনুবাদের ভুল (কখনও কখনও ইচ্ছাকৃত) অথবা এগুলোকে নিরর্থক হ্মীণ করা হয়েছে যা কোন প্রকৃত ভবিষ্যদ্বাণীপূর্ণ ক্ষমতার প্রমাণ দেয়।[2]
তিনি ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ ভবিষ্যদ্বাণীকারীদের একজন ছিলেন। সাম্প্রতিককালে, ইংরেজি অধ্যয়নশীলদের একজন "পিটার লামাসুরিয়া", তিনি নসট্রাদামুসের চরিত্রকে প্রাচীন খ্রিস্টান ভবিষ্যদ্বাণীকারীদের একজন হিসাবে বর্ণনা করেছেন। তার কিছু ভবিষ্যদ্বাণীসমূহ ছিল আমাদের এই সময় কালের।