বসনীয় সিরিলীয় বর্ণমালা
From Wikipedia, the free encyclopedia
বসনীয় সিরিলীয় বর্ণমালা, যা বোসানচিৎসা নামে ব্যাপকভাবে পরিচিত[1][2], হলো মধ্যযুগীয় বসনিয়াতে উদ্ভূত সিরিলীয় বর্ণমালার একটি বিলুপ্ত রূপ।[1] বোসানচিৎসা শব্দটি তৈরি করেছিলেন চ্যিরো ত্রুহেলকা, ১৯শ শতাব্দীর শেষে। এটি আধুনিক যুগের বসনিয়া ও হার্জেগোভিনা এবং ক্রোয়েশিয়ার সীমান্তবর্তী অঞ্চলগুলিতে (দক্ষিণ ও মধ্য ডালমেশিয়া এবং দুব্রোভনিক অঞ্চল) ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হত। সার্বো-ক্রোয়েশীয়তে এই বর্ণমালার নাম বোসানচিৎসা বা বোসানিৎসা।[3] শেষের শব্দটি অনুবাদ করলে দাড়ায় বসনীয় লিপি। বসনিয়া এবং দক্ষিণ ডালমেশিয়া অঞ্চলের ক্যাথলিক খ্রিষ্টান এবং মুসলমানরা বিভিন্ন সূত্রে বসনীয় সিরিলীয়কে সার্বীয় অক্ষর হিসাবে চিহ্নিত করতেন। সেই কারণে সার্ব পণ্ডিতরা এই বর্ণমালাকে সার্বীয় সিরিলীয়র ভিন্ন রূপ হিসাবে বিবেচনা করেন।[4] ক্রোয়াট পণ্ডিতরা এটিকে ক্রোয়েশীয় লিপি, ক্রোয়েশীয়-বসনীয় লিপি, বসনীয়-ক্রোয়াট সিরিলীয়, খ্র্ভাৎস্কো পিস্মো, আর্ভাতিৎসা বা পশ্চিম সিরিলীয়ও বলেন।[5][6]
বসনীয় সিরিলীয় | |
---|---|
লিপির ধরন | (সিরিলীয়) |
সময়কাল | ১০ম-১৮শ শতাব্দী |
ভাষাসমূহ | সার্বো-ক্রোয়েশীয়-বসনীয়/বসনীয় |
এই নিবন্ধে আধ্বব চিহ্ন রয়েছে। সঠিক রেন্ডারিং সমর্থন ছাড়া, আপনি হয়ত ইউনিকোড অক্ষরের বদলে জিজ্ঞাসা চিহ্ন, বাক্স বা অন্য কোনো চিহ্ন দেখবেন। |
বসনিয়া এয়ালেতে ইসলাম ধর্মের প্রবর্তনের পরে বসনীয়দের মধ্যে বোসানচিৎসার পরিবর্তে আরেবিৎসা বর্ণমালার ব্যবহার শুরু করা হয়।[7] বোসানচিৎসায় প্রথম বই মুদ্রণ করেছিলেন ফ্রাঞ্চেস্কো মিৎসালোভিচ, ১৫১২ সালে ভেনিসে।[8]