শ্লোক
প্রাচীন ভারতীয় কাব্যিক রূপ / From Wikipedia, the free encyclopedia
শ্লোক (সংস্কৃত: श्लोक) ভারতের শাস্ত্রীয় ভাষা সংস্কৃতে ব্যবহৃত কাব্যিক রূপ।[1] এটি ১৬ পদাংশ,[2] বা ৩২ পদাংশের চারটি পদ বা চতুর্থাংশ পদ নিয়ে গঠিত।[1] মনিয়ার-উইলিয়ামসের মতে, শ্লোক হলো যেকোন পদ বা স্তবক, প্রবাদ, উক্তি;[3] কিন্তু বিশেষ করে এটি ৩২-পদাংশ শ্লোককে বোঝায়, যা বৈদিক অনুষ্টুভ ছন্দ থেকে উদ্ভূত।[4]
বৈদিক গ্রন্থে অনুষ্টুভ পাওয়া যায়, কিন্তু এর উপস্থিতি গৌণ, এবং ঋগ্বেদে ত্রিষ্টুভ এবং গায়ত্রী ছন্দ প্রাধান্য পায়।[5] পাঠ্যে শ্লোকের প্রধান উপস্থিতি চিহ্নিতকারী যে পাঠ্যটি সম্ভবত উত্তর-বৈদিক।[6]
শ্লোক হলো ভারতীয় মহাকাব্য স্তবকের ভিত্তি, এবং এটিকে ভারতীয় স্তবক হিসেবে বিবেচনা করা যেতে পারে, কারণ এটি শাস্ত্রীয় সংস্কৃত কবিতায় যেকোনো ছন্দের তুলনায় অনেক বেশি ব্যবহৃত হয়।[1] শ্লোক সাধারণত ভগবদ্গীতা, মহাভারত, রামায়ণ, পুরাণ, স্মৃতির পাশাপাশি সুশ্রুত সংহিতা ও চরক সংহিতাতে ব্যবহৃত হয়।[7][6][8] উদাহরণস্বরূপ, মহাভারত এর অধ্যায়ে অনেক শ্লোক ছন্দ বৈশিষ্ট্যযুক্ত, কিন্তু স্তবকের ৯৫% শ্লোক অনুষ্টুভ ধরনের, এবং বাকি অধিকাংশই ত্রিষ্টুভ।[9]
প্রথাগত দৃষ্টিভঙ্গি হলো ভালোবাসায় আবদ্ধ দুটি পাখির মধ্যে একটিকে শিকারী কর্তৃক বিদ্ধ হতে দেখে দুঃখে রামায়ণের রচয়িতা বাল্মীকি অনিচ্ছাকৃতভাবে স্তবকের শ্লোক রূপটি রচনা করেন।[3] এজন্য তাকে আদিকবি বলা হয়।[10]