উৎক্ষেপক যান মার্ক ৩
ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থার উৎক্ষেপক যান / From Wikipedia, the free encyclopedia
উৎক্ষেপক যান মার্ক ৩ (এলভিএম৩),[4][9][10] পূর্বনাম ভূসমলয় উপগ্রহ উৎক্ষেপক যান মার্ক ৩ বা জিএসএলভি মার্ক ৩,[lower-alpha 1] ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থার (ইসরো) এক তিনটি পর্যায়ের[4] মাঝারি উৎক্ষেপক যান। এটি মূলত যোগাযোগ উপগ্রহদের ভূস্থির কক্ষপথে স্থাপন করার জন্য এটি নকশায়িত করা হয়েছে,[12] এবং এটি ভারতীয় মানব মহাকাশ যাত্রা কর্মসূচির অধীনে অভিযানগুলি পরিচালনার জন্য উপযুক্ত উৎক্ষেপক হিসাবে বিবেচিত।[13] প্রচলিত গণমাধ্যমে এটি বাহুবলী নামেও পরিচিত।[14] এর পূর্বসুরী ভূসমলয় উপগ্রহ উৎক্ষেপক যানের তুলনায় এলভিএম৩-র পণ্য ধারণক্ষমতা বেশি।[15][16][17][18]
উৎক্ষেপক যান মার্ক ৩ | |
---|---|
ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থার উৎক্ষেপক যান | |
ব্যবহার | মাঝারি উৎক্ষেপক যান |
প্রস্তুতকারক | ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা |
উৎপত্তির দেশ | ভারত |
উৎক্ষেপণ প্রতি ব্যয় | ₹৩০০–৪০০ কোটি [1][2] (মার্কিন$৪৬–৬২ মিলিয়ন) |
বছর প্রতি ব্যয় | ২০১৭ |
আকার | |
উচ্চতা | ৪৩.৪ মিটার (১৪২ ফুট)[3][4] |
ব্যাস | ৪ মিটার (১৩ ফুট)[3] |
ভর | ৬,৪০,০০০ কিলোগ্রাম (১৪,১০,০০০ পাউন্ড)[4] |
পর্যায় | ৩ [4] |
লিও (৬০০ কিমি)-এ পণ্য | |
ভর | ১০,০০০ কিলোগ্রাম (২২,০০০ পাউন্ড)[4] |
জিটিও-এ পণ্য | |
ভর | ৪,০০০ কিলোগ্রাম (৮,৮০০ পাউন্ড)[4] |
সহযোগী রকেট | |
পরিবার | উৎক্ষেপক যান |
উৎক্ষেপণ ইতিহাস | |
অবস্থা | সক্রিয় |
উৎক্ষেপণ স্থান | দ্বিতীয় উৎক্ষেপণ মঞ্চ, সতীশ ধওয়ান মহাকাশ কেন্দ্র, অন্ধ্রপ্রদেশ, ভারত |
মোট উৎক্ষেপণ | ৭ |
সফল | ৭ |
ব্যর্থ | ০ |
প্রথম উড়ান |
|
শেষ উড়ান | ১৪ জুলাই ২০২৩ |
বুস্টার – এস২০০ | |
বুস্টারের সংখ্যা | ২ |
উচ্চতা | ২৫ মিটার (৮২ ফুট)[4] |
ব্যাস | ৩.২ মিটার (১০ ফুট)[4] |
খালি অবস্থায় ভর | ৩১,০০০ কিলোগ্রাম (৬৮,০০০ পাউন্ড) each[5] |
স্থূল ভর | ২,৩৬,০০০ কিলোগ্রাম (৫,২০,০০০ পাউন্ড) each[5] |
জ্বলানির ভর | ২,০৫,০০০ কিলোগ্রাম (৪,৫২,০০০ পাউন্ড) each[5] |
যা দ্বারা চালিত | কঠিন এস২০০ |
সর্বোচ্চ ঘাত | ৫,১৫০ কিলোনিউটন (৫২৫ টন-বল) each[6] |
সুনির্দিষ্ট বেগ | ২৭৪.৫ (শূন্যস্থান)[5] |
জ্বলন সময় | ১২৮ সেকেন্ড[5] |
জ্বালানি | এইচটিপিবি[5] |
প্রথম পর্যায় – এল১১০ | |
উচ্চতা | ২১.৩৯ মিটার (৭০.২ ফুট)[7] |
ব্যাস | ৪.০ মিটার (১৩.১ ফুট)[5] |
খালি অবস্থায় ভর | ৯,০০০ কিলোগ্রাম (২০,০০০ পাউন্ড)[7] |
স্থূল ভর | ১,২৫,০০০ কিলোগ্রাম (২,৭৬,০০০ পাউন্ড)[7] |
জ্বলানির ভর | ১,১৬,০০০ কিলোগ্রাম (২,৫৬,০০০ পাউন্ড)[7] |
যা দ্বারা চালিত | ২ বিকাশ ইঞ্জিন |
সর্বোচ্চ ঘাত | ১,৫৯৮ কিলোনিউটন (১৬৩.০ টন-বল)[5][8] |
সুনির্দিষ্ট বেগ | ২৯৩ সেকেন্ড[5] |
জ্বলন সময় | ২০৩ সেকেন্ড[7] |
জ্বালানি | UDMH / N2O4 |
দ্বিতীয় পর্যায় – সি২৫ | |
উচ্চতা | ১৩.৫৪৫ মিটার (৪৪.৪৪ ফুট)[5] |
ব্যাস | ৪.০ মিটার (১৩.১ ফুট)[5] |
খালি অবস্থায় ভর | ৫,০০০ কিলোগ্রাম (১১,০০০ পাউন্ড)[7] |
স্থূল ভর | ৩৩,০০০ কিলোগ্রাম (৭৩,০০০ পাউন্ড)[7] |
জ্বলানির ভর | ২৮,০০০ কিলোগ্রাম (৬২,০০০ পাউন্ড)[5] |
যা দ্বারা চালিত | ১ সিই-২০ |
সর্বোচ্চ ঘাত | ২০০ কিলোনিউটন (২০ টন-বল)[5] |
সুনির্দিষ্ট বেগ | ৪৪৩ সেকেন্ড |
জ্বলন সময় | ৫৮৬ সেকেন্ড[5] |
জ্বালানি | তরল O2 / তরল H2 |
একাধিক বিলম্ব ও ১৮ ডিসেম্বর ২০১৪-এ এক পরীক্ষামূলক উপকক্ষীয় উড়ানের পর ৫ জুন ২০১৭-এ সতীশ ধওয়ান মহাকাশ কেন্দ্র থেকে ইসরো সফলভাবে এলভিএম৩-র প্রথম পরীক্ষামূলক কক্ষীয় উড়ান সম্পন্ন করেছিল।[14]
প্রকল্পটির সম্পূর্ণ খরচ হলো ₹ ২,৯৬২.৭৮ কোটি (US$ ৩৬২.১৫ মিলিয়ন)।[19] জুন ২০১৮-এ পাঁচ বছরের মধ্যে ১০টি এলভিএম-৩ রকেট নির্মাণের জন্য মন্ত্রিপরিষদ ₹ ৪,৩৩৮ কোটি (US$ ৫৩০.২৫ মিলিয়ন) বরাদ্দ করেছিল।[20]
২০১২ সালের ১৫ আগস্ট, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি স্বাধীনতা দিবসের ভাষণে [21] মহাকাশে মানুষ পাঠানোর লক্ষ্যে ২০২২ সালে ভারতীয় মহাকাশ অভিযানের ঘোষণা করেন। [22] জিএসএলভি এমকি-৩ রকেট এই অভিযানে জন্য ব্যবহার করা হবে। [23]
এলভিএম৩ একটি ভারতীয় তৃতীয় স্তরের ক্রায়োজেনিক রকেট এবং বর্তমান জিএসএলভির চেয়ে উচ্চতর ওজন বহনের ক্ষমতা যুক্ত। [24][25]
এলভিএম৩ ক্রু মডিউল বায়ুমণ্ডলীয় পুনঃপ্রবেশ পরীক্ষা (ভারতের মহাকাশ ক্যাপসুল উদ্ধার পরীক্ষা), চন্দ্রযান-২, ও চন্দ্রযান-৩ অভিযানের উৎক্ষেপণ করেছে, এবং এটি ভারতীয় মানব মহাকাশ যাত্রা কর্মসূচির অধীনে গগনযান-১ উৎক্ষেপণের জন্য ব্যবহৃত হবে। মার্চ ২০২২-এ যুক্তরাজ্য-ভিত্তিক যোগাযোগ উপগ্রহ পরিচালক ওয়ানওয়েব এলভিএম৩ ও পিএসএলভি উৎক্ষেপকের মাধ্যমে তাদের কৃত্রিম উপগ্রহগুলিকে উৎক্ষেপণের জন্য ইসরোর সঙ্গে চুক্তি করেছিল, কারণ ইউক্রেনে রুশ আক্রমণের জন্য রসকসমস থেকে উৎক্ষেপণ পরিষেবা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল।[26][27][28] ২২ অক্টোবর ২০২২-এ উৎক্ষেপিত এলভিএম৩ নিম্ন ভূ-কক্ষপথে ৩৬টি ওয়ানওয়েব উপগ্রহ পাঠিয়েছিল।