ফুটবল ক্লাব বার্সেলোনা
ফুটবল ক্লাব / From Wikipedia, the free encyclopedia
ফুটবল ক্লাব বার্সেলোনা (কাতালান: fútbol Club Barcelona; কাতালান উচ্চারণ: [fubˈbɔɫ ˈkɫub bərsəˈɫonə] (শুনুনⓘ)), সাধারনভাবে বার্সেলোনা এবং বার্সা,[2] নামেও পরিচিত, একটি পেশাদার ফুটবল ক্লাব, যা স্পেনের কাতালুনিয়ার বার্সেলোনা শহরে অবস্থিত। এটি স্পেনীয় ফুটবলের শীর্ষ স্তর লা লিগায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে।
পূর্ণ নাম | ফুটবল ক্লাব বার্সেলোনা | |||
---|---|---|---|---|
ডাকনাম | বার্সা বা ব্লাউগ্রানা (দল) কিউলিস বা বার্সেলোনিস্তাস (সমর্থক) ব্লাউগ্রানেস বা আজুলগ্রানাস (সমর্থক) | |||
প্রতিষ্ঠিত | ২৯ নভেম্বর ১৮৯৯; ১২৪ বছর আগে (1899-11-29) ফুত-বল ক্লুব বার্সেলোনা নামে | |||
মাঠ | এস্তাদি ওলিম্পিক লুইস কোম্পানিস | |||
ধারণক্ষমতা | ৫৪,৩৬৭[1] | |||
সভাপতি | জুয়ান লাপোর্তা | |||
ম্যানেজার | হান্সি ফ্লিক | |||
লিগ | লা লিগা | |||
২০২৩–২৪ | ২য় | |||
ওয়েবসাইট | ক্লাব ওয়েবসাইট | |||
| ||||
বর্তমান মৌসুম |
জোয়ান গাম্পের নামক এক ভদ্রলোকের নেতৃত্বে ১৮৯৯ সালে একদল সুইস, ইংরেজ ও কাতালান নাগরিক ক্লাবটি প্রতিষ্ঠা করেন। ক্লাবটি কাতালান সংস্কৃতির এবং কাতালুনিয়ার জাতীয়তাবাদের একটি প্রতীক হয়ে দাড়িয়েছে, যার মূলমন্ত্র হল “Més que un club” (একটি ক্লাবের চেয়েও বেশি)। এছাড়া ক্লাবের একটি দাপ্তরিক থিম সঙ্গীতও রয়েছে, যার শিরোনাম কান্ত দেল বার্সা(Cant del Barça), যা জাইমা পিকাস এবং ইয়োসেপ মারিয়া এস্পিনাস কর্তৃক লিখিত।[3] অন্যান্য ফুটবল ক্লাব থেকে ভিন্ন ক্লাবটি নির্দিষ্ট কোন মালিকানা নেই, বরং সমর্থকরাই এর মালিকানা বহন করে এবং তারাই এর পরিচালক। ফোর্বস অনুযায়ী বার্সেলোনা বর্তমানে বিশ্বের তৃতীয় সর্বোচ্চ মূল্যবান ক্লাব, যার সম্পদের পরিমাণ ৫.৫১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং উপার্জনের দিক থেকে এটি বিশ্বের চতুর্থ সবচেয়ে ধনী ক্লাব, যার বার্ষিক উপার্জন ৫৮২.১ মিলিয়ন ইউরো।[4][5]
ঘরোয়া প্রতিযোগিতা গুলোর মধ্যে বার্সেলোনা ২৭টি লা লিগা, ৩১টি কোপা দেল রে, ১৪টি স্পেনীয় সুপার কাপ, ৩টি কোপা এভা দুয়ার্তে এবং ২টি কোপা দে লা লিগা শিরোপা জিতেছে। আন্তর্জাতিক ক্লাব ফুটবলে বার্সেলোনা ২২টি শিরোপা জিতেছে, যার মধ্যে রয়েছে ৫টি উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগ, রেকর্ড ৪টি উয়েফা কাপ উইনার্স কাপ, যৌথ রেকর্ড ৫টি উয়েফা সুপার কাপ, রেকর্ড ৩টি ইন্টার সিটিজ ফেয়ার্স কাপ, যৌথ রেকর্ড ২টি লাতিন কাপ এবং ৩টি ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ।[6] আইএফএফএইচএস কর্তৃক প্রকাশিত বিশ্ব ক্লাব র্যাংকিং-এ বার্সেলোনা ১৯৯৭, ২০০৯, ২০১১, ২০১২ ও ২০১৫ সালে শীর্ষস্থান অর্জন করে[7][8] এবং ২০২৩ সালের মে পর্যন্ত উয়েফা ক্লাব র্যাংকিং এ ৯ম স্থানে অধিকার করে।[9]
বার্সেলোনা বিশ্বের অন্যতম সর্বোচ্চ সমর্থিত ফুটবল দল এবং প্রধান সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে তাদের সবচেয়ে বেশি সংখ্যক সমর্থক থাকা দলগুলোর মধ্যে একটি।[10][11] বার্সেলোনার খেলোয়াড়গন রেকর্ড সংখ্যক ব্যালন ডি’অর (১২) এবং ফিফা বর্ষসেরা খেলোয়াড়ের (৭) পুরস্কার জিতেছেন। ২০১০ সালে ক্লাবটি ইতিহাস গড়ে যখন ক্লাবের যুব একাডেমী থেকে উঠে আসা তিন জন খেলোয়াড়কে (মেসি, ইনিয়েস্তা এবং জাভি) ফিফা বালোঁ দ’অর পুরস্কারের শীর্ষ তিনে মনোনীত করা হয়।
বার্সেলোনাই একমাত্র ইউরোপীয় ক্লাব, যা ১৯৫৫ সালের পর থেকে প্রতিটি মৌসুমেই মহাদেশীয় ফুটবল প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছে এবং অ্যাথলেটিক বিলবাও ও রিয়াল মাদ্রিদের মত তাদেরও কখনও লা লিগা থেকে অবনমন ঘটেনি। ২০০৯ সালে বার্সেলোনা প্রথম স্পেনীয় ক্লাব হিসেবে ট্রেবল জয় করে (লা লিগা, কোপা দেল রে এবং চ্যাম্পিয়নস লিগ)। ঐ একই বছর তারা বিশ্বের প্রথম ফুটবল ক্লাব হিসেবে এক বছরে ছয়টি শিরোপার সবকয়টি জিতে সেক্সটাপল সম্পন্ন করে। সে বছর তারা পূর্বে উল্লেখিত ট্রেবলসহ স্পেনীয় সুপার কোপা, উয়েফা সুপার কাপ এবং ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ শিরোপা জিতে।[12] ২০১১ সালে বার্সেলোনা পুনরায় চ্যাম্পিয়নস লিগ শিরোপা জিতে এবং সে বছর তারা মোট ৫টি শিরোপা জিতে, শুধুমাত্র কোপা দেল রে শিরোপা তাদের হাতছাড়া হয়। পেপ গার্দিওলার অধীন বার্সেলোনা দলকে, যেটি ৪ বছরে ১৪টি শিরোপা জয় করতে সক্ষম হয়, সর্বকালের অন্যতম সেরা ফুটবল দল মনে করা হয়।[13][14][15][16] ২০১৫ সালের ৬ জুন, চ্যাম্পিয়নস লিগ শিরোপা জয়ের মাধ্যমে ইউরোপের প্রথম দল হিসেবে বার্সেলোনা দুইবার ট্রেবল জেতার রেকর্ড গড়ে।