মাহি নদী
ভারতের নদী / From Wikipedia, the free encyclopedia
মাহি নদী হল পশ্চিম ভারতের একটি নদী। এর উৎপত্তি মধ্যপ্রদেশে এবং, রাজস্থানের এর ভাগড় অঞ্চল দিয়ে প্রবাহিত হওয়ার পরে, এটি গুজরাতে প্রবেশ করেছে এবং তারপর আরব সাগরে গিয়ে পড়েছে। এটি ভারতের অনেকগুলি পশ্চিমে প্রবাহিত নদীগুলির মধ্যে একটি, এদের মধ্যে আছে তাপ্তি নদী, সবরমতি নদী, লুনি নদী (বন্ধ জলবিভাজিকা) এবং নর্মদা নদী। ভারতবর্ষের বেশিরভাগ উপদ্বীপ নদীগুলি পূর্ব মুখে বঙ্গোপসাগরের দিকে প্রবাহিত হয়।
মাহি নদী | |
---|---|
অবস্থান | |
দেশ | ভারত |
প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্য | |
উৎস | |
• অবস্থান | মধ্যপ্রদেশ, বিন্ধ্য পর্বতমালা |
মোহনা | খাম্বাৎ উপসাগর (আরব সাগর) |
• অবস্থান | আনন্দ জেলা, গুজরাত |
দৈর্ঘ্য | ৫৮০ কিমি (৩৬০ মা) প্রায় |
নিষ্কাশন | |
• অবস্থান | সেবালিয়া[1] |
• গড় | ৩৮৩ মি৩/সে (১৩,৫০০ ঘনফুট/সে) |
• সর্বনিম্ন | ০ মি৩/সে (০ ঘনফুট/সে) |
• সর্বোচ্চ | ১০,৮৮৭ মি৩/সে (৩,৮৪,৫০০ ঘনফুট/সে) |
মুম্বইয়ের মাহি কন্ঠ সংস্থাটির নাম নেওয়া হয়েছে এই নদী থেকে, এছাড়া আরব ইতিহাসে উল্লিখিত মেহওয়াসিস নামে পাহাড়ী লুটেরা মানুষদের নাম এখান থেকেই এসেছে।[2]
মাহি নদীর উৎসের সঠিক অবস্থান হল মিন্দা গ্রাম, যেটি মধ্যপ্রদেশের ধর জেলায় অবস্থিত। মাহি নদী, পশ্চিম ভারতের নদী। এটি সরদারপুরের ঠিক দক্ষিণে, পশ্চিম বিন্ধ্য পর্বতমালা থেকে বেরিয়েছে, এবং মধ্য প্রদেশ রাজ্য দিয়ে উত্তর দিকে প্রবাহিত হয়েছে। এরপর উত্তর-পশ্চিম দিকে ঘুরে, এটি রাজস্থান রাজ্যে প্রবেশ করেছে এবং তারপরে দক্ষিণ পশ্চিমে গুজরাত রাজ্যের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়ে উত্তরদিকে বড়োদরা শহরের উপকণ্ঠে প্রবাহিত হয়ে খাম্বাতের পাশে প্রশস্ত মোহনা দিয়ে সমুদ্রে গিয়ে পড়েছে[2] প্রায় ৩৬০ মাইল (৫৮০-কিমি) চলার পরে। মাহির নামিয়ে আনা পলি দিয়ে খাম্বাৎ উপসাগর অগভীর হয়ে গেছে এবং এর ফলে একসময়ের সমৃদ্ধ বন্দরগুলির এখন অকেজো হয়ে গেছে। নদীগর্ভ স্থলস্তরের তুলনায় যথেষ্ট নিচু এবং সেচের জন্য এর ব্যবহার হয়না।
প্রচুর লোক মাহি নদীটির উপাসনা করে এবং এর উপকূলে প্রচুর মন্দির এবং উপাসনা স্থান রয়েছে। নদীর বিশালতার কারণে এটি মাহিসাগর নামে জনপ্রিয়। গুজরাতের নবগঠিত মাহিসাগর জেলার নাম এই পুন্যতোয়া নদী থেকে এসেছে। এই নদী দুবার কর্কটক্রান্তি রেখা অতিক্রম করেছে।