হংকংয়ের ভূগোল
From Wikipedia, the free encyclopedia
হংকংয়ের ভূগোল বলতে হংকংয়ের অবস্থান, আয়তন, পরিবেশ, প্রতিবেশ সংক্রান্ত বিস্তারিত বিবরণকে বুঝানো হয়। হংকংয়ের ভূগোল আলোচনায় প্রাথমিকভাবে হংকংয়ের তিনটি অঞ্চলের ভূগোল নিয়ে আলোচনা করা হয়; এগুলো হলো: হংকং দ্বীপ, কওলুন উপদ্বীপ এবং নতুন অঞ্চল।
হংকংয়ের মোট আয়তন ১১০৮ বর্গকিলোমিটার। হংকংয়ের চতুর্পাশের জলভাগের আয়তন প্রায় ১৮৩০ বর্গকিলোমিটার। হংকংয়ের মূল মহাদেশীয় অংশটি দুইটি অঞ্চল নিয়ে গঠিত। একটি হল কাউলুন নামের পৌর এলাকা। আরেকটি হল নতুন অঞ্চল নামের একটি বৃহৎ এলাকার অংশবিশেষ, যে অংশটি ১৮৯৮ হংকংয়ের অধীনে আসে। নতুন অঞ্চলের সাথে লানথাউ দ্বীপ বা থাই ইউয়ে দ্বীপটিকেও হংকংয়ের কাছে দিয়ে দেওয়া হয়; এটি হংকংয়ের অধীনস্থ বৃহত্তম দ্বীপ। কাওলুন অংশের তীরে ভিক্টোরিয়া পোতাশ্রয় নামের একটি সুরক্ষিত গভীর জলের পোতাশ্রয় আছে। কাউলুনের মুখোমুখি ও পোতাশ্রয়ের অপর তীরে, হংকং দ্বীপের উত্তর প্রান্তে হংকং নগরীটি অবস্থিত। হংকং নগরীতে বিশেষ প্রশাসনিক অঞ্চলের সরকারী কার্যালয়গুলি ও প্রধান বাণিজ্যিক এলাকাটি অবস্থিত, যার নাম "সেন্ট্রাল"।
হংকং বিশেষ প্রশাসনিক অঞ্চলটি আয়তনে ক্ষুদ্র হলেও এর ভূপ্রকৃতি বৈচিত্র্যময় ও রুক্ষ। অঞ্চলটি মূলত কিছু ভাঁজ পর্বতের সমন্বয়ে গঠিত। এখানে ২০টিরও বেশি পাহাড়ি চূড়া আছে যাদের উচ্চতা ৫০০ মিটারেরও বেশি। সবচেয়ে উঁচু পর্বতটির নাম থাই মাও শেন, যার উচ্চতা ৯৫৭ মিটার।[1] রুক্ষ ভূমিরূপের কারণে সমতল ভূমি বিরল এবং ১৫ শতাংশেরও কম জমিতে মনুষ্য কর্মকাণ্ড করা সম্ভব হয়েছে। ১৯শ শতকের মধ্যভাগ থেকে সমুদ্র থেকে ভূমি পুনর্দখল প্রকল্প শুরু হয় এবং এটিই শহরের আয়তন বৃদ্ধির প্রধান উপায়। বিশেষত কাওলুন ও হংকং দ্বীপের উপকূলেই এই ভূমি পুনর্দখল প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করা হয় এবং এর ফলে এই দুইয়ের মধ্যকার দূরত্ব হ্রাস পাচ্ছে। হংকংয়ের উল্লেখযোগ্য নদী একটিই, যার নাম শাম ছুন। ছোট এই নদীটি চীনের কুয়াংতুং প্রদেশের সাথে হংকংয়ের সীমান্ত গঠন করেছে। বাকী সমস্ত জলধারা ক্ষীণ পাহাড়ি ঝর্ণাধারা ধরনের। ফলে হংকংয়ে সুপেয় পানির সরবরাহ যথেষ্ট নয়। শতকরা ৮০ ভাগ খাবার পানি কুয়াংতুং থেকে আসে।
হংকংয়ের জলবায়ু উপক্রান্তীয় ও মৌসুমী বায়ু দ্বারা প্রভাবিত। এখানকার শীতকালগুলি শীতল ও শুষ্ক এবং গ্রীষ্মকালগুলি গরম ও আর্দ্র। মে থেকে সেপ্টেম্বর মাস বর্ষাকাল।[2]