উখিয়া উপজেলা
কক্সবাজার জেলার একটি উপজেলা উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
কক্সবাজার জেলার একটি উপজেলা উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
উখিয়া বাংলাদেশের কক্সবাজার জেলার অন্তর্গত একটি উপজেলা।
উখিয়া | |
---|---|
উপজেলা | |
মানচিত্রে উখিয়া উপজেলা | |
স্থানাঙ্ক: ২১°১৭′১২″ উত্তর ৯২°৫′৫১″ পূর্ব | |
দেশ | বাংলাদেশ |
বিভাগ | চট্টগ্রাম বিভাগ |
জেলা | কক্সবাজার জেলা |
প্রতিষ্ঠাকাল | ১৯২৬ |
সংসদীয় আসন | ২৯৭ কক্সবাজার-৪ |
সরকার | |
• সংসদ সদস্য | পদশূন্য ([[]]) |
আয়তন | |
• মোট | ২৬১.৮০ বর্গকিমি (১০১.০৮ বর্গমাইল) |
জনসংখ্যা (২০১১)[1] | |
• মোট | ২,০৭,৩৭৯ |
• জনঘনত্ব | ৭৯০/বর্গকিমি (২,১০০/বর্গমাইল) |
সাক্ষরতার হার | |
• মোট | ৩৬.৩০% |
সময় অঞ্চল | বিএসটি (ইউটিসি+৬) |
পোস্ট কোড | ৪৭৫০ |
প্রশাসনিক বিভাগের কোড | ২০ ২২ ৯৪ |
ওয়েবসাইট | দাপ্তরিক ওয়েবসাইট |
উখিয়া উপজেলার আয়তন ২৬১.৮০ বর্গ কিলোমিটার। কক্সবাজার জেলার দক্ষিণাংশে ২১°০৮´ থেকে ২১°২১´ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৯২°০৩´ থেকে ৯২°১২´ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ জুড়ে উখিয়া উপজেলার অবস্থান।[2] কক্সবাজার জেলা সদর থেকে এ উপজেলার দূরত্ব প্রায় ৩৩ কিলোমিটার। এ উপজেলার উত্তরে রামু উপজেলা, দক্ষিণে টেকনাফ উপজেলা, পূর্বে বান্দরবান জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা ও মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য, পশ্চিমে বঙ্গোপসাগর।
১৯২৬ সালে উখিয়া থানা গঠিত হয় এবং ১৯৮৩ সালে থানাকে উপজেলায় রূপান্তরিত করা হয়।[2] উখিয়া উপজেলায় ৫টি ইউনিয়ন আছে। সম্পূর্ণ উখিয়া উপজেলার প্রশাসনিক কার্যক্রম উখিয়া থানার আওতাধীন।
২০১১ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী উখিয়া উপজেলার জনসংখ্যা ২,০৭,৩৭৯ জন। এর মধ্যে পুরুষ ১,০৪,৫৬৭ জন এবং মহিলা ১,০২,৮১২ জন। বাৎসরিক জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ২.৯%।[1] মোট জনসংখ্যার ৮৮.১% মুসলিম, ২.৩% হিন্দু, ৭.৬% বৌদ্ধ এবং ২% খ্রিস্টান ও অন্যান্য ধর্মাবলম্বী।[2]
উখিয়া উপজেলার সাক্ষরতার হার ৩৬.৩০%। এ উপজেলায় ১টি স্নাতক (সম্মান) কলেজ, ১টি ফাজিল মাদ্রাসা, ১টি উচ্চ মাধ্যমিক কলেজ (মহিলা), ২টি আলিম মাদ্রাসা, ১টি স্কুল এন্ড কলেজ, ১২টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ১২টি দাখিল মাদ্রাসা, ২টি নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ৭৬টি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ১৬টি এবতেদায়ী মাদ্রাসা ও ১৬টি কিন্ডারগার্টেন রয়েছে।[1]
উখিয়া উপজেলায় যোগাযোগের প্রধান সড়ক কক্সবাজার-টেকনাফ সড়ক। সব ধরনের যানবাহনে যোগাযোগ করা যায়।
উখিয়ার অধিবাসীদের প্রধান পেশা কৃষি। সমুদ্র তীরবর্তী এলাকার মানুষ নিয়মিত মাছ ধরতে গভীর সমুদ্রে চলাচল করে। এ এলাকার বেশ উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মানুষ মধ্যপ্রাচ্যে প্রবাসী হওয়ায় রেমিটেন্স প্রবাহ বেশ ভাল। অতীতে ঘন জঙ্গল থাকায় কাঠের বিশেষ করে সেগুন কাঠের ভালো ব্যবসা কেন্দ্র ছিল উখিয়া। উপজেলায় বেশ কিছু লবণের মাঠ রয়েছে।
উল্লেখযোগ্য ফসল ধান, পান, সুপারি, তরমুজ, গোল আলু। মোট আবাদ যোগ্য জমির পরিমাণ ১০,৮৫১ হেক্টর (২৬,৮১০ একর)। বিশেষ করে সোনারপাড়া সুপারি তার স্বাদ ও আকারের জন্য কক্সবাজার অঞ্চলে বিখ্যাত।
উখিয়া উপজেলায় ৬৭৮টি মসজিদ, ৪টি মন্দির ও ৩৭টি বিহার রয়েছে।[1] ★রুমখাঁ মাতবর পাড়া বায়তুশ শরফ জামে মসজিদ ★রুমখাঁ কোলালপাড়া জামে মসজিদ ★কোটবাজার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ
উখিয়া উপজেলার পূর্বে মিয়ানমার সীমান্ত দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে নাফ নদী এবং উত্তর প্রান্ত দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে রেজু খাল।[2]
উখিয়া উপজেলায় মোট ১০টি হাট-বাজার রয়েছে। এর মধ্যে দারোগা বাজার, সোনারপাড়া বাজার, কোট বাজার, মরিচ্যা বাজার, ভালুকিয়া বাজার, পাতাবাড়ি বাজার, কুতুপালং বাজার, পালংখালী বাজার উল্লেখযোগ্য।[4]
সংসদীয় আসন | জাতীয় নির্বাচনী এলাকা[7] | সংসদ সদস্য[8][9][10][11][12] | রাজনৈতিক দল |
---|---|---|---|
২৯৭ কক্সবাজার-৪ | উখিয়া উপজেলা এবং টেকনাফ উপজেলা | পদশূন্য | [[]] |
ক্রমিক নং | ইউনিয়ন | পদবী | নাম |
---|---|---|---|
০১ | ১নং জালিয়াপালং ইউনিয়ন পরিষদ | চেয়ারম্যান | এস এম সৈয়দ আলম |
০২ | ২নং রত্নাপালং ইউনিয়ন পরিষদ | চেয়ারম্যান | নুরুল হুদা |
০৩ | ৩নং হলদিয়াপালং ইউনিয়ন পরিষদ | চেয়ারম্যান | এস. এম. ইমরুল কায়েস চৌধুরী |
০৪ | ৪নং রাজাপালং ইউনিয়ন পরিষদ | চেয়ারম্যান (ভারপাপ্ত) | সালা উদ্দিন |
০৫ | ৫নং পালংখালী ইউনিয়ন পরিষদ | চেয়ারম্যান | এম গফুর উদ্দিন চৌধুরী |
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.