আনন্দ পুরস্কার ভারতের পশ্চিমবঙ্গের আনন্দ প্রকাশনা গ্রুপ কর্তৃক প্রদত্ত একটি বার্ষিক সাহিত্য পুরস্কার।
১৯৫৮ খ্রিষ্টাব্দের ২০শে এপ্রিল আনন্দ প্রকাশনা গ্রুপ বাংলা সাহিত্যে অবদানের জন্য পুরস্কার চালু করে। প্রথমে আনন্দবাজার পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতা প্রফুল্লকুমার সরকার ও সুরেশচন্দ্র মজুমদারের স্মৃতিতে এই পুরস্কার চালু করা হয়। ১৯৮৪ খ্রিষ্টাব্দে অশোক কুমার সরকারের স্মৃতিতে দেশ পত্রিকার সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে অপর একটি পুরস্কার চালু করা হয়। এই তিনটি পুরস্কারকে ২০০০ খ্রিষ্টাব্দে একত্র করা হয়।[1]
- ১৯৫৮ - বিভূতিভূষণ মুখোপাধ্যায়[1](অযাচী সন্ধানে)
- ১৯৫৯ - সমরেশ বসু(শ্রীমতী ক্যাফে)
- ১৯৬০ - প্রমথনাথ বিশী[1][2](কেরি সাহেবের মুন্সি)
- ১৯৬১ - সৈয়দ মুজতবা আলী(দেশে বিদেশে)
- ১৯৬২ - কালিদাস রায়(ক্ষুদকুঁড়া)
- ১৯৬৩- সুকুমার সেন(বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস)
- ১৯৬৪ - জ্যোতিরিন্দ্র নন্দী(বারো ঘর এক উঠোন)
- ১৯৬৫- নীরদচন্দ্র চৌধুরী ( আত্মঘাতী বাঙালী)
- ১৯৬৬- প্রবোধ কুমার স্যান্যাল ( মহাস্থবির জাতক)
- ১৯৬৭ - বিমল কর( অসময়)
- ১৯৬৮ - গোপালচন্দ্র ভট্টাচার্য(বাংলার কীটপতঙ্গ)
- ১৯৬৯ - শৈলেশকুমার বন্দ্যোপাধ্যায়( জিন্না পাকিস্তান - নতুন ভাবনা)
- ১৯৭০ - গৌরকিশোর ঘোষ( প্রেম নেই)
- ১৯৭১ - সত্যজিৎ রায়, সন্তোষকুমার ঘোষ( কিনু গোয়ালার গলি)
- ১৯৭২ - সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়[3]( সেই সময়)
- ১৯৭৩ - শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়[4] (মানবজমিন)
- ১৯৭৪ - মতি নন্দী(সাদা খাম)
- ১৯৭৫ - শক্তি চট্টোপাধ্যায়(যেতে পারি কিন্তু কেন যাব)
- ১৯৭৬ - বুদ্ধদেব গুহ (হলুদ বসন্ত)
- ১৯৭৭ - দিব্যেন্দু পালিত ( সহযোদ্ধা)
- ১৯৭৮ - নিখিল সরকার( শ্রীপান্থের কলকাতা)
- ১৯৭৯ - সৈয়দ মুস্তাফা সিরাজ( অলীক মানুষ)
- ১৯৮০- সুশোভন অধিকারী ( রঙের রবীন্দ্রনাথ)
- ১৯৮১ - সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায় ( লোটাকম্বল)
- ১৯৮২ - সমরেশ মজুমদার( কালবেলা)
- ১৯৮৩ - অন্নদাশঙ্কর রায়(পথে প্রবাসে)
- ১৯৮৪ - সুভাষ ভট্টাচার্য(আধুনিক বাংলা প্রয়োগ অভিধান), সুকুমার সেন (বাংলার স্থান নাম), সাগরময় ঘোষ (একটি পেরেকের কাহিনি), বিমল মিত্র[1](বেগম মেরি বিশ্বাস)
- ১৯৮৫ - আলোকরঞ্জন দাশগুপ্ত(গিলেটিনে আলপনা)
- ১৯৮৬ - কেতকী কুশারী ডাইসন[5]( রবীন্দ্রনাথ ও ভিক্টোরিয়া ওকাম্পো সন্ধানে)
- ১৯৮৭ - অমলেশ ত্রিপাঠী(ইতিহাস ও ঐতিহাসিক)
- ১৯৮৮ - আবুল বাশার( ফুলবউ)
- ১৯৮৯ - সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়[3] (প্রথম আলো), অমিতাভ ঘোষ(শ্যাডো লাইন)
- ১৯৯০ – শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়[4](পার্থিব), জয় গোস্বামী[6](আলেয়া হ্রদ)
- ১৯৯১ – সুভাষ মুখোপাধ্যায়(একটু পা চালিয়ে ভাই), জয়া মিত্র( হন্যমান)
- ১৯৯২ - তসলিমা নাসরিন (নির্বাচিত কলাম)
- ১৯৯৩ -, ক্লিন্টন বি সীলি[7](রামপ্রসাদ - গানের সন্ধানে)
- ১৯৯৪ - অন্নদাশঙ্কর রায়(জাপানে), শামসুর রহমান( খণ্ডিত গৌরব), আনিসুজ্জামান[8](স্বরূপের সন্ধানে), নরেন বিশ্বাস[9](ঐতিহ্যের অঙ্গীকার-অডিও)
- ১৯৯৫ - নজরুল ইসলাম[10](বকুল), দেবারতি মিত্র(ভূতেরা ও খুকি)
- ১৯৯৬ - আখতারুজ্জামান ইলিয়াস (খোয়াবনামা)
- ১৯৯৭ - বাণী বসু[11] (মৈত্রেয় জাতক)
- ১৯৯৮ - জয় গোস্বামী [6] (যারা বৃষ্টিতে ভিজেছিল)
- ১৯৯৯ - মন্দাক্রান্তা সেন (হৃদয় অবাধ্য মেয়ে)
- ২০০০ - তসলিমা নাসরিন (আমার মেয়েবেলা)
- ২০০১ - গৌরীপ্রসাদ ঘোষ[12]( এভরিম্যানস ডিকশনারি)
- ২০০২ - সুধীর চক্রবর্তী[13] (বাউল ফকির কথা)
- ২০০৩ - তিলোত্তমা মজুমদার[14] (বসুধারা)
- ২০০৪ - শ্রীজাত[15] (উড়ন্ত সব জোকার)
- ২০০৫ - মিহির সেনগুপ্ত[16](বিষাদবৃক্ষ)
- ২০০৬ - উৎপলকুমার বসু[17](পুরী সিরিজ)
- ২০০৭ - ধৃতিকান্ত লাহিড়ী চৌধুরী[18] ( হাতির বই)
- ২০০৮ - হাসান আজিজুল হক[19] (আগুনপাখী)
- ২০০৯ - রণজিত গুহ[20] (কবির নাম ও সর্বনাম)
- ২০১০ - সুনন্দা শিকদার[21] (দয়াময়ীর কথা)
- ২০১১ - গৌতম ভদ্র[22]( নেড়া বটতলায় ক- বার যায়)
- ২০১২ - পিনাকী ঠাকুর[23] ( চুম্বনের ক্ষত)
- ২০১৩ - রামকুমার মুখোপাধ্যায়[24] (ধনপতির সিংহলযাত্রা)
- ২০১৪ - অরিন্দম চক্রবর্তী[25](ভাত কাপড়ের ভাবনা)
- ২০১৫ - স্বপ্নময় চক্রবর্তী[26] (হলদে গোলাপ)
- ২০১৬ - সুধীর দত্ত[27] (তাঁবু মই ও শ্রেষ্ঠ কবিতাগুচ্ছ)
- ২০১৭ - আনিসুজ্জামান[28] (বিপুলা পৃথিবী)
- ২০১৮ - সন্তোষ রানা (রাজনীতির এক জীবন)
- ২০১৯ - নলিনী বেরা (সুবর্ণরেণু সুবর্ণরেখা)
- ২০২০-২০২২ - করোনা অতিমারীর জন্য পুরস্কার দেওয়া হয়নি।
- ২০২৩-পূর্ণেন্দুবিকাশ সরকার (গীতবিতান তথ্যভাণ্ডার)
- ২০২৪ - অসীম চট্টোপাধ্যায় ( নকশালবাড়িনামা)