মেছোবাঘ
বন্য বিড়াল প্রজাতি / From Wikipedia, the free encyclopedia
মেছোবাঘ (বৈজ্ঞানিক নাম: Prionailurus viverrinus) মাঝারি আকারের বিড়ালগোত্রীয় দক্ষিণ এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার স্তন্যপায়ী বন্যপ্রাণী।[1] জনবসতি স্থাপন, কৃষিজমিতে রূপান্তর ও অন্যান্য কারণে বাঘরোলের আবাসস্থল জলাভূমিগুলো দিন দিন সংকুচিত ও হ্রাস পাওয়াই এর মূল কারণ। তাই আইইউসিএন ২০০৮ সালে মেছোবাঘকে বিপন্ন প্রজাতির তালিকায় অর্ন্তভুক্ত করে।
মেছোবাঘ | |
---|---|
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস | |
মহাজগত: | সংবাহী উদ্ভিদ (ট্র্যাকিওফাইট) |
জগৎ/রাজ্য: | অ্যানিম্যালিয়া (Animalia) |
পর্ব: | কর্ডাটা |
শ্রেণি: | স্তন্যপায়ী (ম্যামেলিয়া) |
বর্গ: | শ্বাপদ বর্গ (মাংসাশী) |
উপবর্গ: | ফেলিফর্মিয়া |
পরিবার: | মার্জার (ফেলিদাএ) |
উপপরিবার: | Felinae |
গণ: | Prionailurus (বেনেট, ১৮৩৩) |
প্রজাতি: | P. viverrinus |
দ্বিপদী নাম | |
Prionailurus viverrinus (বেনেট, ১৮৩৩) | |
মেছোবাঘের বিস্তৃতি ২০১৬ এর তথ্যানুযায়ী[1] |
বাংলাদেশের ১৯৭৪[2] ও ২০১২ সালের বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইনের তফসিল-১ অনুযায়ী এ প্রজাতিটি সংরক্ষিত।[3]
মেছোবাঘ সাধারণত জলাভূমি, বরাবর নদী, প্রবাহ, অশ্বখুরাকৃতি হ্রদ, জলাভূমি, এবং ম্যানগ্রোভতে বাস করে। এদের উপস্থিতি সেখানকার জলাভূমির অবস্থার ভালো-মন্দ নির্ধারণে সাহায্য করে। এরা সাঁতারে পারদর্শী হওয়ায় এধরনের পরিবেশে সহজেই খাপ খাওয়াতে পারে। এদের গায়ে ছোপ ছোপ চিহ্ন থাকার জন্য চিতাবাঘ বলেও ভুল করা হয়। ভারতের পশ্চিমবঙ্গে এটিকে সেই রাজ্যের 'রাজ্য প্রাণী' তকমা দেওয়া হয়েছে এবং এই রাজ্য বর্তমানে বাঘরোল সংরক্ষণে ও তাদের সংখ্যা বৃদ্ধিতে আশার আলো দেখিয়েছে।