![cover image](https://wikiwandv2-19431.kxcdn.com/_next/image?url=https://upload.wikimedia.org/wikipedia/commons/thumb/e/e7/Holy_mother_sarada.jpg/640px-Holy_mother_sarada.jpg&w=640&q=50)
সারদা দেবী
বাঙালি হিন্দু ধর্মগুরু রামকৃষ্ণ পরমহংসের পত্নী ও সাধনসঙ্গিনী এবং রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের সংঘজননী / From Wikipedia, the free encyclopedia
সারদা দেবী (২২ ডিসেম্বর ১৮৫৩ – ২০ জুলাই ১৯২০) ছিলেন উনিশ শতকের বিশিষ্ট বাঙালি হিন্দু ধর্মগুরু রামকৃষ্ণ পরমহংসের পত্নী ও সাধনাসঙ্গিনী এবং রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের সঙ্ঘজননী। ভক্তগণ তাঁকে শ্রীশ্রীমা নামে অভিহিত করে থাকেন। রামকৃষ্ণ আন্দোলনের বিকাশ ও প্রসারে তাঁর ভূমিকা অনস্বীকার্য।
সারদা দেবী | |
---|---|
![]() সারদা দেবী | |
ব্যক্তিগত তথ্য | |
জন্ম | সারদামণি মুখোপাধ্যায় (১৮৫৩-১২-২২)২২ ডিসেম্বর ১৮৫৩ |
মৃত্যু | ২০ জুলাই ১৯২০(1920-07-20) (বয়স ৬৬) উদ্বোধন কার্যালয় ভবন (মায়ের বাড়ি) কলকাতা, বাংলা প্রেসিডেন্সি, ব্রিটিশ ভারত (অধুনা পশ্চিমবঙ্গ, ভারত) |
জাতীয়তা | ভারতীয় |
দাম্পত্য সঙ্গী | রামকৃষ্ণ পরমহংস |
জয়রামবাটী গ্রামে সারদা দেবীর জন্ম। তাঁর বিবাহপূর্ব নাম ছিল সারদামণি মুখোপাধ্যায়।[1] মাত্র পাঁচ বছর বয়সে শ্রীরামকৃষ্ণের সহিত তাঁর বিবাহ হয়। তবে কৈশোরের উপান্তে উপনীত হওয়ার পূর্বে তিনি স্বামীর সঙ্গে মিলিত হওয়ার সুযোগ পাননি। তাঁর জীবনীকারদের মতে, গার্হস্থ্য ও সন্ন্যাস জীবনের আদর্শ স্থাপন করার জন্য তাঁরা উভয়ে অবিচ্ছিন্ন ব্রহ্মচর্যের অনুশীলন করে জীবনযাপন করতেন। শ্রীরামকৃষ্ণের মৃত্যুর পর অবশিষ্ট জীবন সারদা দেবী অতিবাহিত করেন জয়রামবাটি ও কলকাতার উদ্বোধন ভবনে। তার সমগ্র জীবন ছিল স্বামী, ভ্রাতা ও ভ্রাতৃ-পরিবারবর্গ এবং তাঁর আধ্যাত্মিক সন্তানদের প্রতি সেবা ও আত্মত্যাগে উৎসর্গিত। শ্রীরামকৃষ্ণের শিষ্যগণ তাঁকে আপন জননীর আসনে বসাতেন। গুরুর প্রয়াণের পর উপদেশ ও উৎসাহলাভের আশায় ছুটে আসতেন তাঁর কাছে। সামান্য গ্রাম্য নারীর জীবন অতিবাহিত করলেও তিনি তাঁর জীবৎকালে এবং পরবর্তীকালে ভক্তদের নিকট মহাশক্তির অবতার রূপে পূজিত হন।