বাংলাদেশ রেলওয়ে
বাংলাদেশের সরকারি রেল পরিবহন সংস্থা / From Wikipedia, the free encyclopedia
বাংলাদেশ রেলওয়ে হচ্ছে বাংলাদেশের একটি রাষ্ট্র-মালিকানাধীন ও রাষ্ট্র-পরিচালিত রেল পরিবহন সংস্থা।[5] এর সদর দপ্তর ঢাকায় অবস্থিত। ১৯৯০ খ্রিষ্টাব্দে এই সংস্থা নব্য প্রতিষ্ঠিত রেলপথ মন্ত্রণালয়ের অধীন নিজের কার্যক্রম পরিচালনা করে। মোট ২৫০৮৩ জন নিয়মিত কর্মচারীসহ বাংলাদেশ রেলওয়ের মোট ২৯৫৫.৫৩ কিমি রুট রয়েছে।[6]
ধরন | বাংলাদেশ রেলওয়ে |
---|---|
শিল্প | রেলওয়ে |
প্রতিষ্ঠাকাল | ১৮৬২ |
সদরদপ্তর | , |
বাণিজ্য অঞ্চল | বাংলাদেশ |
প্রধান ব্যক্তি | সরদার শাহাদাত আলী, মহাপরিচালক[1] |
পরিষেবাসমূহ | রেলওয়ে পরিবহন |
আয় | (২০২০-২১) |
কর্মীসংখ্যা | ২৭,৫৩৫[3] (২০১৫) |
মাতৃ-প্রতিষ্ঠান | বাংলাদেশ সরকার |
বিভাগসমূহ | ২ (পূর্বাঞ্চল রেলওয়ে ও পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ে) |
ওয়েবসাইট | http://www.railway.gov.bd/ |
বাংলাদেশের রেলওয়ে নেটওয়ার্ক | |
---|---|
পরিচালনা | |
জাতীয় রেল | রেলপথ মন্ত্রণালয় |
প্রধান পরিচালনকারী | বাংলাদেশ রেলওয়ে |
পরিসংখ্যা | |
যাত্রী সংখ্যা | ৬৫ মিলিয়ন (২০১৪)[4] |
যাত্রী কিমি | ৮,১৩৫ মিলিয়ন[4] |
পণ্য | ২.৫২ মিলিয়ন টন[4] |
শৃঙ্খলা দৈর্ঘ্য | |
মোট | ২,৮৮৫ কিমি[4] |
Double track | ৩৬৪ কিমি[4] |
ট্র্যাক গেজ | |
মিটার গেজ | ১,৮৩৮ কিমি[4] |
ব্রড গেজ | ৬৮২ কিমি[4] |
বৈশিষ্ট্য | |
সেতুর সংখ্যা | ৩,৬৫০[4] ৫৪৬ (প্রধান) ৩,১০৪ (অপ্রধান) |
দীর্ঘতম সেতু | বঙ্গবন্ধু ব্রিজ (ডুয়েল গেজ, ৪.৮ কিমি) হার্ডিঞ্জ ব্রিজ (ব্রড গেজ, ১.৮ কিমি) |
স্টেশন সংখ্যা | ৪৯৮ |
বাংলাদেশ রেলওয়ে বাংলাদেশের রেল পরিবহন ব্যবস্থার সিংহভাগ পরিচালনা করে। তবে এর পাশাপাশি বেসরকারি সংস্থাগুলোরও অংশগ্রহণ রয়েছে।[7] যেমন, খাদ্য ও পানীয়ের ক্যাটারিং, কিছু নির্বাচিত রুট ও ট্রেনের রেলওয়ে রিজার্ভেশন ও টিকেটিং ব্যবস্থা এবং প্রধান রেলপথসমূহে ফাইবারঅপটিক কেবল স্থাপন, পরিচালন ও রক্ষনাবেক্ষনের কাজ বেসরকারি সংস্থার ওপর দেওয়া হয়েছে।[7]
বাংলাদেশ রেলওয়েকে মূলত দুইটি অংশে ভাগ করা হয়, একটি অংশ যমুনা নদীর পূর্ব পাশে এবং অপরটি পশ্চিম পাশে। এদেরকে যথাক্রমে পূর্বাঞ্চল ও পশ্চিমাঞ্চল নামে আখ্যায়িত করা হয়ে থাকে। পূর্ব পাশের অংশের দৈর্ঘ্য ১২৭৯ কিলোমিটার এবং পশ্চিম পাশের অংশের দৈর্ঘ্য ১৪২৭ কিলোমিটার। এছাড়া দক্ষিণাঞ্চলের রূপসা নদীর পূর্ব প্রান্তের ৩২ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের রূপসা-বাগেরহাট ব্রড-গেজ রেলপথ সেকশনটিকে বাংলাদেশ রেলওয়ের তৃতীয় অংশ হিসেবেও ধরা হয়।
বাংলাদেশে বর্তমানে দুই ধরনের রেলপথ চালু আছে: ব্রড-গেজ (৫ ফুট ৬ ইঞ্চি বা ১,৬৭৬ মি.মি.) এবং মিটার-গেজ (১০০০ মি.মি.)। দেশের পূর্বাঞ্চলে মিটার ও ব্রড-গেজ উভয় ধরনের রেলপথ বিদ্যমান, অবশ্য পূর্বাঞ্চলে বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব রেলওয়ে স্টেশন হতে ঢাকা পর্যন্ত ব্রড-গেজ রেলপথও রয়েছে। পূর্বে ন্যারো-গেজ (২ ফুট ৬ ইঞ্চি বা ৭৪৬ মি.মি.) রেলপথ চালু থাকলেও এখন আর তা ব্যবহার হয় না।