বাতজ্বর
From Wikipedia, the free encyclopedia
বাতজ্বর (ইংরেজি: Rheumatic fever) হলো প্রদাহজনিত রোগ যা হৃৎপিন্ড, ত্বক, মস্তিস্ক কে আক্রান্ত করতে পারে।[6] এই রোগ সাধারণত গলায় সংক্রমণের দুই থেকে চার সপ্তাহ পরে শুরু হয়। [2] লক্ষণের মধ্যে রয়েছে জ্বর, জয়েন্টে ব্যথা,কোরিয়া, ইরায়থেমা মারজিনেটাম।[6] প্রায় অর্ধেক ক্ষেত্রে হৃৎপিণ্ড আক্রান্ত হয়।[6] বাতজ্বরের জন্য দায়ী ব্যাক্টেরিয়া হলো স্ট্রেপটোকক্কাস পায়োজেনস। [7]
বাতজ্বর | |
---|---|
প্রতিশব্দ | তীব্র বাতজ্বর |
বাতজ্বরের রোগীর ময়নাতদন্ত করে প্রাপ্ত হৃৎপিণ্ড ( স্ফীত মাইট্রাল ভালভ, স্ফীত কর্ডা টেন্ডনি)। | |
বিশেষত্ব | কার্ডিওলজি |
লক্ষণ | জ্বর, আর্থালজিয়া, অনৈচ্ছিক পেশীর নড়াচড়া, এরিথেমা[1] |
জটিলতা | Rheumatic heart disease, heart failure, atrial fibrillation, infection of the valves[1] |
রোগের সূত্রপাত | 2–4 weeks after a streptococcal throat infection, age 5-14 years[2] |
কারণ | Autoimmune disease triggered by Streptococcus pyogenes[1] |
ঝুঁকির কারণ | বংশগত সমস্যা, অপুষ্টি, দারিদ্র্য[1] |
রোগনির্ণয়ের পদ্ধতি | সংক্রমণের ইতিহাস এবং লক্ষণের উপর নির্ভর করে[3] |
প্রতিরোধ | গলার রোগের ক্ষেত্রে যথাযথ এন্টিবায়োটিক গ্রহন, পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা[1][4] |
চিকিৎসা | দীর্ঘমেয়াদি এন্টিবায়োটিক, কপাটিকা প্রতিস্থাপন,হৃৎপিণ্ডের কপাটিকা মেরামত[1] |
সংঘটনের হার | প্রতি বছর ৩২৫,০০০ শিশু[1] |
মৃতের সংখ্যা | ৩১৯,৪০০ (২০১৫)[5] |
এই রোগে ব্যক্তির নিজের শরীরের টিস্যুর বিরুদ্ধে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়। তবে যাদের শরীরে এই রোগের জিন রয়েছে তারা অন্যদের তুলনায় খুব সহজে এই রোগে আক্রান্ত হতে পারে। অন্যান্য ঝুঁকিপূর্ণ বিষয়গুলোর মধ্যে রয়েছে পুষ্টিহীনতা, দারিদ্র্য প্রভৃতি। [1] এই রোগ শনাক্ত করার ক্ষেত্রে উপসর্গগুলোর পাশাপাশি স্ট্রেপ্টোকক্কাস দ্বারা সংক্রমিত হবার প্রমাণ থাকা জরুরি। [8]
স্ট্রেপ্টোকক্কাস দ্বারা কণ্ঠনালীর সংক্রমণে পেনিসিলিন দ্বারা চিকিৎসা করালে বাতজ্বর হবার সম্ভাবনা অনেক কমে যায়। [9]
প্রতিবছর প্রায় ৩২৫০০০ জন শিশু বাতজ্বরে আক্রান্ত হয় এবং প্রায় ১৮ মিলিয়ন লোক বাতজ্বর সংক্রান্ত হৃদরোগে আক্রান্ত। বাতজ্বর রোগীদের বয়স সাধারণত ৫ থেকে ১৪ বছর পর্যন্ত হয়ে থাকে।[1] তবে ২০% ক্ষেত্রে প্রাপ্তবয়স্করাও প্রথমবারের মত আক্রান্ত হতে পারে।[10] উন্নত দেশগুলোর আদিবাসী লোকজন ও উন্নয়নশীল দেশে এই রোগের প্রাদূর্ভাব বেশি।[1] ২০১৩ সালে এই রোগে মৃত্যুর সংখ্যা ছিলো ২৭৫০০০ জন যেখানে ১৯৯০ সালে ছিলো প্রায় ৩৭৪০০০ জন।[11] অধিকাংশ মৃত্যুর ঘটনা ঘটে উন্নয়নশীল দেশে যেখানে প্রতিবছর প্রায় ১২.৫% রোগী মৃত্যুবরণ করে[1] এই রোগের বর্ণনা খৃস্টপূর্ব ৫ম শতাব্দীতে হিপোক্রেটিসের লেখায় পাওয়া যায়।[12] বাতরোগের অনেক উপসর্গের সাথে এই রোগের উপসর্গের মিল থাকায় এই রোগের নাম বাতজ্বর রাখা হয়েছে।[13]