সমলৈঙ্গিক বিবাহ
একই জৈবিক লিঙ্গ বা সামাজিক লিঙ্গের ব্যক্তিদের বিবাহ / From Wikipedia, the free encyclopedia
সমলৈঙ্গিক বিবাহ বা সমকামি বিবাহ হচ্ছে একই লিঙ্গের দুইজন মানুষের মাঝে বিবাহ। এই বিবাহ সেক্যুলার সিভিল অনুষ্ঠানের মাধ্যমে হতে পারে কিংবা ধর্মীয়ভাবেও হতে পারে। বিংশ শতাব্দীর শেষ থেকে আইনগতভাবে স্বীকৃতি না পেলেও সমকামি দম্পতিদের মাঝে বিবাহ করার হার বাড়তে শুরু করে। ২০০১ সালে নেদারল্যান্ডস আধুনিক যুগে সবার প্রথমে সমকামি বিবাহকে আইনত স্বীকৃতি প্রদান করে। ১১ জুলাই ২০১৭ (2017-07-11)-এর হিসাব অনুযায়ী[হালনাগাদ], নিম্নোক্ত দেশগুলো (সমগ্র দেশব্যাপী অথবা নির্দিষ্ট কিছু অংশে) সমকামি বিবাহকে বৈধতা প্রদান করেছে: আর্জেন্টিনা, বেলজিয়াম, ব্রাজিল, কানাডা, কলোম্বিয়া, ডেনমার্ক, ফিনল্যান্ড, ফ্রান্স, আইসল্যান্ড, আয়ারল্যান্ড, লুক্সেমবার্গ, মেক্সিকো, নেদারল্যান্ডস, নিউজিল্যান্ড, নরওয়ে, পর্তুগাল, দক্ষিণ আফ্রিকা, স্পেন,সুইডেন, মার্কিন যুক্তরাজ্য, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, এবং উরুগুয়ে। ২০১৭ এর মে'তে জারিকৃত সাংবিধানিক এক রুল অনুসারে, তাইওয়ানে খুব শীঘ্রই সমকামি বিবাহ বৈধতা পেতে যাচ্ছে। এছাড়াও জার্মানি ও মাল্টাতেও ২০১৭ এর শেষ নাগাদ এই আইন স্বীকৃতি পাওয়ার পথে। জরিপ অনুসারে আমেরিকা , অস্ট্রেলিয়া এবং ইউরোপে আইনগতভাবে সমকামিদের মধ্যে বিবাহ স্বীকৃতির প্রতি জনমত বাড়ছে। ২০১৭ সালে, আফ্রিকার দেশগুলোর মধ্যে একমাত্র দক্ষিণ আফ্রিকা সমলৈঙ্গিক বিবাহকে স্বীকৃতি প্রদান করে। সিভিল কোড মেনে চললে এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে তাইওয়ান সর্বপ্রথম সমলৈঙ্গিক বিবাহকে বৈধতা প্রদান করতে যাচ্ছে। ইসরায়েল এবং আর্মেনিয়া অন্যদেশে সম্পন্ন হওয়া এই ধরনের বিবাহকে ক্ষেত্রে বিশেষে স্বীকৃতি দেয়।[1][2] সরাসরি জনতার ভোটে কিংবা সমঅধিকারের ভিত্তিতে বিবাহ আইনে কিছু পরিবর্তন এনে সমলৈঙ্গিক বিবাহকে বিভিন্ন দেশে স্বীকৃতি প্রদান করা হয়েছে। এই স্বীকৃতি প্রদান রাজনৈতিক ও সামাজিক বিভিন্ন ইস্যু দ্বারা প্রভাবিত। এছাড়াও ধর্মীয় ইস্যুজনিত কারণেও এখনো সমলৈঙ্গিক বিবাহকে কিংবা সমলৈঙ্গিক দম্পতির একসাথে থাকাকে স্বীকৃতি প্রদান করা নিয়ে বিতর্ক চলমান।[3][4][5] [তথ্যসূত্র প্রয়োজন]