অ্যাসপিরিন
রাসায়নিক যৌগ / From Wikipedia, the free encyclopedia
অ্যাসপিরিন হলো একটি ওষুধ যা ব্যথা, জ্বর বা প্রদাহ কমাতে ব্যবহৃত হয়। এটি অ্যাসিটাইলসালিসিলিক অ্যাসিড (এএসএ) নামেও পরিচিত। যে সকল নির্দিষ্ট চিকিৎসায় অ্যাসপিরিন ব্যবহার করা যায় তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো কাওয়াসাকি রোগ, পেরিকার্ডাইটিস এবং বাতজ্বর।[4]। অনেক প্রাচীন কাল থেকে এর ব্যবহার জানা থাকলেও জার্মানী কোম্পানি বেয়ার এর রসায়নবিদ ফেলিক্স হফম্যান সর্বপ্রথম ১৮৯৭ সালে অ্যাসপরিন উৎপাদনের সহজ পদ্ধতি আবিষ্কার করেন।
রোগশয্যাসম্বন্ধীয় তথ্য | |
---|---|
বাণিজ্যিক নাম | বেয়ার অ্যাসপিরিন |
এএইচএফএস/ ড্রাগস.কম | মনোগ্রাফ |
মেডলাইনপ্লাস | a682878 |
লাইসেন্স উপাত্ত |
|
গর্ভাবস্থার শ্রেণি |
|
প্রয়োগের স্থান | মুখ,পায়ুপথ, লাইসিন অ্যাসিটাইলস্যালিসাইলেট ইনজেকশনের মাধ্যমে দেয় যেতে পারে |
এটিসি কোড |
|
আইনি অবস্থা | |
আইনি অবস্থা |
|
ফার্মাকোকাইনেটিক উপাত্ত | |
জৈবপ্রাপ্যতা | ৮০-১০০%[2] |
প্রোটিন বন্ধন | ৮০-৯০%[3] |
বিপাক | যকৃতে এবং অন্ত্রের প্রাচীরে |
রেচন | মূত্র (৮০-১০০%), ঘাম, মুখের লালা, মল |
শনাক্তকারী | |
আইইউপিএসি নাম
| |
সিএএস নম্বর | |
পাবকেম সিআইডি | |
আইইউপিএইচএআর/ বিপিএস | |
ড্রাগব্যাংক | |
কমপটক্স ড্যাশবোর্ড (আইপিএ) | |
ইসিএইচএ ইনফোকার্ড | 100.000.059 |
রাসায়নিক ও ভৌত তথ্য | |
সংকেত | C9H8O4 |
মোলার ভর | ১৮০.১৬ g·mol−১ |
ঘনত্ব | ১.৪০ g/cm3 |
গলনাঙ্ক | ১৩৬ °সে (২৭৭ °ফা) |
স্ফুটনাংক | ১৪০ °সে (২৮৪ °ফা) |
জলে দ্রাব্যতা | ৩ |
হার্ট অ্যাটাকের কিছুক্ষণ পরে রোগীকে অ্যাসপিরিন দেয়া হলে মৃত্যুঝুঁকি কমে যায়। উচ্চ ঝুঁকিতে থাকা ব্যক্তিদের মধ্যে পূনরায় হার্ট অ্যাটাক, ইস্কেমিক স্ট্রোক এবং রক্ত জমাট বাঁধা প্রতিরোধে সহায়তা করার জন্য অ্যাসপিরিনের দীর্ঘমেয়াদী প্রয়োগ রয়েছে। ব্যথা বা জ্বরের ক্ষেত্রে অ্যাসপিরিন প্রয়োগের ৩০ মিনিটের মধ্যে কার্যকারীতা শুরু হয়। অ্যাসপিরিন একটি ননস্টেরয়েডাল অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি ড্রাগ (NSAID) এবং অন্যান্য NSAID এর মতো একইভাবে কাজ করে। তবে অণুচক্রিকার স্বাভাবিক কার্যকারিতা হ্রাস করে। অ্যাসপিরিন, প্রায়শই একটি অ্যানালজেসিক, অ্যান্টি-পাইরেটিক এবং নন-স্টেরয়েডাল অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি ড্রাগ হিসাবে ব্যবহৃত হয়। এটি থ্রম্বোক্সেন এ2 এর উৎপাদন রোধ করার জন্য অনুচক্রিকার মধ্যে COX এর কার্যকলাপকে বাধা দিয়ে অণুচক্রিকা-বিরোধী একটি প্রভাব ফেলতে সক্ষম হয়। যা রক্ত জমাট বাঁধার সময় অণুচক্রিকাগুলোকে একসাথে আবদ্ধ করার পাশাপাশি রক্তনালির সংকোচনের কারন হতে পারে। রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিসের চিকিৎসায় প্রদাহ বিরোধী হিসেবে এর ব্যবহার রয়েছে।
অ্যাসপিরিন, বিশ্বব্যাপী সর্বাধিক ব্যবহৃত ওষুধগুলির মধ্যে একটি। প্রতি বছর আনুমানিক ৪০,০০০ টন অ্যাসপিরিন (৪৪,০০০ টন) (৫০ থেকে ১২০ বিলিয়ন বড়ি) খাওয়া হয়।[5] এটি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রয়োজনীয় ওষুধের তালিকায় রয়েছে। এটি জেনেরিক ওষুধ হিসেবে পাওয়া যায়। ২০১৯ সালে, এটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ৩৮ তম সর্বাধিক নির্ধারিত ওষুধ ছিল, যার মধ্যে ১৮ মিলিয়নেরও বেশি প্রেসক্রিপশন ছিল।[6][7]