মহীশূর রাজ্য
ভারতের ঐতিহাসিক রাষ্ট্র / From Wikipedia, the free encyclopedia
মহীশূর রাজ্য দক্ষিণ ভারতের একটি রাজ্য ছিল, ঐতিহ্যগতভাবে বিশ্বাস করা হয় আধুনিক মহীশূর শহরটির নিকটবর্তী এলাকায় ১৩৯৯ সালে এই রাজ্যটি প্রতিষ্ঠিত হয়। রাজ্যটি প্রারম্ভিক সময়ে বিজয়নগর সাম্রাজ্যের একটি সামন্ত রাজ্য হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হয়, যার বেশিরভাগ অংশের জন্য হিন্দু ওয়াদিয়ার পরিবার কর্তৃক প্রতিষ্ঠা ও শাসিত হয়। সপ্তদশ শতাব্দীতে রাজ্যটির অবিচ্ছিন্ন প্রসার ঘটে এবং নরসরাজ ওয়াদিয়ার ও চিক্কা দেবরাজ ওয়াদিয়ারের শাসনামলে এই রাজ্যকে বর্তমান সময়ের দক্ষিণ কর্ণাটক ও তামিলনাড়ুর কিছু অংশকে নিয়ে দক্ষিণ দাক্ষিণাত্যে একটি শক্তিশালী রাজ্য হিসাবে গড়ে তোলে। একটি সংক্ষিপ্ত মুসলিম শাসনামলে, রাজ্যটি সুলতানি রীতির প্রশাসনে স্থানান্তরিত হয়।[1][2] এই সময়কালে মহীশূর মাথাপিছু আয়ের টেকসই বৃদ্ধি, অর্থনীতিতে কাঠামোগত পরিবর্তন, প্রযুক্তিগত উদ্ভাবনের গতি বৃদ্ধি পায় ও সর্বোচ্চ অর্থনৈতিক উচ্চতায় পৌঁছায় এবং ১৮তম শতাব্দীর শেষার্ধে প্রকৃত শাসক হায়দার আলী এবং তাঁর ছেলে টিপু সুলতানের অধীনে সামরিক শক্তি ও আধিপত্যের সর্বোচ্চ উচ্চতায় পৌঁছে যায়।[3]
এই নিবন্ধটি ইংরেজি উইকিপিডিয়ার অনুরূপ নিবন্ধ অনুবাদ করে সম্প্রসারণ করা যেতে পারে। (নভেম্বর ২০২২) অনুবাদ করার আগে গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশাবলী পড়ার জন্য [দেখান] ক্লিক করুন।
|
মহীশূর রাজ্য মহীশূর সালতানাত মহীশূরের দেশীয় রাজ্য | |||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
১৩৯৯–১৯৪৮ | |||||||||
জাতীয় সঙ্গীত: কেউ শ্রী গোরি | |||||||||
১৭৮৪ খ্রিস্টাব্দে টিপু সুলতানের রাজত্বকালে মহীশূর সালতানাত (এর সর্বাধিক আয়তন) | |||||||||
অবস্থা | রাজ্য (১৫৬৫ সাল অবধি বিজয়নগর সাম্রাজ্যের অধস্তন) ১৭৯৯ সাল থেকে ব্রিটিশ ক্রাউনের আধিরাজ্য অধীনে দেশীয় রাজ্য হিসাবে | ||||||||
রাজধানী | মহীশূর, শ্রীরঙ্গপত্তন | ||||||||
প্রচলিত ভাষা | কন্নড় | ||||||||
ধর্ম | হিন্দুধর্ম, ইসলাম, খ্রিস্টান | ||||||||
সরকার | ১৭৯৯ সাল পর্যন্ত রাজতন্ত্র, পরে দেশীয় রাজ্য | ||||||||
মহারাজা | |||||||||
• ১৩৯৯–১৪২৩ (প্রথম) | ইয়াদুরায়া ওয়াদিয়ার | ||||||||
• ১৯৪০-৫০ (শেষ) | জয়চামরাজেন্দ্র ওয়াদিয়ার | ||||||||
ইতিহাস | |||||||||
• প্রতিষ্ঠা | ১৩৯৯ | ||||||||
• প্রথম নথি | ১৫৫১ | ||||||||
১৭৬৭–১৭৯৯ | |||||||||
• মারাঠা–মহীশূর যুদ্ধ | ১৭৮৫–১৭৮৭ | ||||||||
• বিলুপ্ত | ১৯৪৮ | ||||||||
| |||||||||
বর্তমানে যার অংশ | ভারত |
এই সময়ে, এটি মারাঠা, হায়দ্রাবাদের নিজাম, ট্রাভানকোর রাজ্য ও ব্রিটিশদের সাথে বিরোধে জড়িয়ে পড়ে, যা চারটি ইঙ্গ-মহীশূর যুদ্ধের মধ্য দিয়ে সমাপ্ত হয়। প্রথম ইঙ্গ-মহীশূর যুদ্ধে সাফল্য এবং দ্বিতীয়টিতে অচলাবস্থার পরে, তৃতীয় ও চতুর্থ যুদ্ধে পরাজয় ঘটে। শ্রীরঙ্গপত্তন অবরোধের সময়ে চতুর্থ যুদ্ধে টিপুর সুলতানের মৃত্যুর পরে ব্রিটিশদের দ্বারা তাঁর রাজ্যের বিশাল অংশ দখলকৃত হয়, যা দক্ষিণ ভারতে মাহীশূরীয় আধিপত্যের সমাপ্তির ইঙ্গিত দেয়। ব্রিটিশরা অধীনতামূলক মিত্রতার মাধ্যমে ওয়াদিয়ারদের তাদের সিংহাসনে পুন প্রতিষ্ঠা করে এবং ক্ষয়িষ্ণু মহীশূর একটি দেশীয় রাজ্যে রূপান্তরিত হয়। ১৯৪৭ সালে ভারতের স্বাধীনতার পরে ১৯৪৮ সালে মহীশূর ভারতীয় ইউনিয়নে যুক্ত হওয়ার পূর্ববর্তী সময় পর্যন্ত ওয়াদিয়াররা রাজ্য শাসন অব্যাহত রাখে।
এমনকি দেশীয় রাজ্য হিসাবেও, মহীশূর ভারতের উন্নত ও নগরকেন্দ্রিক অঞ্চলের মধ্যে গণ্য হত। এই সময়কালে (১৭৯৯–১৯৪৭) মহীশূরকে ভারতের শিল্প ও সংস্কৃতির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র হিসাবে আবির্ভূত হয়। মহীশূর রাজারা কেবল চারুকলা ও বুদ্ধিজীবী মানুষ হিসাবে পারদর্শী ছিলেন না, তারা পাশাপাশি উতসাহি পৃষ্ঠপোষকও ছিলেন এবং তাদের উত্তরাধিকারীরা আজও রকেট বিজ্ঞান,[4] সংগীত এবং শিল্পকে প্রভাবিত করে চলেছে।