রাজীব গান্ধী
ভারতের ষষ্ঠ প্রধানমন্ত্রী (১৯৮৪–১৯৮৯) / From Wikipedia, the free encyclopedia
রাজীব রত্ন গান্ধী (২০ আগস্ট, ১৯৪৪ - ২১ মে, ১৯৯১) ছিলেন ভারতের ষষ্ঠ প্রধানমন্ত্রী। তিনি ইন্দিরা নেহেরু ও ফিরোজ গান্ধীর জ্যেষ্ঠ পুত্র। ১৯৮৪ সালের ৩১ অক্টোবর মায়ের মৃত্যুর দিন মাত্র চল্লিশ বছর বয়সে তিনি দেশের কনিষ্ঠতম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে কার্যভার গ্রহণ করেন। ১৯৮৯ সালের ২ ডিসেম্বর সাধারণ নির্বাচনে পরাজয়ের পর পদত্যাগ করার আগে পর্যন্ত তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন।
রাজীব রত্ন গান্ধী | |
---|---|
ভারতের ষষ্ঠ প্রধানমন্ত্রী | |
কাজের মেয়াদ ৩১ অক্টোবর, ১৯৮৪ – ২ ডিসেম্বর, ১৯৮৯ | |
রাষ্ট্রপতি | জৈল সিং আর. ভেঙ্কটরমন |
পূর্বসূরী | ইন্দিরা গান্ধী |
উত্তরসূরী | বিশ্বনাথ প্রতাপ সিং |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | (১৯৪৪-০৮-২০)২০ আগস্ট ১৯৪৪ বোম্বাই (অধুনা মুম্বাই), বোম্বাই প্রেসিডেন্সি, ব্রিটিশ ভারত |
মৃত্যু | ২১ মে ১৯৯১(1991-05-21) (বয়স ৪৬) শ্রীপেরামবুদুর, কাঞ্চীপুরম জেলা, তামিলনাড়ু, ভারত |
জাতীয়তা | ভারতীয় |
দাম্পত্য সঙ্গী | সোনিয়া গান্ধী |
সন্তান | প্রিয়াঙ্কা গান্ধী ভদ্র, রাহুল গান্ধী |
জীবিকা | রাজনীতিবিদ, বিমানচালক |
ধর্ম | হিন্দু-আদি ধর্ম |
স্বাক্ষর |
রাজনীতিতে পদার্পণের পূর্বে রাজীব ছিলেন ইন্ডিয়ান এয়ারলাইনসের এক পেশাদার বিমানচালক। কেমব্রিজে থাকাকালীন ইতালীয় বংশোদ্ভুত সোনিয়া মাইনোর সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয় এবং পরে ১৯৬৮ সালে তাঁরা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। মা দেশের প্রধানমন্ত্রী হওয়া সত্ত্বেও, ১৯৮০ সালে কনিষ্ঠ ভ্রাতা সঞ্জয় গান্ধীর মৃত্যুর আগে পর্যন্ত রাজীব রাজনীতি থেকে দূরেই ছিলেন। ১৯৮৪ সালে অপারেশন ব্লু স্টারের প্রতিক্রিয়ায় আততায়ীর হাতে ইন্দিরা গান্ধী নিহত হলে জাতীয় কংগ্রেস নেতৃবৃন্দ রাজীবকেই দেশের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত করে।
১৯৮৪ সালে তার নেতৃত্বে কংগ্রেস সংসদের ৫৪২টি আসনের ৪১১টিতে জয়লাভ করে। এই জয় ছিল ভারতীয় সংসদে কংগ্রেসের সর্বকালের রেকর্ড। রাজীব গান্ধী লাইসেন্স প্রথা, শুল্ক ব্যবস্থা ও অর্থনৈতিক কার্যকলাপের জন্য অনুমতি প্রদানের নিয়মনীতি ঢেলে সাজান; টেলিযোগাযোগ ও শিক্ষা ব্যবস্থার আধুনিকীকরণ তথা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রসারের ক্ষেত্রে উপযুক্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করেন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্কের উন্নতিসাধন প্রভৃতি নানা কাজ শুরু করেন।
১৯৯১ সাল পর্যন্ত রাজীব গান্ধী ছিলেন ভারতের জাতীয় কংগ্রেসের সভাপতি। এই বছরই একটি নির্বাচনী জনসভায় জনৈক এলটিটিই জঙ্গির আক্রমণে নিহত হন তিনি। ১৯৯৮ সালে তাঁর স্ত্রী সোনিয়া গান্ধী কংগ্রেস সভানেত্রী নির্বাচিত হন এবং ২০০৪ সালে তাঁর নেতৃত্বে কংগ্রেস লোকসভায় জয়লাভ করে। তাঁর পুত্র রাহুল গান্ধী সংসদ তথা সর্বভারতীয় কংগ্রেস কমিটির সাধারণ সম্পাদক[1]।
মৃত্যুর পর রাজীব গান্ধীকে ভারতের সর্বোচ্চ অসামরিক সম্মাননা [ভারতরত্ন/ভারতরত্নে] ভূষিত করা হয়। উল্লেখ্য, তার মা ইন্দিরা গান্ধীও ভারতরত্ন সম্মানে ভূষিত হয়েছিলেন। রাজীব গান্ধী ভিইউ২আরজি নাম ব্যবহারকারী একজন অপেশাদার রেডিও সঞ্চালক ছিলেন।