Loading AI tools
জার্মান কূটনীতিক উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
আর্থার জুমারমান (জার্মান: Arthur Zimmermann; জন্ম: ৫ অক্টোবর, ১৮৬৪ - মৃত্যু: ৬ জুন, ১৯৪০) জার্মানির বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ। তদানীন্তন ২২ নভেম্বর, ১৯১৬ থেকে ৬ আগস্ট, ১৯১৭ মেয়াদকালে জার্মান সাম্রাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন। এছাড়াও, জুমারমান টেলিগ্রাম বিষয়ের সাথে তার নাম সংযুক্ত হয়ে আছে। তারই প্ররোচনায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ১৯১৪ থেকে ১৯১৮ সময়কালের মধ্যে সংঘটিত প্রথম বিশ্বযুদ্ধে সরাসরি জড়িয়ে পড়তে বাধ্য হয়েছিল। আয়ারল্যান্ড ও ভারতের বিদ্রোহীদের পাশাপাশি জার শাসনামলে সমাজতন্ত্রপন্থী বলশেভিকদের সহযোগিতায় তিনি জড়িত ছিলেন। তিনি ‘জুমারমান নোট’ শিরোনামে জনপ্রিয় গ্রন্থের লেখক ছিলেন। তাকে বিংশ শতকের সবচেয়ে ধ্বংসাত্মক মনোভাবসম্পন্ন ব্যক্তি হিসেবে বিবেচনা করা হয়।[1]
পূর্ব প্রুশিয়ার (বর্তমান পোল্যান্ডের ওলেকো) মারগ্রাবোয়া এলাকায় জন্মগ্রহণকারী জুমারমান কনসুলারের কর্মজীবন শেষে ১৯০১ সালে কূটনৈতিক শাখায় স্থানান্তরিত হন। গতিলিয়েব ফন জাগো’র অবসর নেয়ার কারণে জুমারমান বিদেশী রাষ্ট্রের সাথে ব্যাপকভাবে সম্পর্ক গড়ে তোলেন। ভারপ্রাপ্ত সচিব হিসেবে তিনি সম্রাট দ্বিতীয় উইলহেম এবং চ্যান্সেলর থিওবল্ড ফন বেথমান হলওয়েগের সিদ্ধান্তের সাথে একাত্মতা পোষণ করে অস্ট্রিয়া-হাঙ্গেরিকে সমর্থন জানান। সারায়েভোয় আর্চডিউক ফ্রান্সিস ফার্দিনান্দের হত্যাকাণ্ডের পর অস্ট্রিয়া-হাঙ্গেরি সার্বিয়ার উপর ব্যাপক চাপ প্রয়োগ করে। এরফলে রাশিয়া বেশ ক্রুদ্ধ হয়। জুমারমান খসড়া বার্তা টেলিগ্রামের মাধ্যমে জার্মানির সিদ্ধান্ত ভিয়েনায় জানায়। এরফলে সঙ্কট ঘণীভূত হতে থাকে যা পরবর্তীতে যুদ্ধ আকারে ছড়িয়ে পড়ে। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের প্রথমদিকে তিনি জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন। এ সময়ে তিনি মেক্সিকোকে স্পর্শকাতর প্রস্তাবনা প্রদান করেছিলেন যা ছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে অবস্থান সংক্রান্ত।
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.